Trade License In Bangladesh – বাংলাদেশে ট্রেড লাইসেন্স তৈরির অনলাইন ও অফলাইন পদ্ধতি, এবং রেনুয়াল পদ্ধতি, কি কি কাগজপত্র লাগবে সমস্ত তথ্য জানুন।
যেকোনো ব্যবসা শুরু করতে হলে, প্রথমেই এর পরিকল্পনার পাশাপাশি একটি ট্রেড লাইসেন্স অবশ্যই নিতে হয়। আপনি যখন একটি ট্রেড লাইসেন্স ( Trade License ) বানান তখন কোন সমস্যা ছাড়াই আপনি সহজেই আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং মুনাফা অর্জন করতে পারেন।
আজকে আপনাদের এই গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টটিতে বলবো ট্রেড লাইসেন্স কি ( Trade License ) ? এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্রে কিভাবে ট্রেড লাইসেন্সর জন্য আবেদন করা হয়।
অনলাইন এবং অফলাইন উভয় পদ্ধতিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স ( trade licence ) তৈরির পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এবং শুধু তাই নয়, ট্রেড লাইসেন্সের সুবিধা কী, ট্রেড লাইসেন্স renewal পদ্ধতি, ইত্যাদি সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
📝👉 ট্রেড লাইসেন্স কি ও এর সুবিধা
👉 ট্রেড লাইসেন্স কি?
ট্রেড লাইসেন্স ( trade license ) ব্যাবসার অধিকার পত্র নামে পরিচিত।যেকোনো ব্যবসা শুরু করার জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দরকারী লাইসেন্স বা আইনি নথি। বাংলাদেশী এই ট্রেড লাইসেন্স প্রদান প্রদান করে প্রধানত শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা এবং গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ ।
আপনার যদি এই নথিটি থাকে তবে আপনি সহজেই আপনার ব্যবসা শুরু করতে এবং চালাতে পারেন কোনো ঝামেলা না সমস্যা ছাড়াই।
একটি ট্রেড লাইসেন্স ( trade licence ) পেতে আপনাকে ব্যবসা শুরু করার ১০-১৫ দিন আগে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি সহ আবেদন করতে হবে এবং বাংলাদেশে আপনি অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ভাবে আবেদন করতে পারেন।
👉 ট্রেড লাইসেন্সের সুবিধা
আপনার কাছে যদি একটি ট্রেড লাইসেন্স ( trade license ) থাকে তাহলে কোনরকম বাধা বা ঝামেলা ছাড়াই আপনি আপনার ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন।
আপনার কাছে যদি একটি ট্রেড লাইসেন্স থাকে তাহলে আপনার ব্যবসাটি একটি সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে থাকে। আপনার কাছে যদি ট্রেড লাইসেন্স ( Trade License ) থাকে তাহলে আপনার ব্যবসাটি গ্রাহক অর্থাৎ কাস্টমারদের কাছেও অনেকটা অগ্রাধিকার পায়।
একটি ট্রেড লাইসেন্স ( trade licence ) আপনাকে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কম্পিটিশন করতে সাহায্য করে। এবং তাদের থেকে সফলতা অর্জনে সাহায্য করে যাদের কাছে ট্রেড লাইসেন্সটি নেই।আপনার কাছে যদি ট্রেড লাইসেন্স থাকে তাহলে যে কোন সরকারি অফিসার বা কর্মচারী, ওই ব্যবসাটির জন্য আপনাকে অকারণে হেনস্থা বা পেরেশান করতে পারবে না।
📝👉 ট্রেড লাইসেন্সের প্রকারভেদ
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে যে কোন ট্রেড লাইসেন্সের ( trade license ) অধীনে আমাদের ব্যবসা নিবন্ধন করতে হবে এবং বাংলাদেশে ট্রেড লাইসেন্স ( trade license category ) কত প্রকার হয়।
এখানে আমরা নিচে বাংলাদেশে ট্রেড লাইসেন্সের ধরন ( trade license category bangladesh ) সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেছি। একবার আপনি নীচের দেওয়া তথ্যগুলি মনোযোগ সহকারে বুঝে নিলে, আপনার ব্যবসার জন্য কোন ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া উচিত এবং কোনটি উচিত নয় তা আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
👉 খাদ্য প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স
আপনি যদি বাংলাদেশে খাদ্য ও পানীয় সম্পর্কিত কোনো ধরনের ব্যবসা করেন বা শুরু করার কথা ভাবছেন, তাহলে সবার আগে আপনাকে খাদ্য প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ( Food establishment license ) নিতে হবে।
আপনি যদি বাংলাদেশে এই ধরণের লাইসেন্স করে আপনার খাদ্য সম্পর্কিত কোন ব্যবসা করেন, তবে আপনার কোন সমস্যা হবে না । এবং আপনি যদি এই লাইসেন্স ব্যতীত কোন খাদ্য ও পানীয় সম্পর্কিত কোনো ধরনের ব্যবসা শুরু করেন, তবে আপনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ হইতে আইনি ব্যবস্থা নিতে হতে পারে।
শুধু তাই, জনগণের স্বাস্থ্যের সাথে খেলার জন্য আপনাকে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশের আইনী বিধির অধীনে শাস্তি দেওয়া হতে পারে।
👉দোকানের সাথে সম্পর্কিত ট্রেড লাইসেন্স
যদি বাংলাদেশে কোনো জিনিসের দোকান খুলেন, সেক্ষেত্রে দোকান খোলার জন্য ট্রেড লাইসেন্স ( Shop license ) নিতে হবে। এখন আপনি যদি দোকান খোলার সাথে সম্পর্কিত ট্রেড লাইসেন্স পান তবে আপনি কোনও বাধা ছাড়াই এবং সরকারী নিয়ম অনুসরণ করে যে কোনও ধরণের দোকান শুরু করতে পারেন এবং আপনি আপনার দোকানটি সম্পূর্ণরূপে চালাতে এই লাইসেন্সের সুবিধা পাবেন।
👉 শিল্প লাইসেন্স
ম্যানুফ্যাকচারিং বা কোনো কিছু তৈরির ব্যবসার সাথে জড়িত এমন ব্যবসার জন্য ম্যানুফ্যাকচারিং ট্রেড লাইসেন্স বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইসেন্স প্রয়োজন। এই ধরনের ব্যবসায় সাধারণত কল-কারখানা বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত।
ম্যানুফ্যাকচারিং ট্রেড লাইসেন্স বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইসেন্স পাওয়ার পর, আপনি যেকোন ধরনের শিল্প সম্পর্কিত ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এবং কোন বাধা ছাড়াই চালাতে পারবেন।
বাংলাদেশে একটি শিল্প-প্রতিষ্ঠান শুরু করার আগে, অবশ্যই একটি ম্যানুফ্যাকচারিং ট্রেড লাইসেন্স বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইসেন্স ( Industries license ) নিতে হবে, অন্যথায় আপনাকে সরকার থেকে এবং অন্যান্য বেসরকারি এনজিওগুলির মাধ্যমে আপনার শিল্প ব্যবসা শুরু করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে।
📝👉 ট্রেড লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি
👉 ট্রেড লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনি বাংলাদেশে অনলাইন বা অফলাইনে ট্রেড লাইসেন্সের ( trade license bd ) জন্য আবেদন করুন না কেন, সেই সময়ের মধ্যে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় নথির প্রয়োজন হবে এবং তবেই আপনি সহজেই আপনার ট্রেড লাইসেন্সের ( Trade License ) জন্য সফলভাবে আবেদন করতে পারবেন।
আমরা সকলেই জানি, আমরা যখনই কোনো সরকারি কাজ করতে যাই, আমাদের কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়, যার মাধ্যমে আমরা সেই কাজটিকে সরকারি অর্থাত্ বৈধ করতে পারি। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যদি বাংলাদেশে আপনার ট্রেড লাইসেন্সটি ( trade licence ) তৈরি করতে চান তবে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে। যেগুলি নিম্নরূপ –
- কোম্পানি বা মালিকের একটি জাতীয় পরিচয়পত্র
- কোম্পানির মালিকের পাসপোর্ট সাইজের ৩ কপি ছবি
- একটি ট্যাক্স পেমেন্ট রসিদ
- একটি কোম্পানি ইনকর্পোরেশন সার্টিফিকেট
- অ্যাসোসিয়েশনের মেমোরেন্ডাম এবং অ্যাসোসিয়েশনের নিবন্ধগুলির একটি প্রত্যয়িত অনুলিপি
- একটি ভ্যাট নিবন্ধন শংসাপত্র।
- সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ম ও প্রবিধান মেনে চলার জন্য নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের ঘোষণা
- ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (TIN)
- এছাড়াও, আপনি যেখানে আপনার ব্যবসা শুরু করতে চান সেই জায়গার জমি সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র আপনার কাছে থাকতে হবে।
- আপনি যদি ব্যবসা শুরু করার জন্য জমিটি ইজারা নিয়ে অর্থাৎ ভাড়া নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে অনাপত্তি সনদ তৈরি করতে হবে এবং একই সাথে আপনাকে আপনার সাথে ইজারা বা জায়গা ভাড়া সংক্রান্ত অন্যান্য নথিপত্র রাখতে হবে।
- ব্যবসায়িক সম্পত্তির মালিক বা প্রতিবেশীর কাছ থেকে সম্মতিপত্র অর্থাৎ তারা যে কোন আপত্তি করেনি তার একটি শংসাপত্র।
- যদি ব্যক্তিটি অন্য কোন দেশের হয়ে থাকে তো তার জন্য পাসপোর্ট এর কপি।
- আপনি যদি কারও সাথে অংশীদারিত্বে ব্যবসা শুরু করেন, তবে এমন পরিস্থিতিতে অংশীদারিত্বের সাথে সম্পর্কিত আপনার ব্যবসার শতকরা অংশীদার কে এবং কত লাভ তাকে সরবরাহ করতে হবে, এই সমস্তগুলির একটি স্ব-অংশীদারিত্বের শংসাপত্র প্রদান।
👉 ট্রেড লাইসেন্স আবেদন ফি কত লাগে?
ট্রেড লাইসেন্স করার সময়, আপনি আপনার নিকটস্থ অফিসে যাবেন, তারপর আপনি সেখানে নির্ধারিত ফিগুলির একটি তালিকা দেখতে পাবেন, যেখানে আপনার লাইসেন্সের বছর অনুসারে ফি নির্ধারণ করা হবে।
প্রতিটি জায়গায় ট্রেড লাইসেন্স ( trade license ) পাওয়ার জন্য আলাদা আলাদা ফি রয়েছে । এমনকি যখন আমরা আমাদের ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুনরায় Renew করতে যাই, তখনও আমাদের কিছু নির্ধারিত ফি জমা দিতে হয়।
📝👉 ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার প্রক্রিয়া
আপনি যদি ট্রেড লাইসেন্স পেতে চান তবে আপনি অফলাইন এবং অনলাইন উভয় মোডে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। ট্রেড লাইসেন্স ( trade license ) পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার উভয় ধরনের পদ্ধতিই জনগণের কাছে অ্যাক্সেসযোগ্য করে দিয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স পেতে আপনি যেভাবেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না কেন, আপনি এটির জন্য আবেদন করতে পারেন।
আমরা আপনাকে ধাপে ধাপে অনলাইন এবং অফলাইনে ট্রেড লাইসেন্স তৈরির প্রক্রিয়াটি নীচে বলব।
👉 অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স আবেদন
বাংলাদেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন ( trade licence online ) করার জন্য বর্তমানে মাত্র দুইটি জেলা এভেলেবেল রয়েছে। এই দুটি সিটি হল কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এবং রংপুর সিটি কর্পোরেশন। বর্তমানে এই দুইটি সিটি কর্পোরেশনে অনলাইনে আবেদনের জন্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তবে পরবর্তীকালে অন্যান্য জেলাগুলিকেউ অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্সের ( trade license ) আবেদনের জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তাই এই দুটি সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত আপনি যদি হয়ে থাকেন তাহলে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। না হলে কিন্তু অনলাইনের মাধ্যমে আপনারা ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
নিম্নে বাংলাদেশে অনলাইনের মাধ্যমে ই – ট্রেড লাইসেন্সের ( e trade license ) আবেদন পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো।
প্রথম – সর্বপ্রথম আপনাকে গুগলে তে সার্চ করে ভিজিট করতে হবে www.etradelicense.gov.bd – তো আপনাদের কাছে বাংলাদেশের ই ট্রেড লাইসেন্সের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ওপেন হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় – এরপর নতুন ইউজার হওয়ার জন্য আপনাকে ওই পোর্টালে একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। এর জন্য ” নতুন নিবন্ধনের জন্য ক্লিক করুন ” এর উপরে ক্লিক করবেন।
তৃতীয় – এরপর সাইন আপ করার জন্য আপনাদের কাছে একটি ফর্ম ওপেন হয়ে যাবে। আপনি যেই সিটি কর্পোরেশনে থাকেন সেই সিটি কর্পোরেশন সিলেক্ট করে, মোবাইল নাম্বার এবং যে যে ইনফরমেশন গুলি দেওয়ার কথা বলবে সেগুলি দেওয়ার পর। নিচে ” নিবন্ধন করুন ” এ ক্লিক করে দিবেন।
চতুর্থ – এরপর আপনি যে মোবাইল নাম্বারটি দিবেন। সেই নাম্বারে একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে। কোডটি পুট করার পর নিচে ” অগ্রসর ” বাটনে ক্লিক করে এগিয়ে যাবেন। তো আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করার প্রসেস কমপ্লিট হয়ে যাবে।
পঞ্চম – এরপর পুনরায় আপনাকে লগইন করার ডাস্টবোর্ড দিতে ব্যাক আসতে হবে। এবং অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করার সময় যে মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ডটি দিয়েছিলেন সেগুলি পুট করার পর নিচে ” লগইন ” এ ক্লিক করলে পুনরায় আপনার ওই মোবাইল নাম্বারে আবার একটি কোড আসবে, কোডটিকে পুট করার পর আপনারা ওয়েবসাইটের মধ্যে লগইন হতে পারবেন।
ষষ্ঠ – লগিন হওয়ার পর অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স এর আবেদনের জন্য ওয়েবসাইটটির হোম ডাস্টবোর্ড টিতে ” নতুন আবেদন ” এর অপশন পাবেন। তো এর উপরে ক্লিক করবেন।
সপ্তম – এরপর আপনাদের কাছে ট্রেড লাইসেন্সের ( trade license ) আবেদনের জন্য ফর্ম ওপেন হয়ে যাবে। এবং ফরমটিতে যা যা তথ্য যা হবে সেগুলিকে আপনাকে পূরণ করতে হবে।
অষ্টম – এরপর ফর্মের সঙ্গে আপনার ফটো এবং যা যা ডকুমেন্টস আপলোড করার কথা বলা হবে। সেগুলিকে আপনারা স্ক্যান করে বা মোবাইলের সাহায্যে ফটো তুলে আপলোড করে দিবেন।
নবম – এরপর এরপর ট্রেড লাইসেন্স এর আবেদনের জন্য ফিস পেমেন্ট ( trade license bd fee )করার কথা বলতে পারে। তো আপনার ব্যবসার ধরন অনুযায়ী ফি এর পরিমাণ কম বেশি হতে পারে। তো যে টাকা পে করার কথা বলবে সেই টাকা আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে।
দশম – আপনি ফি প্রদান করার সাথে সাথে আপনি আপনার ফি প্রদানের নিশ্চিতকরণ পাবেন এবং তারপরে আপনার ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদনটি অনলাইনে সফলভাবে গৃহীত হবে। এরপর যদি সাবমিট এর অপশন দেখতে পান এক্ষেত্রে আপনি সাবমিট এ ক্লিক করে ফরমটিকে সাবমিট করে দিবেন।
ফরমটি সাবমিট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আপনারা একটি অ্যাকনলেজমেন্ট সিলিপ পেয়ে যাবেন, যাতে আপনার ট্রাকিং আইডি থাকতে পারে। যার সাহায্যে আপনারা পরবর্তীকালে অনলাইনে চেক ( trade license check online ) করতে পারবেন যে আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি এপ্রুভড হল, না রিজেক্ট হল।
একাদশ – এখন আপনার দ্বারা জমা দেওয়া ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন ফর্মটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাচাই ( e trade license check ) করা হবে এবং একবার আপনার দ্বারা পূরণ করা সমস্ত নথি এবং তথ্য যাচাই হয়ে গেলে এক সপ্তাহের মধ্যে আপনি আপনার ট্রেড লাইসেন্সটি ( e trade license ) পেয়ে যাবেন।
👉 অফলাইনে ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন
অফলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ট্রেড লাইসেন্স ( trade license in bangladesh ) বানানোর জন্য আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
প্রথম – বাংলাদেশে অফলাইনের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স বানানোর জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে, শহরাঞ্চলে হয়ে থাকলে আপনার নিকটস্থ সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা অফিস অথবা গ্রামাঞ্চলে হয়ে থাকলে আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
দ্বিতীয় – এরপর আপনাকে সেখানকার কর্মচারী বা অফিসার কে ট্রেড লাইসেন্স বানানোর ব্যাপারে বলতে হবে। এবং তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে ট্রেড লাইসেন্স অফলাইনে বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে , এছাড়া এর জন্য এপ্লিকেশন ফর্ম ( trade license application form ) কোথায় পাওয়া যাবে এবং ফরমটি ফিলাপ করার পর তার সঙ্গে কি কি ডকুমেন্টস অ্যাটাচ করতে হবে, কত টাকা ফিস লাগবে এবং ফর্মটির কোথায় জমা দিতে হবে । এইখানে অফিসাররা হয়তো আপনার কাছে জানতে চাইতে পারে, যে আপনি কোন শিল্প বা ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করবেন।
তৃতীয় – তারা আপনার শিল্প বা ব্যবসাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর ট্রেড লাইসেন্স বানানোর জন্য একটি ফর্ম আপনাকে দিতে পারে। অথবা ট্রেড লাইসেন্স এর ফ্রম কোথায় গেলে পাওয়া যাবে সেই সম্পর্কে অনুসন্ধান দিতে পারে।
চতুর্থ – এরপর আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি নিয়ে , যা যা তথ্য চাওয়া হবে সেই অনুযায়ী এপ্লিকেশন ফর্মটি ফিলাপ করতে হবে।
পঞ্চম – ট্রেড লাইসেন্সের জন্য ফর্মটি ফিল আপ করার পর, যে যে ডকুমেন্টস চাওয়া হবে সেই সেই ডকুমেন্টসের জেরক্স কপি এপ্লিকেশন ফর্মটির পেছনেতে অ্যাটাচ করে দিবেন।
ষষ্ঠ – এরপর ফিলাপ করা ফরমটি নিয়ে যেখানে জমা দেয়ার কথা বলা হবে সেইখানে গিয়ে জমা দিতে হবে।
সপ্তম – ফর্মটি জমা দেয়ার সঙ্গে এর জন্য ফিস দেওয়ার কথা বলতে পারে। তো তিনারা যত টাকা ফিসের কথা বলবে সেই টাকা আপনি তাদেরকে জমা দিয়ে দেবেন।
অষ্টম – এরপর আপনাকে জেনে নিতে হবে , আপনাকে কোন এপ্লিকেশন আইডি দেওয়া হবে কিনা। যদি এপ্লিকেশন আইডি দেয় তো আপনি সেটিকে যত্ন করে রাখবেন। সঙ্গে তাদের কাছ থেকে জেনে নিবেন যে কতদিন পর ট্রেড লাইসেন্সটি পাওয়া যাবে।
নবম – এরপর লাইসেন্সিং সুপারভাইজার দ্বারা আপনার আবেদন পত্রটি এবং সংযুক্ত নথির যাচাইকরণ হবে। যদি সমস্ত কিছু ঠিক থাকে তো আপনার অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি গ্রহণযোগ্য হবে।
👉 কিভাবে ট্রেড লাইসেন্স সার্টিফিকেট পাওয়া যায়?
শহরাঞ্চলে হয়ে থাকলে আপনার নিকটস্থ সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা অফিস অথবা গ্রামাঞ্চলে হয়ে থাকলে আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। অর্থাৎ যেখানে গিয়ে আপনি ট্রেড লাইসেন্সের ( trade license ) জন্য আবেদন করবেন। সেখান থেকেই আপনি ট্রেড লাইসেন্স সার্টিফিকেট প্রাপ্ত করতে পারবেন।
এছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে আপনারা এটিকে print করে নিতে পারবেন। এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করে। যেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনারা ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন।
📝👉 ট্রেড লাইসেন্স রেনুয়াল কিভাবে করা যায়
বাংলাদেশে ট্রেড লাইসেন্স ( trade license in bangladesh ) মেয়াদ কাল ১ম জুলাই থেকে ৩০শে জুন পর্যন্ত থাকে। প্রতিবছর ৩০শে জুনের পর ট্রেড লাইসেন্স টিকে রেনুয়েল ( trade license renewal ) করতে হয় অর্থাৎ পুনর্নবীকরণ করতে হয়।
👉অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স রেনুয়াল পদ্ধতি
www.etradelicense.gov.bdv ওই পোর্টালটি ক্লিক করে , যদি একাউন্ট আইডি এবং পাসওয়ার্ড চাই তাহলে একাউন্ট ক্রিয়েট করার সময় যে ইউজার আইডি পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন, সেই ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ওয়েবসাইটটি তে লগইন করে নিবেন। এরপর আপনারা ” লাইসেন্স নবায়ন ” এর উপরে ক্লিক করে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবেন।
👉 অফলাইনে ট্রেড লাইসেন্স রেনুয়ালের পদ্ধতি
অফলাইনের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স রেনুয়াল করার জন্য। আপনি যদি শহরাঞ্চলে হয়ে থাকলে আপনার নিকটস্থ সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা অফিস অথবা গ্রামাঞ্চলে হয়ে থাকলে আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে যেতে হবে।
এরপর পুনরায় আপনাকে ওখানকার অফিসার বা কর্মচারীদের কাছ থেকে রেনুয়াল করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। এবং পুনরায় রেনুয়াল ফরম ফিলাপ করে জমা দিতে হবে বিভিন্ন ডকুমেন্টের জেরক্সের সহিত। এবং পুনরায় আপনাকে ট্রেড লাইসেন্সের রেনুয়াল ফিস দিতে হবে।
📝👉 FAQ of Trade License
Q) ট্রেড লাইসেন্স কি?
ট্রেড লাইসেন্স ( trade license ) ব্যাবসার অধিকার পত্র নামে পরিচিত।যেকোনো ব্যবসা শুরু করার জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দরকারী আইনি নথি। যা যেকোনো ধরনের ব্যবসা কোন অসুবিধা বা ঝামেলা ছাড়াই চালাতে সাহায্য করে।
Q) কোন ব্যবসা শুরু করার আগে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া কি বাধ্যতামূলক?
বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো ধরনের ব্যবসা শুরু করার আগে, আপনার ব্যবসার একটি ট্রেড লাইসেন্স ( trade license ) তৈরি করা উচিত এবং যেকোনো ধরনের ব্যবসা শুরু করার আগে এটি সবচেয়ে বাধ্যতামূলক কাজ।
Q) সর্বোচ্চ কত দিনের জন্য ট্রেড লাইসেন্স করা যায় ?
যেকোনো ব্যবসার জন্য সর্বোচ্চ ১ বছরের জন্য ট্রেড লাইসেন্স করা যায়।
Q) বাংলাদেশে ট্রেড লাইসেন্সের সময়সীমা কোন দিন থেকে কোন দিন ?
বাংলাদেশে ট্রেড লাইসেন্স ( trade licence in bangladesh ) মেয়াদ কাল ১ম জুলাই থেকে ৩০শে জুন পর্যন্ত থাকে। প্রতিবছর ৩০শে জুনের পর ট্রেড লাইসেন্স টিকে রেনুয়েল করতে হয় অর্থাৎ পুনর্নবীকরণ করতে হয়।
Q) ট্রেড লাইসেন্স কি অনলাইনে আবেদন করা যায় ?
বাংলাদেশী সব জেলায় থেকে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যায় না। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এবং রংপুর সিটি কর্পোরেশন। বর্তমানে এই দুইটি সিটি কর্পোরেশনে অনলাইনে আবেদনের জন্য বা ই-ট্রেড লাইসেন্স ( e trade license ) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তবে পরবর্তীকালে অন্যান্য জেলাগুলিকেউ অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্সের আবেদনের জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
Q) অফলাইনে কি ট্রেড লাইসেন্স আবেদন করা যায় ?
হ্যাঁ, আপনি যদি শহরাঞ্চলে থেকে থাকেন থাকলে আপনার নিকটস্থ সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা অফিস অথবা গ্রামাঞ্চলে হয়ে থাকলে আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে যেতে হবে। অফলাইনে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে।
সতর্কবার্তা – বাংলাদেশের ট্রেড লাইসেন্সের জন্য উপরিউক্ত তথ্যগুলি বাংলাদেশ সরকার দ্বারা নির্দেশিত কোন সরকারি নোটিশ নয়। এটি শুধুমাত্র ইনফরমেশনের জন্য। বাংলাদেশের ট্রেড লাইসেন্সের জন্য অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স এর সঙ্গে যুক্ত সরকারি অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।