Clothes business ideas for women – বিবাহিত মহিলারা কিভাবে কাপড় সেলিং ব্যবসা শুরু করবেন বিস্তারিত জানুন ।
আপনি যদি একজন মেয়ে বা বিবাহিত মহিলা হন। এবং আপনার নিজের ব্যবসা ( women business ideas ) শুরু করতে চান। তাহলে আজকের পোস্টেটি আপনার জন্য, আপনি জানতে পারবেন একজন মেয়ে বা বিবাহিত মহিলা কীভাবে নিজের পোশাকের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
এখানে আমরা আপনাকে খুব সহজ সরল ভাষায় কাপড়ের ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এবং এই পোষ্টে বলেছি আপনি কিভাবে মাত্র ৩০,০০০-৩৫,০০০ টাকা দিয়ে নিজের কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
আমরা সবাই ভালো করেই জানি যে জামা-কাপড়ের ব্যবসা এমন একটি প্রয়োজনীয় ব্যবসা, যার চাহিদা কখনই থামবে না বা কমবে না। এর চাহিদা সারা জীবন ধরে চলতেই থাকবে।
আমরা আপনাকে এমন কিছু উপায়ও বলব, যেখানে আপনি টাকা বিনিয়োগ ছাড়াই আপনার নিজের পোশাকের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। যেখানে আপনাকে কোথাও যাওয়ারও প্রয়োজন হবে না, আপনি ঘরে বসে খুব সহজেই আপনার নিজের পোশাকের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
আপনি যদি পোশাকের ব্যবসা শুরু করতে চান। তাহলে পোশাক সম্পর্কিত কিছু জ্ঞান আপনার অবশ্যই থাকতে হবে, যা আপনাকে ব্যাবসার ক্ষেত্রে আরও দক্ষ করে তুলবে। যেমন বর্তমানে কোন কাটিং বা ডিজাইনের চাহিদা বেশি এবং লোকেরা কী ধরনের ফ্যাশন পছন্দ করছে ইত্যাদি।
তো চলুন নিচে এই ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
📝👉বাজারে পোশাক ব্যবসার চাহিদা
আমরা সবাই জানি, কাপড়ের ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা, যার চাহিদা সারাবছরই থাকে।
বর্তমান ছেলে মানুষেরা নতুন এবং ট্রেন্ডিং পোশাক পরতে পছন্দ করে। তাই বাজারে নিত্য নতুন ডিজাইনের পোশাকের বিশেষ চাহিদা রয়েছে এবং সারাজীবন থাকবে।
উন্নত মানের এবং ভাল ডিজাইন করা কাপড়ের চাহিদা ব্যাপক ভাবে রয়েছে এবং পরবর্তীকালেও থাকবে। আজকাল মানুষ যে কোনো অনুষ্ঠানেই প্রচুর পরিমাণে কাপড় কিনে থাকে।
সুতরাং মানুষ যতদিন বেচে থাকবে ততদিন পোশাকের চাহিদা ক্রমবর্ধমান থেকেই থাকবে। এর চাহিদা কোনো দিন কমবে না।
📝👉 পোশাকের ব্যবসার বিভিন্ন ধরন
পোশাকের ব্যবসার বিভিন্ন ধরন রয়েছে। যেগুলি সম্পর্কে আপনাদের বিশেষ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। যেগুলি নিম্নরূপ –
- রেডিমেড পোশাক (readymade garment) ব্যবসা
- অনলাইন (online) পোশাক বিক্রির ব্যবসা
- বাচ্চাদের পোশাক বিক্রির (kid’s garment) ব্যবসা
- কাপড় সেলাইয়ের ব্যবসা (Stitching)
- শুধুমাত্র মহিলাদের পোশাকের (Women’s wear) ব্যবসা
- শুধুমাত্র পুরুষদের পোশাকের (Men’s wear) ব্যবসা
আপনি অন্য অনেক উপায়ে পোশাকের ব্যবসা করতে পারেন। আজকের পোস্ট আমরা অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমে পোশাক ব্যাবসার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বলব। যা নিচে উল্লেখ করা হয়েছে।
📝👉 পোশাকের ব্যবসা শুরু করতে কি কি প্রয়োজন
আপনি যদি একজন গৃহিণী বা বিবাহিত মহিলা হন এবং আপনি নিজের পোশাকের ব্যবসা ( Clothes business ideas for women ) শুরু করতে চান, তাহলে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস এবং একটি উপযুক্ত জায়গার প্রয়োজন হতে পারে যা নীচে উল্লেখ করা হয়েছে।
- আপনি যেই ধরনের পোশাকের ব্যবসা করতে চান সেই ধরনের পোশাকগুলি প্রয়োজন হবে।
- কাপড় গুলোকে থাক আকারে সাজিয়ে রাখার জন্য রেক বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস লাগবে।
- আপনি যদি মাঝারি থেকে বড় পরিসরে আপনার ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে । যা পঞ্চায়েত প্রধানের কার্যালয় থেকে পেয়ে যেতে পারেন।
📝👉পোশাক ব্যবসা শুরু করার জায়গা
যেকোনো ব্যবসা শুরু করার জন্য সঠিক জায়গা নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি পোশাকের ব্যবসা ( Clothes business ideas for women ) শুরু করতে চান, তবে এমন জায়গায় শুরু করা উচিত যেখানে লোকের আনাগোনা হয়। যেমন বাজারে।
তাছাড়া আপনার বাড়িটি যদি কোন ছোট বড় বাজারের মধ্যে হয়ে থাকে, তাহলে আপনি আপনার বাড়িতেও এই ব্যবসা ( business for woman at home ) শুরু করতে পারেন।
অথবা পোশাক নিয়ে আপনি আপনার পার্শ্ববর্তী গ্রামে গ্রামেও ঘুরে বিক্রি করতে পারেন।
📝👉 পোশাক কোথায় কিনবেন
আপনি যদি কোনো পোশাকের ব্যবসা ( Clothes business ideas for women ) শুরু করেন, তবে আপনার বিভিন্ন ধরণের কাপড়ের প্রয়োজন হবে। বিশেষত যেই পোশাকের ব্যবসা শুরু করবেন সেই ক্যাটাগরির বিভিন্ন ধরনের পোশাক।
কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এমন জায়গা থেকে পোশাক কিনতে হবে যেখানে খুবই কম টাকায় ভালো মানের পোশাক পাওয়া যায়। তাহলে এর জন্য বলবো আপনি আপনার পরিচিত পাইকার বা ভাল কোম্পানির কাছ থেকে কিনতে পারেন।
পোশাক পাইকারি হিসেবে নেওয়ার জন্য আপনি আপনার নিকটস্থ বড় বড় পোশাক হোলসেলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তাদের কাছ থেকেই আপনি সবচেয়ে কম দামে ভালো মানের পোশাক পাইকারি হিসেবে পেয়ে যাবেন।
এছাড়া আপনি বড় বড় কোম্পানিদের কাছ থেকে ফ্রাঞ্চাইজিও নিতে পারেন। সেখানেও আপনি একেবারে কম মূল্যে ভালো পোশাক পাইকারি হিসেবে পেয়ে যাবেন।
📝👉 পোশাক রিসেলিং ব্যবসা
আজকাল বিভিন্ন ধরনের রিসেলিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেগুলিতে বিভিন্ন প্রোডাক্টের সঙ্গে সঙ্গে পোশাকো রিসেলিং করা যায় , এবং এই রিসেলিং এর মাধ্যমেও আপনারা খুব ভালো প্রফিট অর্জন করতে পারেন।
কিন্তু রিসেলিং কি তা সংক্ষেপে জেনে নেয়া যাক। reselling হল অন্য কোন ব্যক্তির প্রোডাক্টকে সেল করা। অর্থাৎ এইখানে যিনি রিসেলিং করবেন তিনাকে পোশাক কেনার জন্য এক টাকাও ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না, অন্য কোনো ব্যক্তির প্রোডাক্টকে যেকোনো উপায়ে সেল করতে হয়। এবং তা থেকে প্রফিট অর্জন করা যায়।
বাংলাদেশের কয়েকটি সেলিং প্ল্যাটফর্ম হল Bbazar, ShopUp, ResellerHub, Uddom এবং ভারতের কয়েকটি রেসলিং প্ল্যাটফর্ম হল Meesho, Amazon, EarnKaro ইত্যাদি।
তো আপনারা এই সমস্ত রিসেলিং প্ল্যাটফর্ম গুলিতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে। সেখানে থাকা পোশাক গুলি বিক্রি করে প্রফিট জেনারেট করতে পারবেন।
তবে এর জন্য পোশাক গুলির রিসেলিং লিংক তৈরি করতে হবে বা তৈরির লিংক থাকবে শুধু আপনাকে সেটিকে শেয়ার করতে হবে। আপনার শেয়ার করা লিঙ্গের উপরে ক্লিক করে ব্যাক্তিরা যখন কিনবে তখন আপনি আপনার প্রফিট পেয়ে যাবেন।
আর এই কাজটি করার জন্য আপনারা whatsapp, facebook, twitter, instagram যেকোনো ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের সাহায্য নিতে পারেন লিংকটিকে শেয়ার করার জন্য।
📝👉 পোশাক ব্যবসার জন্য লাইসেন্স
আপনি যদি বাড়িতে একেবারে ছোট্ট পরিসরে পোশাকের ব্যবসাটি ( Clothes business ideas for women )শুরু করতে চান, তাহলে এর জন্য আপনার কোন লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না।
আর মাঝারি থেকে বড় আকারের করার জন্য আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে। এবং আপনি যদি পোশাকের একটি কোম্পানি খুলতে চান তাহলে আপনাকে কোম্পানিটি কে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আরো অন্যান্য লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন করতে হতে পারে।
📝👉 পোশাক ব্যবসায় কি কি সমস্যা আসবে
এই ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন, যেমন-
- এই ব্যবসাটি একটি পুরনো ব্যবসা তাই এই ব্যবসাটি আপনার আগে থেকেই হয়তো অনেকেই করবে। তাই তাদের সঙ্গে আপনাকে প্রতিযোগিতা করতে হবে।
- এই প্রতিযোগিতার কারণে তারা চাইবে নতুন নতুন ডিজাইনের বিভিন্ন পোশাক তার দোকানে রাখতে। তাই আপনাকেও টাকা খরচ করে হলেও তাদের সমতুল্য ভালো মানের বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক আপনাকে দোকানে রাখতে হয়।
- তাছাড়া সব ডিজাইনের পোশাক সব ঋতুতে চলে না। বা সব সময় চলে না। তাই যদি আপনারা কোন একটি ডিজাইন বেশি চলছে দেখে বেশি পরিমাণে ওই ডিজাইনের পোশাক দোকানে কিনে নেন, এবং পরবর্তীকালে দেখলেন ওই ডিজাইনার চলছে না। তাহলে হয়তো ওই সমস্ত ডিজাইনের পোশাক আপনাকে লাভ না রেখেই হয়তো বিক্রি করতে হতে পারে।