house cleaning services – বাড়ি পরিষ্কার করার কাজ কিভাবে শুরু করবেন, কি কি সরঞ্জামের প্রয়োজন, কাজ কিভাবে ধরবেন, কত টাকা করে ধার্য করবেন জানুন বিস্তারিত।
বর্তমানে মানুষ কোন বাসস্থান ছাড়া বাঁচতে পারে না। বাসস্থানের জন্য মানুষ ঘর বা বাড়ি তৈরি করে থাকে। এবং থাকা ছাড়াও মানুষ ব্যবসার জন্য দোকান রূপে বাড়ি তৈরি করে থাকে। সুতরাং থাকার জন্যই হোক বা ব্যবসার জন্যই হোক মানুষকে বাড়ি তৈরি করতে হয়।
আর এই থাকার ঘর বা ব্যবসার জন্য দোকান পরিষ্কার করার প্রয়োজন হয়েই থাকে। গ্রাম অঞ্চল হলে মানুষ নিজেরাই বাড়ি পরিষ্কার এবং মজার কাজ হয়তো করে নেয়। কিন্তু শহরাঞ্চলের মানুষেরা এই বাড়ি পরিষ্কার বা মোছার কাজ খুব একটা করে না। বিশেষত এর জন্য লোককে নিয়োগ করে থাকে।
বিশেষ করে গ্রামেই হোক বা শহরাঞ্চলেই হোক যারা স্বামী এবং স্ত্রী উভয়েই, অথবা বাড়ির মহিলারা যদি কোন কর্ম ক্ষেত্রে কাজ করতে যায়, সেক্ষেত্রে এই বাড়ি পরিষ্কার বা মোছার কাজ করার সময় পায়না। বা যাদের বড় দোকান বা শপিং মল রয়েছে, তারা এই দোকান ও শপিং মল পরিষ্কার বা মোছার জন্য লোককে নিয়োগ করে থাকে।
আর এ যুগে এমন লোক নাই যে তার বাড়ি নাই, অথবা কোন ব্যবসা করে না। তাই আপনি যদি একজন মহিলা হয়ে থাকেন, তাহলে সকালবেলা বা সন্ধাবেলা এই ঘর বা দোকান পরিষ্কার ও মোছার কাজ করে, মোটামুটি ভালো ইনকাম প্রতিমাসে কিন্তু করতে পারবেন। তবে এই কাজ মহিলারা ছাড়াও চাইলে পুরুষেরাও করতে পারে।
👉 কারা এই কাজ করতে পারে
এই কাজ যে কেউই করতে পারে। এই কাজের জন্য নির্দিষ্ট কোন যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। এবং এই কাজ তেমন ভারী কাজ নয়। এই কাজের জন্য কোন প্রশিক্ষণেরও প্রয়োজন নাই। প্রশিক্ষণহীন ব্যক্তি এই কাজ করতে পারবে। যেকোনো বয়সের ব্যক্তি এই কাজ করতে পারে, তবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শিশুদের কে শ্রম করানো যাবে না। অর্থাৎ ১৪ বা ১৫ বছরের বয়সের আগে এই কাজ করা যাবে না।
👉 কাজ কিভাবে ধরবেন
বিশেষত মহিলারা তাদের আশেপাশে যে সমস্ত দোকান বা কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বাড়ি রয়েছে, সেই সমস্ত দোকান এবং বাড়িতে গিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে হবে, আপনাদের কি কোন দোকান ও ঘর মোছার বা পরিষ্কার করার কোন লোক প্রয়োজন। এইভাবে আপনি খুব ভালোভাবেই আপনার আশেপাশেই কাজ পেয়ে যাবেন। তবে বেশি দূরে কাজ ধরাটা ঠিক নয়, কারন আপনার যাতায়াত করতে অসুবিধা হতে পারে। যদি দূরে গিয়ে কাজ ধরেন, তাহলে ওইখানেতেই পাশাপাশি আরও ঘর বা দোকানের কাজ আপনাকে ধরতে হবে। তাহলে আপনারই কাজ করতে সুবিধা হবে।
👉 টাকা কিভাবে নির্ধারণ করবেন
আপনি যাদের কাজ করবেন, সে সমস্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে আপনাকে প্রতিদিনের চুক্তি অথবা মাসিক চুক্তি করতে হবে। এই চুক্তি করার সময় টাকার পরিমানটা কাজের উপর নির্ভর করবে। যদি বড় বাড়ি বা বড় দোকান হয় তাহলে তার জন্য বেশি মূল্য এবং যদি ছোট বাড়ি বা দোকান হয় সে ক্ষেত্রে আলাদা মূল্য করতে হবে।
এবং প্রতিদিনের চুক্তিতে আপনি কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে টাকা পেয়ে যাবেন। আর যদি মাসিক চুক্তি হয় তাহলে হয়তো আপনার একটা বেতন বাধা হয়ে যাবে, এবং প্রত্যেক মাসে ওই বেতন অনুযায়ী আপনি টাকা পাবেন।
👉 কি কি সরঞ্জামের প্রয়োজন
এই কাজের জন্য তেমন বেশি মূল্যের সরঞ্জামের প্রয়োজন নাই। খুবই অল্প মূল্যের কয়েকটা সরঞ্জাম (cleaning house products) প্রয়োজন, যেমন – একটি প্লাস্টিকের বালতি ও মগ, ঝাড়ু, মোছার জন্য ব্রাশ, হাতের জন্য গ্লাভস, ডিটারজেন্ট পাউডার, কাচ পরিষ্কারের জন্য একটি ও স্প্রে বোতল, জীবানুনাসক যেকোনো ধরনের লিকুইড, এবং আপনার শরীরকে প্রোটেকশন দেওয়ার জন্য একটা পোশাক কিনতে পারেন।
👉 কাজ কিভাবে করবেন
প্রথম – সর্বপ্রথম ঝাড়ু দিয়ে সমস্ত ঘরটিকে ঝাড়ু দিয়ে দিতে হবে, তাহলে বড় আবর্জনা গুলি ঝাড়ুর মাধ্যমে ঝাঁটানো হয়ে যাবে। এর ফলে মোছার কাজ অনেক সহজ হবে।
দ্বিতীয় – টারপর আপনাকে বাল দিতে জল নিয়ে নিতে হবে। জলের মধ্যে জীবানু নাশক লিকুইডটিকে প্রয়োজন অনুযায়ী মেশাতে হবে। এরপর কোন কিছুর সাহায্যে হালকা গুলিয়ে নিতে হবে যাতে জীবাণুনাশক লিকুইড জলের মধ্যে ভালোভাবে মিশে যায়।
তৃতীয় – এরপর মোছার ব্রাশটিকে লিকুইড ঘোলা জলে ডুবিয়ে নিয়ে মেঝে গুলিকে মুছতে হবে। এবং যদি কাচ মোছার কাজ থাকে, তাহলে লিকুইড ঘোলা জলটিতে তোয়ালা ডুবিয়ে সেই তোয়ালেটিকে হালকা নিচরিয়ে, সেই তোয়ালা দিয়ে কচগুলিকে মুছতে হবে। এইভাবে মাত্র কয়েকটি ধাপেই আপনি কাজটিকে সম্পূর্ণ করতে পারবেন।
👉 খরচ
এই কাজের জন্য আপনাকে যে সরঞ্জামের কথা গুলি উপরে উল্লেখ করা হয়েছে, ওগুলিকে কেনার জন্য কিছু টাকা ব্যয় করতে হবে। তবে তাও খুবই অল্প, উপরের সরঞ্জাম গুলি কিনতে আপনার বড়জোর ৩৫০০-৪৫০০ টাকার মত লাগবে।
👉 কি কি বিষয় লক্ষ্য রাখবেন
- সর্বপ্রথম যে বিষয়টিকে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে তা হল, ভালো পরিষেবা প্রদান করা। কেননা আপনি যদি ভালভাবে মোছার কাজ না করেন, তাহলে হয়তো আপনাকে ওই কাজে আর নাও রাখতে পারে।
- দ্বিতীয়তঃ দোকানদার বা বাড়ির মালিকের সঙ্গে সব সময় ভদ্র ও নম্রভাবে কথাবার্তা এবং ভদ্রভাবে আচরণ করতে হবে।
- প্রত্যেকদিন সঠিক সময়ে কাজে আসতে হবে। কেননা যদি আপনি দেরি করেন তাহলে দোকানদার বা বাড়ির মালিক আপনার উপরে ক্ষিপ্ত হতে পারে।