licence for a business – কোনো একটি ব্যবসা বা কোম্পানি ভারত ও বাংলাদেশে করতে গেলে কি কি লাইসেন্সের প্রয়োজন জানুন বিস্তারিত।

Lisence for business
Photo from pixabay

বেঁচে থাকার জন্য মানুষকে টাকার উপার্জন করতেই হয়। কারণ টাকা ছাড়া মানুষ জীবন নির্বাহ করতে পারবে না। কারণ জীবন নির্বাহের জন্য খাওয়া দাওয়া এবং পোশাক পরিচ্ছদ একটি অবিচ্ছেদ অংশ। আর টাকা উপার্জন হয় যে কোন ধরনের কাজের মাধ্যমে বা যেকোনো ধরনের ছোট বড় ব্যবসার মাধ্যমে।

যদি আপনি যে কোন সংখ্যায় কাজ করেন বা চাকরি করেন তার জন্য কোন লাইসেন্সের প্রয়োজন হয় না। কারণ সে ক্ষেত্রে ওই কোম্পানিকে বা ওই ব্যবসাদারকে তার কোম্পানির জন্য বা ব্যবসার জন্য লাইসেন্স করতে হয় (what is business licence)। কিন্তু যখন আপনি নিজে থেকে কোন ব্যবসা শুরু করতে যাবেন। তখন আপনার বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে এবং রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হবে।

অনেক ছোটখাটো ব্যবসা রয়েছে বিশেষত যেগুলি কুটির শিল্পের কাজ, সেগুলির জন্য তেমন কোন লাইসেন্সের প্রয়োজন হয় না। যেমন নিজের হাতে তৈরি যেকোনো ধরনের ছোটখাট জিনিসের ব্যবসা।

আপনি যখন ছোট ব্যবসাটিকে বড় করে শুরু করবেন, অথবা যখন ব্যবসাটিকে আপনি প্রথম থেকেই বড় করে শুরু করবেন, তখন থেকেই আপনাকে আপনার দেশের আপনি যে রাজ্যে থাকেন, সেই রাজ্যের জন্য ব্যবসা শুরু করতে যে যে সরকারি লাইসেন্স ( licence for business) এবং সরকারি রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হয় সেগুলি করতে হবে।

একটি ব্যবসা কি বিভিন্ন সরকারি লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশন যুক্ত করার অনেক সুবিধা রয়েছে যেমন –

  • আপনার ব্যবসাটি একটি সরকারি স্বীকৃতি লাভ করবে।
  • আপনার ব্যবসার বা যে প্রোডাক্ট তৈরি করছেন তার বিশ্বাসযোগ্যতা মানুষের কাছে বাড়বে।
  • আপনি যদি আপনার ব্যবসার জন্য লাইসেন্স তৈরি করেন তাহলে আপনি বেআইনি কাজকর্ম থেকে মুক্ত হবেন, এর ফলে পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ও সরকারি কর্মচারীদের থেকে চামুক্ত হবেন।
  • অনেক সময় বিভিন্ন সরকারি খাতে যে সমস্ত ভর্তুকি দেওয়া হয় সেই ভর্তুকির লাভ উপভোগ করতে পারবেন।
  • আপনার ব্যবসার জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়া অনেক সুবিধা হবে। এবং লোন নিলে সেখান থেকে আপনি কম সুদে লোন পেয়ে যাবেন।

👉 ব্যবসার জন্য লাইসেন্স সমূহ নিম্নরূপ ( licence for a business )

Today Weather, Today temperature, Weather tomorrow, Weather 7 days,

বিভিন্ন ব্যবসার জন্য লাইসেন্স বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে নিম্নে সমস্ত লাইসেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।

Trade Licence – আপনি যেকোনো ধরনের ছোট বড় ব্যবসা শুরু করুন না কেন। আপনার দোকানের জন্য একটি ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি একেবারে নিচুস্তরের লাইসেন্স। এই লাইসেন্স ভারতে থেকে থাকলে আপনি পঞ্চায়েত অফিসের মাধ্যমে, এবং বাংলাদেশে থেকে থাকলে সিটি কর্পোরেটরের মাধ্যমে আপনি পেয়ে যাবেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে অনলাইনেও ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যায়।

Food Licence – আপনি যদি খাবারের সঙ্গে সম্পর্কিত কোন ব্যবসা শুরু করতে চান। সেক্ষেত্রে আপনার খাবারের মধ্যে কোন ভেজাল রয়েছে কিনা, বা কোন ক্ষতিকারক পদার্থ রয়েছে কিনা। তা যাচাই করণ করে বোঝানোর জন্য আপনাকে খাদ্য লাইসেন্স বা ফুড লাইসেন্স করতে হবে। ভারতে থেকে থাকলে Fssai license এর জন্য আবেদন করতে হবে। এবং বাংলাদেশে থেকে থাকলেও ফুড লাইসেন্সের অফিসিয়াল সাইটে এপ্লাই করতে হবে। যা আপনারা বাংলাদেশের খাদ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত অফিশিয়াল সরকারি ওয়েবসাইট dgfood এ এপ্লাই করতে পারবেন।

VAT or TIN – যে দেশে রাজ্যের রাজ্যে আপনি আপনার ব্যবসাটি করছেন সেই দেশকে বা সেই রাজ্যকে ব্যবসার জন্য ট্যাক্স প্রদানের ক্ষেত্রে এই ধরনের রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। আপনি যদি ভারতে ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনাকে ভেট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আর যদি আপনারা বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনাকে TIN রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এই দুইটি রেজিস্ট্রেশন আপনি দুই দেশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করে নিতে পারবেন।

Fire licence – আপনি যে ব্যবসাটি শুরু করতে যাচ্ছেন সেটি যদি আপনার আগুনের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়, অর্থাৎ কাজটি আপনাকে আগুনের দ্বারা করতে হয় সে ক্ষেত্রে আপনাকে এই ফায়ার লাইসেন্স করতে হবে।

Import Export License – আপনি যদি নিজের দেশ ছাড়া অন্য কোন দেশ থেকে মাল আমদানি বা রপ্তানি করতে যান। অথবা নিজের দেশের মধ্যেই এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে মাল ইমপোর্ট এক্সপোর্ট করতে চান তাহলে আপনাকে এই লাইসেন্সটি অবশ্যই করতে হবে। আপনি ভারত এবং বাংলাদেশ যেখানেই ওয়েবসাইটি শুরু করবেন সেই দেশে আপনাকে লাইসেন্সটি তৈরি করতে হবে।

Pollution certificate – আপনি যে ব্যবসাটি শুরু করতে যাচ্ছেন সেটি যদি ধোঁয়া বা ধুলোর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে পলিউশন সার্টিফিকেট নিতে হবে। এর দ্বারা আপনার ব্যবসার মাধ্যমে যে দ্রব্য তৈরি হচ্ছে, তৈরির সময় সেগুলি থেকে যে ধুলো বা ধোঁয়া তৈরি হচ্ছে তা আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে শোধন করে বায়ুমন্ডলে ছাড়ছেন।

GST – ব্যবসার জন্য সমস্ত ধরনের কর একসঙ্গে প্রধানের জন্য জিএসটি একটি বিশেষ ব্যবস্থা। এটি প্রধানত ট্যাক্স প্রধানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আপনার ব্যবসার জন্য বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স একসঙ্গে সরকারকে দেয়ার জন্য এই জি.এস.টি রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।

BOI / BEPZA license – যদি বাংলাদেশে কোন বিদেশী কোম্পানি তাদের অফিস অথবা কর্মক্ষেত্র খুলতে চাই, সেক্ষেত্রে সে সমস্ত কোম্পানিগুলিকে বাংলাদেশের ভিসা পাওয়ার জন্য এবং অফিস ও কর্মক্ষেত্র খোলার অনুমতি পাওয়ার জন্য তাদেরকে BOI / BEPZA license এর প্রয়োজন হয়। যেমন আপনি যদি ভারতবর্ষের নাগরিক হয়ে অথবা ভারতে আপনার কোন কোম্পানি রয়েছে। সেই কোম্পানির অফিস আপনি একটি বাংলাদেশে খুলতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে বাংলাদেশে BOI / BEPZA license তৈরি করতে হবে।

Company registration – যদি আপনার ব্যবসাটি একেবারে ছোট্ট পরিসরে হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার কোম্পানির রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হবে না। কিন্তু যখন ব্যবসাটিকে আপনি বড় করে একটি কোম্পানিতে প্রতিষ্ঠা করতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনাকে কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। কোম্পানি রেজিস্ট্রেশনের জন্য আপনার একটি কোম্পানির নাম নির্ধারণ করতে হবে এবং সেই নামে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এর জন্য আপনার কোম্পানির শেয়ার হোল্ডারদের নাম, কর্মী সংখ্যা, কোম্পানির বিভিন্ন লাইসেন্স ইত্যাদি দিয়ে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

udyog Aadhar registration – আপনি যদি ভারতে কোন বড় ব্যবসা বা কোন কোম্পানি স্থাপন করতে যান সে ক্ষেত্রে আপনাকে উদ্যোগ আধার রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

Shop and Establishment Act License – ভারতে কোন ব্যবসা শুরু করতে গেলে সেই ব্যবসার সঙ্গে নিযুক্ত কর্মীদের শ্রমের সময়, শিশুশ্রম, শ্রমিকদের বেতন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ইত্যাদির প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখার জন্য এই ধরনের লাইসেন্স করতে হয়। চাঁদ দ্বারা আপনি সরকারকে জানাচ্ছেন যে আপনার সংস্থায় যে সমস্ত শ্রমিক কাজ করে তাদের প্রতি আপনি যথেষ্ট যত্নশীল রয়েছেন। এবং আপনার সংস্থায় কোন শিশু শ্রমিক নাই। তাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে এমন কাজ আপনি করানোর পূর্বে তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবলম্বন করছেন ইত্যাদি।

স্থানীয় ছাড়পত্র – আপনি যে এলাকায় ব্যবসা বা কোম্পানিটি খুলতে যাচ্ছেন। সেই এলাকার কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একটি হলফ নামায় সিগনেচার করে নিয়ে নিবেন। যে হলফনামায় লেখা থাকবে আপনার এই ব্যবসাটি স্থানীয়দের বিশেষ কোনো ক্ষতি করবে না। এবং যদি কোন অসুবিধা হয় তাহলে আপনি প্রয়োজন মতো যথাসাধ্য সাহায্য করবেন। এই ধরনের স্থানীয় ছাড়পত্র অনেক সময় প্রয়োজন হয় যদি স্থানীয় লেখা আপনাকে ব্যবসা শুরু করতে বা কোম্পানি স্থাপন করতে না দেয়। তখন কথোপকথনের মাধ্যমে এই ধরনের হলফনামা তৈরি করে স্থানীয় ছাড়পত্র নেওয়া বাঞ্ছনীয় হতে পারে।

Factory manpower permission – বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় মাঝারি থেকে বড় আকারের কলকারখানা স্থাপনের জন্য ম্যানপাওয়ার বিভাগ থেকে অবশ্যই পারমিশন নিতে হবে। না হলে আপনার কল কারখানা স্থাপন সরকারের তরফ থেকে বা স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে।

:: মনে রাখবেন সব ব্যবসার ক্ষেত্রে উপরিউক্ত সব লাইসেন্স (licence for a business) গুলোর প্রয়োজন নাই। ব্যবসার উপরে ডিপেন্ড করে আপনাকে লাইসেন্স অথবা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

সতর্কবার্তা – উপরের দেওয়া তথ্যগুলো কোন সরকারি অফিসিয়াল তথ্য নয়। শুধুমাত্র জানকারি জন্য দেওয়া হয়েছে। যে কোনো ব্যাবসা করতে হলে অবশ্যই তার সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ নিবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *