make corn flour – গম, ভুট্টা, জব, চাল পেশাই কিভাবে করবেন, কি কি মেশিন ও সরঞ্জামের প্রয়োজন, খরচ বিস্তারিত জানুন।

বাংলার মানুষেরা ভাতকে যতই পছন্দ করুক না কেন। বেশির ভাগই মানুষ গমের রুটি বা চালের পিঠে খেতে খুবই পছন্দ করে। বিশেষত মানুষ দুপুরে ভাত খেলেও রাত্রিবেলায় যে কোন কিছুর তৈরি রুটি খেতে বেশিরভাগ মানুষই আগ্রহ প্রকাশ করে। তাছাড়া সেকা রুটি সঙ্গে তরকারি যদি থাকে তাহলে মানুষের কাছে আরো প্রিয় হয়ে ওঠে। আবার চাল বা গমের রুটি অনেক পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ রয়েছে। অনেক সময় আপনারা লক্ষ্য করেছেন ডাক্তাররাও রাত্রিবেলা অনেক ব্যক্তিকে রুটি খাওয়ার কথা বলে থাকে।

তাই অনেকেই রয়েছেন যারা গম কিনে তা থেকে আটা তৈরি করে পিঠে বানিয়ে অর্থাৎ রুটি বানিয়ে খেয়ে থাকে। তাই গম প্যাচানোর চাহিদা সারা বছর কম বেশি থেকেই থাকে। আবার চাইলে আপনারা নিজে গম কিনে সেটিকে প্যাকেট করেও বাজারে বিক্রি করতে পারেন। এই সম্পর্কেও বিস্তারিত এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরে যাবেন।

গমের কথা ছাড়াও আজকাল ভুট্টা পেশায়ও হয়ে থাকে। বাজারে আপনারা খোঁজ করলে ভুট্টার আটাও পেয়ে যাবেন। এই পেসাই করা ভুট্টা ছাতু হিসেবেও খাওয়া যায়। শুধুমাত্র পেশাই করা ভুট্টা হালকা জলের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে একটুকু মাখিয়ে নিলেই মোমের মতো তৈরি হয়ে যাবে। যা খেতেও খুবই সুস্বাদু। কেননা মুড়ি থেকে যে ছাতু তৈরি করা হয় তাতে যে স্বাদ থাকে তার থেকেও বেশি মিষ্টি এবং সুস্বাদু এই ভুট্টার তৈরি ছাতু থেকে পাওয়া যায়।

গম, ভুট্টা বা অন্যান্য কিছু পেশাই করে, তা মার্কেটে বিক্রি করে কিভাবে ইনকাম করবেন সেই সম্পর্কে সম্পূর্ণ ডিসকাস করা হবে। যা আপনাকে যেখানে একটি কাজ করে জীবিকা নির্বাহের পথ দেখাবে।

👉 এই ব্যবসার সুবিধা

  • এই ব্যবসা আপনি বাড়িতে থেকেই করতে পারবেন।
  • এই ব্যবসার জন্য আপনাকে খুব বেশি দক্ষ হতে হবে না
  • এর জন্য আপনাকে অনেক টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না
  • আবার যারা যারা গম, ভুট্টা, চাল পেশাই করতে ইচ্ছুক তারা নিজেরাই আপনার কাছে এসে পেসাই করে যাবে।

👉 মেশিন বা যন্ত্রপাতি

এই ব্যবসা করার জন্য আপনার কয়েকটা যন্ত্রপাতি এবং মেশিনের প্রয়োজন হবে।

পেশাই মেশিন – এই মেশিন আপনার চাল, গম বা ভুট্টা কে আটাই পরিণত করতে কাজে লাগবে। এই মেশিন বিভিন্ন পার্ট সহ যুক্ত আকারেও থেকে থাকে। আবার কিছু কিছু যন্ত্রাংশ আলাদা আলাদা অবস্থাতেও থেকে থাকে যা পরবর্তীকালে আপনি যুক্ত করতে পারবেন। তবে ছোট আকারের ব্যবসার জন্য সেট সহ মেশিনটি সবচেয়ে ভালো।

মোটর – যদি আপনি সেট সহ মেশিন কিনেন তাহলে ওটিতে মোটর সংযুক্ত অবস্থাতেই থাকবে। আর বড় ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে এগুলি উন্নতমানের এবং বড় বড় বেশি শক্তিযুক্ত যন্ত্রাংশ আলাদা আলাদা ভাবে কিনে যুক্ত করতে হবে।

ট্যাংক – আটা পেশাই হয়ে যাওয়ার পর সেগুলিকে সংরক্ষণ করার জন্য একটি পাত্র বা ট্যাংক এর প্রয়োজন হবে। তবে আটা যেখান থেকে পেশাই হয়ে বেরিয়ে আসবে সেখানে একটি বস্তা বেঁধে দিলেও কাজ চলে যাবে।

প্যাকিং মেশিন – যদি আপনি হঠাৎ তৈরি করে বাজারেতে প্যাকেটের মাধ্যমে বিক্রি করতে চান। তাহলে আটা গুলিকে প্যাকেট করার জন্য একটি পাঞ্চিং মেশিনের প্রয়োজন হবে। আর যদি আপনি শুধু অন্যান্য ব্যক্তিদের পেশাই করার কাজ করেন তাহলে এই যন্ত্রের প্রয়োজন হবে না।

👉 আটা পেশাই পদ্ধতি

প্রথম – প্রথমে আপনাকে গম, জব, ভুট্টা, চাল ইত্যাদি গুলিকে মেশিনের হলারে ঢালতে হবে।

দ্বিতীয় – এরপর মেশিনটিকে চালু করতে হবে। মেশিনটি চালু করার সঙ্গে সঙ্গেই অটোমেটিক্যালি যে সমস্ত কাঁচামাল গুলি আপনি হলারেতে দিবেন সেগুলি পেশাই হয়ে বেরিয়ে আসবে।

👉 কাজের জন্য জায়গা

এই ব্যবসা শুরু করার জন্য খুব বড় জায়গার প্রয়োজন হবে না। আপনি যদি ছোট ভাবে এই ব্যবসাটি শুরু করতে যান তাহলে আপনার দুই থেকে তিন ডেসিমেল জায়গা হলেই মোটামুটি হয়ে যাবে। আর যদি আপনি খুব বড় আকারের ব্যবসাটি শুরু করতে যান তাহলে মোটামুটি ১২ থেকে ১৫ ডেসিমেল জায়গা হলেই কাজ চলে যাবে। কেননা সেখানে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ স্থাপন করতে হবে সঙ্গে বেশি মাল উৎপাদন হওয়ার কারণে স্টোরেজেরও ব্যবস্থা রাখতে হবে।

👉 খরচ

খরচ – এই ব্যবসায় খরচ বলতে শুধুমাত্র মেশিনের খরচটি লাগে আর খুব একটা বেশি খরচ হয় না। আপনি যদি ছোট আকারের ব্যবসা শুরু করেন তাহলে সেট সমেত মেশিনটি আপনি ৩০০০০ টাকায় পেয়ে যাবেন। আর যদি আপনি বড় আকারের ব্যবসা শুরু করতে যান এবং নিজে থেকেই আটা কুটে প্যাকেট তৈরি করে বিক্রি করতে যান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচটা একটু বাড়তে পারে। কেননা সেখানে আপনাকে গম, জব, ভুট্টা ইত্যাদি কিনতে হবে সঙ্গে আরো অন্যান্য কয়েকটা যন্ত্রপাতি কিনতে হবে। তাছাড়া যদি আপনি বড় ব্যবসার জন্য বড় মেশিন কিনতে যান আপনার দুই থেকে তিন লক্ষ টাকার মতো পড়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *