tips to business success – যেকোনো ব্যবসা সফল করার চাবিকাঠি গুলি কি কি। অর্থাৎ কোন ব্যবসা সাকসেস করতে কি কি উপায় অবলম্বন করতে হবে, তা জানুন ।

Tips for business success, business success tips
Photo from pixabay.com

যেকোনো ব্যবসা সেই ছোট হোক বা বড় হোক। ওই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তির কাছে ওই ব্যবসাটিই সবচেয়ে বড়। হিন্দিতে একটা নীতিবাক্য আছে যে “ধান্দে মে কোই ভি ধান্দা ছোটা নেহি হোতা” অর্থাৎ ব্যবসার মধ্যে কোন ব্যবসায় ছোট নয়। অন্য কারোও কাছে সেই ব্যবসাটি ছোট হতে পারে, কিন্তু যে ব্যবসাটি করে তার কাছেই ওই ব্যবসাটি সবচেয়ে বড়।

যেকোনো ব্যবসা সাকসেস করতে হলে বিশেষ কতগুলি উপায় (work tips) অবলম্বন করা বিশেষ প্রয়োজন। যাতে করে ব্যবসাকে বড় করে তা থেকে খুব ভালো প্রফিট করা যেতে পারে। কিন্তু ভালো প্রফিট পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য কাজ। এর জন্য ব্যবসার অগ্রগতি প্রয়োজন ।

আর ব্যবসার এই অগ্রগতি রাখার জন্য ব্যবসায়ী ব্যক্তিকে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। সেই সমস্ত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করতে হয়, যেগুলি ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে সফল করতে সাহায্য করে।

ব্যবসা যদি সফলভাবে না চলে, তাহলে ব্যবসার দিকে ব্যবসায়ী ব্যক্তির হীনমন্যতা পরিলক্ষিত হয়। ব্যক্তি মানসিক দিক থেকেও চিন্তিত হয়ে পড়ে। সে নানান চিন্তাভাবনা করতে থাকে, যে কিভাবে তার ব্যবসাটিকে সফল করা যায়।

তাই একটি ব্যবসা কে সফল করতে ( tips to business success ) হলে কি কি বিষয়ের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে । তা এই পোস্টটির মাধ্যমে আলোচনা করা হলো। যা আপনাদের যেকোনো একটি ব্যবসা শুরু করতে এবং সেটিকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিশেষভাবে সাহায্য করতে পারে ।

প্রথমত, বাজার গবেষণা – আপনি যে ব্যবসাটি করবেন বলে ভাবছেন, ব্যবসাটি শুরু করার পূর্বে বাজার গবেষণা করে দেখে নিবেন। যে আপনার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত পণ্য গুলির চাহিদা কি রকম রয়েছে। এমন পণ্য আপনি উৎপাদন করতে লাগলেন যার চাহিদা বাজারে নেই বললেই চলে। বা হয়তো অনেকেই এই ব্যবসা আগে থেকেই করছেন। সেক্ষেত্রে আপনি যদি এই ব্যবসা শুরু করেন আপনার পণ্য বাজারে খুব একটা বিক্রি হবে না বললেই চলে। আপনাকে একটি ইউনিক ব্যবসা ভাবতে হবে, যেটি আপনার পাশাপাশি নাই বললেই চলে।

দ্বিতীয়ত, বাজেট স্থির – বাজার গবেষণার পর আপনাকে স্থির করতে হবে আপনি ব্যবসাটি বড় আকারের, না মাঝারি আকারের, না ছোট আকারের করতে চান। এবং আপনাকে আপনার ব্যবসার বাজেট স্থির করতে হবে। যা আপনার কাছে থাকা টাকার উপর নির্ভর করবে।

তৃতীয়ত, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ক্রয় – আপনি যে ব্যবসাটি শুরু করবেন বলে ভাবছেন। সে ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কিত নানান প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আপনাকে ক্রয় করতে হবে। সে সমস্ত সরঞ্জাম হতে পারে নানান মেশিন বা যন্ত্রপাতি অথবা নানান ধরনের কাঁচামাল।

চতুর্থত, কাঁচামালের প্রতুলতা – আপনি যে ব্যবসাটি শুরু করবেন বলে ভাবছেন সেই ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কিত নানান কাঁচামালের প্রতুলতা থাকবে। অর্থাৎ খুবই অল্প দামে সহজেই কাঁচামাল গুলি পাওয়া যাবে।

পঞ্চমত, উপযুক্ত স্থান চয়ন – আপনার ব্যবসাটি ব্যক্তিদের চাহিদার উপর নির্ভর করে লোকালয় পূর্ণ অর্থাৎ বাজার এলাকায় করতে হবে। যাতে আপনার তৈরি পণ্যটি সহজেই বিক্রি হয়।

ষষ্ঠত, উপযুক্ত কর্মী নির্বাচন – যেকোনো ব্যবসা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা উপযুক্ত কর্মী নিজের নির্বাচনের উপর অনেক ক্ষেত্রে নির্ভর করে। আপনাকে ওই সমস্ত কর্মী নিয়োগ করতে হবে যারা আপনার ব্যবসা দ্বারা তৈরি পণ্য খুব সহজে তৈরি করতে পারে। বা খুব সহজেই ওই পণ্যকে বিক্রি করতে পারে যা আপনি বিক্রি করছেন। তাদের ব্যবহারও ভদ্র নম্র হবে।

সপ্তমত, সঠিক দাম নির্বাচন – আপনাকে আপনার তৈরি পণ্যের সঠিক দাম নির্বাচন করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে একই পণ্য বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তার থেকে যথাযোগ্য কিছুটা হলেও কম দাম নির্বাচন করা। যাতে বেশি পরিমাণে গ্রাহকেরা আপনার কাছে পণ্য কিনে।

অষ্টমত, গ্রাহকদের প্রতি যে যে ব্যবহার করতে হবে –

  • গ্রাহকদের প্রতি ভদ্র ও নম্র ব্যবহার করতে হবে।
  • নজর রাখতে হবে আপনার বা আপনার কর্মীর দ্বারা ব্যবহারে গ্রাহক যেন অসন্তুষ্ট বা ক্ষিপ্ত না হয়ে যায়।
  • মাঝে মাঝে বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে আপনার ব্যবসার পণ্যের উপর ডিসকাউন্ট দিবেন অর্থাৎ ছাড় দিবেন।
  • গ্রাহকদের পেমেন্ট করতে যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্য বিভিন্ন বিকল্প রাখা।
  • গ্রাহকের সঙ্গে হেসে খেলে ও শান্ত মেজাজে কথা বলা।

নবমত, ভালো ভাবে প্রচার – যে কোন ব্যবসাকে সফল করার জন্য প্রচার কার্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। নিম্নে প্রচারকার্য চালানোর বিভিন্ন দিক উল্লেখ করা হল ~

  • আপনার ব্যবসার জন্য একটি বা দুটি বড় সাইনবোর্ড তৈরি করে আপনার দোকানের আগে এবং লোকালিটি এলাকায় টাঙ্গানো।
  • আপনার ব্যবসার জন্য হ্যান্ডবিল তৈরি করে প্রদান করা।
  • আপনার ওয়েবসাইটটি যদি নির্দিষ্ট লোকাল এলাকায় হয়, তাহলে লোকাল টিভি চ্যানেলেও অ্যাড দেখাতে পারেন।
  • আপনার ব্যবসা সম্পর্কে মাইকের সাহায্যে প্রচার কার্য চালাতে পারেন।
  • আপনার ব্যবসাটি যদি লোকাল এলাকা ছাড়াও, নিজস্ব দেশ বা অন্যদেশেও প্রচার কার্য চালাতে চান, তাহলে অনলাইন এডসের সাহায্য নিতে পারেন।
  • বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একাউন্ট তৈরি করে আপনার ব্যবসার প্রচারকার্য চালানো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *