project work – প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যাল এর কাজ কি, কারা করতে পারে, কিভাবে কাজ পাওয়া যায়, কিভাবে কমপ্লিট হয়, খরচ জানুন বিস্তারিত।

Project work
Photo from pixabay

আজকের দিনে যে কোন জিনিস কেনার জন্য টাকার অবশ্যই প্রয়োজন। সে হতে পারে কোন ফিজিক্যাল জিনিস অথবা কোন সার্ভিস, সর্বক্ষেত্রেই টাকা আমাদের প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই কথায় আছে টাকা ছাড়া এই পৃথিবী অচল। টাকা ব্যতীত মানুষ মানুষকে চেনে না। আর এই টাকার ফলেই মানুষের মধ্যে ভরসা উঠে যায়। অর্থাৎ টাকা ছাড়া জীবন বেকার।

এই টাকার সমস্যার সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে বিশেষত বেকার যারা ঘুরছে অথবা বেকার যারা স্টুডেন্টস রয়েছে। তারা বিশেষ কোনো কাজ করে না, আর কাজ না করার ফলে টাকাও তাদের কাছে আসে না।

অনেকে হয়তো কাজ খুঁজে খুঁজে বেরোই কিন্তু কোন কাজ পাই না অর্থাৎ চাকরি পায় না। আবার যারা লেখাপড়া করছে তারাও কোনো কাজ করছে না। আপনি যদি কোন কাজ পেয়ে থাকেন তাহলে খুবই ভালো। আর যদি কোন কাজ না পান, অথবা লেখাপড়া করে বেকার সময় কাটাচ্ছেন, অথবা এখনো হয়তো কেউ কেউ যারা লেখাপড়া করছেন তাদের জন্য এই কাজটি বিশেষ সুবিধা জনক।

যে কাজটির কথা আমি বলব সেই কাজটি করলে, বিশেষত যারা স্টুডেন্টস রয়েছেন তাদের তো কাজের বদলে টাকা মিলবে, আবার এই কাজ করে তাদের জ্ঞানের ভান্ডার অনেক বৃদ্ধিও হতে থাকবে। এখন ভাবছেন যে তাহলে কাজটি কি? কাজটি হচ্ছে বাড়িতে বসে হাতে লেখার কাজ।

কাজটি হল প্রজেক্ট ও প্র্যাকটিক্যাল এর কাজ ( project work ) । এই কাজগুলি আপনি বাড়িতে বসেই নিজের অবসর টাইমে বা কাজের ফাঁক টাইমে বা পড়ার ফাঁক টাইমে করে উপার্জন করতে পারবেন। এই কাজ করলে আপনার কোন লস হবে না, কেননা এর জন্য আপনাকে এক টাকাও খরচ করতে হবে না

👉 প্রজেক্ট এর কাজ কারা করিয়ে থাকে

বিশেষত যে সমস্ত কোর্সে প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যাল থাকে। সেই সমস্ত উঁচু ক্লাসের শিক্ষার্থীরাই এই প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যাল করিয়ে থাকে। কারণ অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যে তার পড়াশোনার চাপের কারণে প্রজেক্ট এর কাজ করতে চাই না। অন্য কাউকে দিয়ে করাতে চাই। কেননা এতে সময়টা অবশ্যই অতিবাহিত হয়। কেননা আপনাকে হাতে লিখতে হয়। তাই তারা তাদের সময় এবং শ্রম বাঁচানোর জন্য ভালো মানের অর্থ প্রদান করে প্রজেক্টগুলো করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

👉 প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যাল এর কাজ কিভাবে পাওয়া যায়

এই প্রজেক্ট বা প্রাকটিক্যালের কাজ আপনি উঁচু ক্লাসের যেকোনো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পেয়ে যাবেন। এছাড়া অনেক সংস্থা রয়েছে যেগুলি এই প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যাল এর কাজ প্রদান করে থাকে। আপনারা বাসস্ট্যান্ডের বা বাজার এলাকায় বা শহর এলাকায় বা স্কুল কলেজের পাশে অবশ্যই এই ধরনের পোস্টার লাগানো দেখেছেন, যেখানে লেখা থাকি হাতে লিখে এত টাকা ইনকাম করুন প্রতিদিন। তো আপনাকে ওই ধরনের পোস্টার দেখে তাতে যে নাম্বার দেয়া থাকবে সেই নাম্বারে কল করে কাজ গ্রহণ করতে হবে।

সেই নাম্বারে কল করলেই আপনারা জানতে পেরে যাবেন যে কোন কোন প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যালের জন্য কত কত করে টাকা ধার্য আছে। যদি আপনি কাজ করতে ইচ্ছুক হন তাহলে কি লিখতে হবে এবং কি দিয়ে লিখতে হবে, কি কি ম্যাটেরিয়ালস এর প্রয়োজন সমস্ত কিছু আপনাকে প্রদান করে দেবে। যখন আপনি প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যালটি কমপ্লিট করে নিয়ে গিয়ে তাদেরকে জমা দেবেন সঙ্গে সঙ্গে আপনি কিন্তু প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যালের ওপরে নির্ধারিত টাকা পেয়ে যাবেন।

👉 প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যাল কিভাবে কমপ্লিট করবেন

যেভাবে প্রজেক্ট কমপ্লিট করার কথা আপনাকে বলা হবে, অর্থাৎ তাদের দেওয়া ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী আপনাকে প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যাল টি কমপ্লিট করতে হবে। যদি প্রজেক্ট হয় তাহলে শুধুমাত্র লিখেই যেতে হবে, সঙ্গে হয়তো দুই একটা টপিক রিলেটেড ছবি দিলেই কাজ হয়ে যাবে। কিন্তু যদি প্র্যাকটিক্যালের কথা বলা হয় তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে একটু বেশি দক্ষ হতে হবে। কেননা এখানে বিভিন্ন ধরনের ছবি, চার্ট, লেখচিত্র ইত্যাদির মাধ্যমে তথ্যকে উপস্থাপন করার কথা বলতে পারে।

👉 উপকরণ সমূহ কোথায় পাবেন

যার কাছ থেকে আপনি প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যালটি করার জন্য নিবেন, অথবা যে সংস্থার কাছ থেকে আপনি প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যাল কমপ্লিট করে দেওয়ার জন্য নিবেন, তারাই আপনাকে ওই প্রজেক্ট বাপ প্র্যাকটিক্যাল এর জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত মেটেরিয়ালস দিয়ে দেবে। যেমন কলম, পেন্সিল, কালার পেন, রং পেন্সিল, স্কেল, ছবি বা চার্ট , A4 সাইজ পেজ অথবা প্রাকটিক্যালের জন্য ব্রন্ড পেপার, প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যাল এর জেরক্স কপি ইত্যাদি।

👉 শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে

এই কাজের জন্য বিশেষ এমন কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। আপনি যদি মোটামুটি মাধ্যমিক পাস করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনার মধ্যে কিছুটা হলেও জ্ঞান এবং বোধশক্তি জন্মাবে অর্থাৎ আপনি কিছুটা হলেও বিষয় বুঝে ওঠার ক্ষমতা রাখবেন। তাই আপনি এই কাজগুলোও করতে পারবেন। কেননা এই সমস্ত কাজে বিশেষ কোনো বোঝার দরকার নাই, বিশেষত প্রজেক্ট এর কাজ হলে। কেননা শুধুমাত্র দেখে দেখে লেখার কাজ।

👉 প্রজেক্ট ফ্রন্ট পেজ তৈরি ( project front page )

প্রজেক্টের ভেতরে কি লেখা রয়েছে তা কিন্তু শিক্ষকদের বেশি নজর করে না। শিক্ষকদের যেদিকের প্রতি সবচেয়ে বেশি মন যায় সেই দিনটি হল কভার পেজ অর্থাৎ ওপরের পেজটি কিরকম ভাবে তৈরি করা হয়েছে এবং কি ডিজাইনে করা হয়েছে এবং তার মধ্যে কি কি তথ্য রয়েছে। প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যাল এর কভার পেজটি তৈরি করার সময় আপনাকে ফটোশপ বা অন্য কোন ফটো এডিটিং সফটওয়্যার এটি করতে হবে।

অনিক কভার পেজ ফ্রেম পাওয়া যায়, আপনারা চাইলে ওই ফ্রেম গুলিকে ডাউনলোড করে আপনার কভার পেজের উপরেতে অ্যাড করতে পারেন। কভার পেজ টিতে নাম, রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, সাবজেক্ট বা টপিক নেম, সিজান ইত্যাদি তথ্য গুলি উল্লেখ থাকবে।

তাছাড়া এই কাজের দায়িত্ব চাইলে আপনি নাও নিতে পারেন। কেননা কি কি তথ্য দিতে হবে সেই বিষয়ে আপনার সাম্যক ধারণা নাও থাকতে পারে। তাই যার কাছ থেকে বাজে সংস্থার কাছ থেকে আপনি কাজটি নিচ্ছেন তাদেরকে বলবেন যে ফন্ট পেজ ( project front page ) আপনি করবেন না। কারণ কি কি তথ্য দিতে হবে এবং কি ধরনের কভার পেজের ডিজাইন যে ব্যক্তি কাজ প্রদান করছে তার পছন্দ, সেই পছন্দের সঙ্গে আমার পছন্দ মিল নাও তো খেতে পারে তাই।

👉 খরচ

এই ধরনের কাজে আপনাকে কিছুই খরচ করতে হবে না। কেননা সমস্ত কিছু আপনাকে তারাই প্রোভাইড করে দেবে, যারা প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যাল টি করার জন্য আপনাকে দিচ্ছে। তাই কোন ব্যয় না করেই আপনি এই কাজটি করতে পারবেন।

👉 নিজের সংস্থা তৈরি করে প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যাল প্রদান

project work

আপনি যদি পড়াশোনা করে বেকার বসে থাকেন। তাহলে আমি আপনাদেরকে রিকমেন্ড করব প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যালের কাজ প্রদান করার জন্য একটি সংস্থা খুলুন। যেখানে আপনি বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যালের কাজ নিয়ে, ওই কাজগুলি নিজে না করে অন্যদের মাধ্যমে করিয়ে সেখানে আপনার কমিশন রেখে কাজগুলি করিয়ে তাদেরকে প্রদান করতে পারেন।

এর জন্য আপনাকে আপনার সংস্থাটির দুইভাবে প্রচার করতে হবে। প্রথমত আপনি যাদের কাছ থেকে কাজ নিবেন সেই সম্পর্কিত প্রচার করতে হবে, যে আপনাদের যদি কোন প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যাল এর কাজ থাকে তাহলে আপনারা এই সংস্থার মাধ্যমে করিয়ে নিতে পারেন। তাহলে দেখে যারা যারা প্রজেক্ট করাতে চায় তারা আপনাদের সঙ্গে ফোনেতে যোগাযোগ করবে, আপনাকে নির্ধারণ করে বলতে হবে যে প্রজেক্ট কিছু আপনি কত করে নিবেন, অবশ্যই ধ্যান রাখবেন প্রজেক্টটি বা প্র্যাকটিক্যাল টি করতে যত হার্ড হবে এবং সময় বেশি লাগবে তার ওপর ডিপেন্ড করে আপনাকে বেশি চার্জ করতে হবে।

দ্বিতীয়তঃ আপনাকে এইভাবেও প্রচার করতে হবে যে আপনি প্রজেক্ট এর কাজ প্রদান করেন এবং তার বিনিময়ে টাকা প্রদান করেন। যে যে প্রোজেক্ট করতে চাই তারা অবশ্যই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তাদেরকে প্রজেক্ট প্রদান করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাদের কাছ থেকে আপনি প্রজেক্ট এর কাজগুলি নিয়েছেন, প্রত্যেক প্রজেক্ট পিছু যে রেট আপনার ফিক্সড হয়েছে সেখানে আপনাকে আপনার কমিশন রেখে যারা প্রজেক্ট করবে তাদেরকে আপনাকে রেটটি বলতে হবে। না হলে আপনার লাভ হবে না। কেননা আপনি প্রজেক্ট এর কাজ অন্যের কাছ থেকে নিয়ে আবার অন্যান্যদের মাধ্যমেই ওই কাজ করিয়ে তাদেরকে প্রদান করবেন তাই।

এই প্রচার কার্যের জন্য আপনি বিভিন্ন পোস্টার বা হ্যান্ডবিল তৈরি করতে পারেন, এবং সেগুলিকে গ্রামে ও শহরের বিভিন্ন জায়গায় টাঙ্গাতে পারেন। তবে অবশ্যই হ্যান্ডবিল ও পোস্টারটি তৈরির সময় আপনার মোবাইল নাম্বার যেন অবশ্যই তাতে থাকি এবং সেগুলি যেন খুবই অ্যাট্রাক্টিভ হয়। এমন কিছু আপনাকে ভাষার প্রয়োগ করতে হবে যেন বেকার ব্যক্তি ও শিক্ষার্থীরা যেন কাজ করতে ইচ্ছুক হয়।

এছাড়া আপনারা চাইলে নানান ধরনের এড নেটওয়ার্কের সাহায্যে আপনার কাজের অ্যাড দেখিয়ে প্রচার কার্য করতে পারেন। বা বর্তমানে নানান সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রয়েছে সেগুলিতে একাউন্ট তৈরি করার পর আপনি আপনার সংস্থা বা কাজের প্রচার করতে পারেন।

👉 কি কি লক্ষ্য রাখবেন

  • আপনার প্রজেক্ট লেখার সময় হাতের লেখাটা যেন একটুকু ভালো হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখবেন।
  • লেখার সময় খুব স্পিডে লিখলেও যখন কোন ছবি বা লেখচিত্র বা চার্ট তৈরি করবেন তখন যেন একটুকু সময় লাগিয়ে করে ধরে ধরে কাজটি করেন।
  • প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যালের জন্য যে ফ্রন্ট পেজ অর্থাৎ প্রথম পেজটি খুবই অ্যাট্রাক্টিভ হতে হবে। কেননা সকলের ঐ প্রথম পেজের প্রতি দৃষ্টি যায়।
  • উপসংহারটি লেখার সময় তারা যে তথ্য দেবে, সেইটা লেখার পর চাইলে আপনার মন থেকেও কিছু এড করতে পারেন।
  • যে পেজগুলিতে প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিকেলের কাজ করবেন সেগুলিকে স্কেল দিয়ে চারিদিকেই মার্জিন করে দিবেন। চাইলে আপনারা মার্জিন এর পাশে নানার ডিজাইন করতে পারেন। অথবা তারা যে মার্জিন এর ইন্সট্রাকশন দেবে সেই অনুযায়ী মার্জিন পেজের করবেন।
  • লেখার সময় পেজ নাম্বার প্রথমে আপনি কলমেতে দিবেন না, কারণ পরবর্তীকালে যদি পেজ নাম্বার মেলানো না যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি আরো দাগ নম্বরটিকে মুছতে পারবেন না। তাই প্রথমে পেজ নম্বর গুলি আপনি লেট পেন্সিলে লিখে যাবেন। পরবর্তীকালে পেজগুলিকে মিলিয়ে নেয়ার পর লেটে লেখা পেজ নম্বর গুলি মুছে কলমে লিখে নিবেন।
  • প্রজেক্ট বা প্রাকটিক্যাল লেখার সময় হেডিং গুলি অন্য একটি কলমে লিখবেন, আবার সাবহেডিংগুলি অন্য কলামে লিখতে হবে। তাছাড়া হেডিং ও সাব হেডিং এর মধ্যে যে যে তথ্যগুলি দিবেন সেগুলিকে আবার আপনাকে অন্য একটি কলামে লিখতে হবে। তাহলে লেখার মধ্যে একটি এট্রাক্টিভ আসবে।
  • যদি আপনি নিজের সংস্থা করে প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যাল এর কাজ প্রদান করতে যান, সে ক্ষেত্রে যাদের কাছ থেকে কাজ নিচ্ছেন এবং যাদের মাধ্যমে কাজ করাবেন তাদের সঙ্গে সব বিষয়ে ভালোভাবে সমঝোতা করে নিবেন। যাতে পরে সমস্যা না হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *