66 Farming best business ideas – ৬৬ টি গুরুত্বপূর্ণ চাষবাসের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার হয়েছে এই পোস্টটিতে।
আপনি কি জানেন যে কৃষিকাজ বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা, কারণ কৃষিকাজ শুধুমাত্র খুব অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায় এবং মডার্ন টেকনিক (modern cultivation techniques) ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ফলন উৎপন্ন করা যায়। কিন্তু এই ব্যবসা থেকে 100% পর্যন্ত মুনাফা অর্জন করা যায়।
যেখানে আগে কৃষি ব্যবসাকে নোংরা এবং গরীব ও কৃষকদের ব্যবসা বলা হতো, সেখানে দেশে ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের কারণে বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম কৃষি ব্যবসার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে কৃষি ব্যবসায় নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের চেষ্টা করছে।
কৃষি ব্যবসা সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে, কোন রকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই সহজে শুরু করা যেতে পারে। একই সময়ে, কৃষি ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে কোনো ধরনের ডিগ্রি নেওয়ারও প্রয়োজন নেই, তবে এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে এর জটিলতা এবং পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে এবং এটি বুঝতে কিছুটা সময় দিতে হবে।
এই পোস্টে, আমরা কৃষি ব্যবসার কিছু আকর্ষণীয় ব্যবসায়িক ধারণা এবং এর সম্ভাবনার কথা বলেছি। যাতে আপনি ছোট শহর এবং গ্রামে এই ধরনের ব্যবসা করে সহজেই অর্থ উপার্জন করতে পারেন। কৃষি ব্যবসা সম্পর্কিত কিছু ব্যবসায়িক ধারণা নিম্নরূপ ~
📝👉 কৃষি ব্যবসা সম্পর্কিত ব্যবসায়িক ( best business ideas for Farming ) ধারণাগুলি নিম্নরূপ ~
👉 ধান চাষ ( Cultivation of paddy )
ধান থেকে চাল, আটা এবং বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য উৎপাদিত হয় । তাই সারা বিশ্বে সারা বছরই এর চাহিদা থেকেই থাকে। এই ধান চাষ করে খুব ভালো মুনাফা অর্জন করা যেতে পারে।
👉 গম চাষ ( Cultivation of wheat )
গম থেকে আটা এবং আটা থেকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য তৈরি হয়ে থাকে। বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন দেশে এই গম রপ্তানি করা হয়ে থাকে। তাই এর চাহিদাও সারা বছরই সারা বিশ্বে থেকেই থাকে। এই ব্যবসা করেও মোটা টাকার লাভ হয়ে থাকে। শুধুমাত্র গম চাষের পদ্ধতি জানা থাকলেই চলবে।
👉ভুট্টা চাষ ( cultivation of corn )
ভুট্টা থেকে আটা,ময়দা,পপকর্ন ইত্যাদি তৈরি করা হয়ে থাকে। এবং আটা-ময়দার সাহায্যে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য তৈরি করা হয়ে থাকে । তাই এর চাহিদা থেকে থাকে খুব ভালোই। এখানে আপনি নিজে চাইলে টাকে নিয়ে পপকর্ন তৈরি ( small business ideas ) করে বিক্রি করতে পারেন। এতে আপনার লাভের পরিমাণটা আরো বেড়ে যাবে।
👉সরিষা চাষ ( Mustard cultivation )
সরিষা রান্নার দ্রব্য হিসেবে এবং রান্নার তেল তৈরিতেও বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। তাই এর চাহিদাও সারা বছর দেশে এবং বিদেশে থেকেই থাকে। কেননা রান্নার জন্য তেলের তো প্রয়োজনই। তাই এই ব্যবসা করেও খুব ভালো ইনকাম করা যেতে পারে। কেননা এক লিটার সরিষা তেলের দাম প্রায় ২০০ টাকা বা কোন কোন জায়গায় সরিষা তেল এর দাম এরও বেশি।
👉 পাট চাষ ( cultivation of jute )
পাট থেকে সুতলি অর্থাৎ পাটের সুতো ( jute rope ) বা দড়ি তৈরি হয় । এই সুতো বা দড়ি বিভিন্ন ধরনের দ্রব্য প্যাকিং এর কাজে লাগে এছাড়া ঘরোয়া বিভিন্ন ধরনের দ্রব্য তৈরীর ( jute products ) ক্ষেত্রেও পাঠের সুতলি বা দড়ি ব্যবহৃত হয়। এবং পাটের থলি ( jute bag ) তৈরিতে ব্যবহৃত হয় । তাই এরও চাহিদা মোটামুটি ভালোই থাকে। পাট গাছের ( jute plant ) কান্ড আবার জ্বালানি হিসেবেও বিক্রি হয়। অর্থাৎ দুই ভাবে আপনারা এই পাট চাষ থেকে ইনকাম পেতে পারেন। এটিও খুব ভালো একটি চাষবাসের আইডিয়া ( best business ideas for Farming )
👉 খরগোশ পালন ( Rabbit rearing )
মানুষ তার শখে বিভিন্ন ধরনের পাখি , পশু বা প্রাণী পোষ মানিয়ে থাকে। যার মধ্যে জনপ্রিয় একটি হল খরগোশ ( rabbit mq )। কারণ খরগোশ দেখতে খুব সুন্দর ( rabbit images ) হয় এবং সহজেই পোষ মানে। তাই খরগোশ পালনের ফার্ম তৈরি করেও আপনারা ওখান থেকে ইনকাম পেতে পারেন।
👉 তাজা ফলের ব্যবসা ( Fresh fruit business )
তাজা ফল ( fresh fruits ) কে না খেতে ভালোবাসে। সকলেরই তাজা বা টাটকা ফল খেতে খুবই ভালো লাগে। তাই আপনারা বিভিন্ন ধরনের ফলের খ্যাতি করতে পারেন বা চাষীদের কাছ থেকে ফল নিয়ে তাজাফলের ব্যবসাও করতে পারেন। আপনারা তো বাজারে দেখেছেন বা শুনেছেন ফলের দাম আকাশ ছোঁয়া। এই ব্যবসা করে আপনারা খুব ভালো ইনকাম করতে পারবেন।
👉 শুকনো ফুলের ব্যবসা ( Dry flower business )
অনেক ফুল রয়েছে যেগুলি শুকনো হয়ে যাওয়ার পরেও কাজে লাগে । যেমন গাঁদা ফুল, গোলাপ ফুল ইত্যাদি শুকিয়ে যাওয়ার পরও সেগুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যেমন বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য প্যাকিংয়ের সময় ওই প্যাকিং এ গাঁদা ফুল বা গোলাপ ফুলের শুকনো অংশ দিয়ে প্যাকিং করা হয়। বা বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য তৈরিতেও গুঁড়ো করে শুকনো ফুল ব্যবহার করা হয়।
👉 বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ ( business of fish )
সারা বিশ্বে মাছ একটি জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু খাবার তাই সকলেই ভাতের সঙ্গে মাছকে খুব ভালোবাসে। তাছাড়া প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আপনারা খুব ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই চাষবাসের কথা বলতে গেলে মাছ চাষও একটি খুব ভালো ব্যবসার আইডিয়া ( best business ideas for Farming )
👉আম চাষ ( Mango cultivation )
আমও একটি খুবই জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু ফল। আম হজম শক্তিকে বৃদ্ধি (mango benefits ) করে। এছাড়া এতেও বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ রয়েছে ( mango eating benefits ) । আম থেকে বিভিন্ন ধরনের জুস তৈরি ( mango juice ) করা হয়ে থাকে। এবং আইসক্রিম তৈরীর ( mango ice cream ) কাজেও ব্যবহৃত হয় । এছাড়া আমের ( mango leaf ) পাতাও বিভিন্ন পূজা-পার্বণ এবং উৎসব-অনুষ্ঠানে কাজে লাগে। তাই আপনারা আমফলের চাষ করে আমার সিজনে খুব ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
👉পেয়ারা চাষ ( Guava Cultivation )
পেয়ারাও খুব ভালো একটি সুস্বাদু ফল। পেয়ারা মুখে লালারসের পরিমাণ বৃদ্ধি করে । এছাড়া এতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে। আপনারা হয়তো দেখেছেন বাজারে সারা বছরই পেয়ারা বিক্রি হয়ে থাকে। এবং খুব ভালো দামে এটা বিক্রি হয়ে থাকে। তাই পেয়ারা চাষ করেও আপনারা খুব ভালো ইনকাম করতে পারবেন।
👉খেজুর চাষ ( Date palm cultivation )
খেজুরো একটি সুস্বাদু ফল । খেজুর খেতে কে না ভালোবাসে। খেজুরের ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম,আয়রন ( dates benefits ) আরো বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে। খেজুর সারা বছরই বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে। ভালো প্রজাতির খেজুর বিদেশেও রপ্তানি হয়ে থাকে। যেমন ইরানি বা আরবের খেজুর আমাদের দেশেতে আমদানি হয়ে থাকে। আপনারা খেজুর চাষ ( date palm ) করে এখান থেকে মোটা টাকার আয় পেতে পারেন। এটিও খুব ভালো একটি চাষবাসের ব্যবসার আইডিয়া ( best business ideas for Farming )।
👉 লাল-সবুজ মরিচ বা লঙ্কা চাষ ( Red-green chilies farming )
মরিচ রান্না এবং অন্যান্য অনেক কাজে লেগে থাকে। মরিচ ( chilies ) বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো লাল এবং সবুজ মরিচ। এই মরিচ চাষ করে খুব ভালো মুনাফা অর্জন করা যায়।
👉আদা চাষ ( Ginger Cultivation )
আদা খুবই একটি উপকারী ফসল । আদা যেমন রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় তেমনি এর ঔষধিগুনও রয়েছে। এছাড়া আচার তৈরি, চকলেট তৈরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে আদার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তাই আদা চাষ করেও খুব ভালো মুনাফা অর্জন ( best business ideas for Farming ) করা যায়।
👉 রসুন চাষ ( Cultivation of garlic )
রসুনও রান্নার কাজেই বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া আদার মতো রসুনেরও ঔষধি গুণ ( garlic benefits ) রয়েছে। এবং রসুনের সাহায্যে ও আচার এবং বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য তৈরি ( garlic bread recipe ) করা হয়ে থাকে। এছাড়া বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের পিজ্জা তৈরিতেও ( garlic bread dominos ) রসুন ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই রসুন চাষ করি ভালো টাকা অর্জন করা যেতে পারে।
👉 পেঁয়াজ চাষ ( Onion Cultivation )
পেঁয়াজও রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। পেঁয়াজ ছাড়া রান্না সুস্বাদুহীন হয়। রান্না ছাড়াও কাঁচা পেঁয়াজ বিভিন্ন খাবার তৈরীর কাজেও ব্যবহৃত হয়। পেঁয়াজ প্রত্যেকের বাড়িতে প্রয়োজন। এমন কোন ব্যক্তি নাই যে সপ্তাহে সে কমসেকম এক কেজি পেঁয়াজ কিনে না থাকেন।
👉 আলু চাষ ( Potato cultivation )
আলুও রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। এবং আলোর বিভিন্ন উপকারিতাও রয়েছে ( potato recipes )। এছাড়া আলু দিয়ে চিপস এবং অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য ( potato recipes ) তৈরি করা হয়ে থাকে। এবং আলুর ফ্রাই ( potato fry ) তৈরি করেও বিক্রি বা খাওয়া হয় । বিভিন্ন ক্ষেত্রে আলুর চাহিদা বিশেষভাবে রয়েছে। আলু থেকে যে মূল বা পক বের হয় ( potato to plant ), সেগুলি কেটেই আলু গাছের চারা হিসেবে লাগানো হয়। আলু চাষ ( potato plant ) করেও খুব ভালো টাকা ইনকাম করা যায়।
👉 কাঠ ব্যাবসার জন্য বড় প্রজাতির গাছ চাষ ( Cultivation of large species of trees for timber trade )
কাঠ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম বা জিনিস তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। আমাদের ব্যবহারের বেশিরভাগ দ্রব্য বা সরঞ্জাম কাঠের তৈরি। তাই কাঠ ব্যবসার জন্য মূল্যবান এবং খুব দ্রুত বাড়ে এই ধরনের গাছ চাষ করা। এই ব্যবসা করেও হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।
👉 গাজর চাষ ( Carrot cultivation )
গাজর একটি সবজি হিসেবে পরিচিত। এটি মাটির নিচে ফলে। গাজরের বিশেষ উপকারিতা রয়েছে ( carrot benefits ) যেমন- গাজর সুগার লেভেল কে কন্ট্রোল করে ( carrot health benefits ), গাজর জুস তৈরীর কাজে লাগে আর এই গাজরের জুস ইমিউনিটি শক্তি বাড়ায় এবং ত্বক ও লিভারের জন্য খুবই উপকারী ( carrot juice benefits ) , গাজর হালুয়া তৈরির ( carrot halwa ) কাজে লাগে , এছাড়া গাজর কেক তৈরির ( carrot cake ) কাজে ব্যবহৃত হয়। এটিও রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া একটি রান্না না করে কাঁচা অবস্থাতেও খাওয়া যায়। তাই এই চাষ করে বিভিন্নভাবে ইনকাম ( best business ideas for Farming ) করা যায়।
👉 বিট চাষ ( Beet cultivation )
বিটও একটি রান্নার সবজি হিসেবে পরিচিত। বিট জুস তৈরীর কাজে লাগে আর এই বিটের জুস ইমিউনিটি শক্তি বাড়ায় এবং লিভারের জন্য খুবই উপকারী ( beet juice benefits ) , বিটও হালুয়া তৈরির ( beet halwa ) কাজে লাগে , এছাড়া বিট কেক তৈরির ( beet cake ) কাজে ব্যবহৃত হয়। এটিও রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া একটি রান্না না করে কাঁচা অবস্থাতেও খাওয়া যায়। তাই এই চাষ করেও বিটের মত বিভিন্নভাবে ইনকাম করা যায়।
👉 আঙ্গুর চাষ ( Grape cultivation )
আঙুর একটি পছন্দনীয় ফল। আঙ্গুর সবচেয়ে বেশি পছন্দনীয় হয়ে ওঠে ঋতুতে। সারা বছর এর চাহিদা থাকলেও গ্রীষ্মের রীতিতে এর চাহিদা আকাশ ছোঁয়া। আঙ্গুর ( grapes ) ফল হিসেবে যেমন খাওয়া হয় তেমনি জুস তৈরি করেও খাওয়া হয়। এছাড়া আঙুর কি শুকিয়ে কিশমিশ ( Raisins ) তৈরি করা হয় , আর এই কিসমিসের অনেক উপকারিতা ( raisins benefits ) রয়েছে । আঙ্গুর চাষে আঙুর ফলন খুব ভালোই হয়। এই আঙ্গুর চাষ করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম ( best business ideas for Farming ) করা যায়।
👉 অ্যাপেল চাষ ( Apple Cultivation )
আপেলো মানুষের একটি পছন্দনীয় ফল। সারা বছরই এই ফলের কেনাবেচা হয়ে থাকে। আপেলের জুসো তৈরি করে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এই ফলের চাষ করে খুব ভালো মুনাফা অর্জন ( best business ideas for Farming ) করা যায়।
👉 ডালিম চাষ ( Pomegranate cultivation )
ডালিম বা বেদানা ফল বেশিরভাগ মানুষেরই একটি প্রিয় ফল। কারণ এই ফলের দানাগুলো যেমনই পৌষাকতত্ত্বে ( pomegranate nutrients ) ভর্তি । এই ফল শরীরে রক্তের মাত্রা বৃদ্ধি ( pomegranate benefits ) করে। এই ফলের দামও খুব বেশি। এবং এই ফল সারা বছরই উৎপাদিত হয় এবং সারা বছর ই কেনাবেচা হয়ে থাকে। চাষবাসের মধ্যে এটি একটি খুব ভালো চাষবাসের আইডিয়া ( best business ideas for Farming )
👉আনারস চাষ ( Pineapple cultivation )
আনারসও একটি সুস্বাদু ফল । আনারসের অনেক উপকারিতা ( pineapple benefits ) রয়েছে। এছাড়া এটি জুস তৈরিতে ( pineapple juice ) ব্যবহৃত হয়। এবং এটি কেক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। সিজিনে সিজনেও এর দামও আকাশ ছোঁয়া হয়ে থাকে। কমপক্ষে যদি ৫০ টাকাও হয়ে থাকে তাহলে আপনি ১০০০টা আনারস বিক্রি করে ( ১০০০×৫০ = ৫০,০০০ ) পঞ্চাশ হাজার টাকা কমপক্ষে ইনকাম করে নিবেন।
👉বিভিন্ন লেবু চাষ ( Cultivation of various lemons )
বিভিন্ন ধরনের লেবু যেমন কমলালেবু, পাতিলেবু, মৌসুমী লেবু ইত্যাদি লেবু চাষ করে খুব ভালো ইনকাম করতে পারবেন। কেননা লেবুতে একটি সুস্বাদু খাবারই সঙ্গে একটি জুস তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। চাইলে আপনারা লেবু গাছগুলি ছোট অবস্থাতেও ভালো দামে ( lemon tree share price ) বাজারেতে বিক্রি করতে পারেন।
👉 পোস্তু চাষ ( Cultivation of poppy )
পোস্ত বিভিন্ন ভাজা বা সবজির সঙ্গে দিয়ে রান্না করলে ভাজা বা রান্নায় স্বাদই অন্যরকম হয়ে থাকে। এছাড়া বস্তুর দাম প্রতি কেজি ২,২০০-২,৭০০ টাকার মত। এটি একটি সবচেয়ে বেশি অর্থকারী ফসল। কিন্তু এই চাষ করতে হলে সরকারি অনুমতি অবশ্যই প্রয়োজন। না হলে এই চাষ বেআইনি হবে । পোস্ত হল আফিম, হেরোইন, ব্রাউন সুগারের মতো মাদক তৈরির মূল উপাদান।
👉কলা চাষ ( Banana Cultivation )
খুবই জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু ফল । এটি কাঁচা অবস্থায় রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় আবার পাকা অবস্থায় ফল হিসেবে খাওয়া হয়। কলাই প্রচুর পরিমাণে ক্যালরিজ থাকে ( banana calories )। কলা খিদের চাহিদা মেটাতে বিশেষভাবে সক্ষম এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন , প্রোটিন ( banana protein ) ও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকে ( banana benefits)। কলা বিভিন্ন ধরনের কেক ( banana cake ) , ব্রেড ( banana bread ) ও নানান ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। কলা সারা বছরই কেনাবেচা হয়ে থাকে। তাই এই ব্যবসা করলে খুব ভালো ইনকাম ( best business ideas for Farming ) করা যায়।
👉 নাশপাতি চাষ ( Pear cultivation )
নাশপাতি ও একটি বিশেষ ফল। যা শরীরে জলের মাত্রা ও অনেকটা নিবারণ করে। এছাড়া বাজারে নাশপাতি ( pear fruit ) খুবই কম পরিমাণে দেখা যায়। তাই বর্তমান অবস্থায় এই চাষ করলে খুবই লাভবান হওয়া যেতে পারে।
👉 টমেটো চাষ ( Tomato cultivation )
টমেটো রান্নার কাজে যেমন ব্যবহৃত হয়, তেমনই টমেটোর সস এবং টমেটোর সুপ ( tomato soup recipe ) তৈরিতে, চাটনি তৈরিতে ( tomato chutney ), আচার তৈরিতে ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় । এছাড়া টমেটোতে ভিটামিন B,C,E এবং পটাশিয়াম ( tomato benefits ) ও অন্যান্য নিউট্রিশনগুলি থাক ( tomato nutrients )। তাই এগুলোর চাহিদা খুব থেকে থাকে বাজারে। তাই এই চাষ করলে খুবই লাভবান হওয়া ( best business ideas for Farming ) যেতে পারে।
👉 সজনা ডাটা চাষ ( Sajne data cultivation )
সজনে ডাটা কার না পছন্দ। বিভিন্ন তড়িতরকারিতে দু একটা সজিনা টা দিয়ে দিলে তার সুগন্ধি আলাদা হয়ে যায়। এই সজনে ডাটা চাষ করে হিমঘরে রেখে অসিজিনে বিক্রি করলে খুব ভালো দাম পাওয়া যায়। অসিজিনে এর দাম ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
👉বেগুন চাষ ( brinjal cultivation )
বেগুনো একটি সবজি হিসেবে রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। এই চাষ করেও মোটামুটি একটা ভালো ইনকাম পাওয়া যায়।
👉 শসা চাষ ( Cucumber cultivation )
শসা সবজি হিসেবেও রান্না করে খাওয়া হয় এবং কাঁচা অবস্থায়ও খাওয়া যায়। শসা শরীরে জ্বরের ঘাটতি মেটাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। শসার আচার তৈরি ( cucumber to pickle recipe ) করা হয়ে থাকে। অসিজিনে এর দামও ৫০-৬০ টাকা প্রতি কেজি হয়ে থাকে।
👉সার ও কীটনাশক ব্যবসা ( fertilizer business )
বিভিন্ন ফসল বেশি পরিমাণে উৎপাদন করার জন্য এবং ফসলকে পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। তাই কৃষিকাজ বা চাষবাসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এই সার বা কীটনাশক ব্যবসা খুবই সাফল্যজনক ( best business ideas for Farming ) হতে পারে।
👉জ্বরি-বুটি বা ঔষধি গাছ চাষ ( Cultivation of medicinal plants )
বিভিন্ন ধরনের লতা, গুল্ম, পাতা, ফুল ও ফলের রয়েছে রোগ সারানোর ক্ষমতা । যেমন মেন্দা, বনধনে, তুলসী, পাথরকুচি, বাসক, থানকুনি,ধুতুরা, অ্যালোভেরা ( medicinal plants name ) । এই জাতীয় বিভিন্ন ধরনের গাছ , লতা বা গুল্ম চাষ করা। এগুলি জরিবুটি হিসেবেও কাজ করে আবার আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরিতেও কাজে লাগে। তাই এই জাতীয় লতা গুল্ম বা গাছ চাষ করে খুব ভালো মুনাফা অর্জন ( best business ideas for Farming ) করা যেতে পারে।
👉দুগ্ধ শিল্প ( Dairy farming )
গরু, মহিষ, ছাগল ইত্যাদি পুষে তা থেকে ও যে দুধ পাওয়া যায়। সেই দুধের ব্যবসা করেও খুব ভালো মুনাফা অর্জন করা যেতে পারে। তবে এর জন্য উন্নত প্রজাতির বিশেষত যেগুলি বেশি পরিমাণে দুধ দেয় সেই প্রজাতির গরু মহিষ এবং ছাগল কিনতে হবে। আপনি বাড়ির পাশে বা লোকালিটি এলাকায় একটি দুগ্ধ ফার্ম ( ( dairy farm ) তৈরি করে নিতে পারেন। তাই এটি খুব একটি ভালো ব্যবসার আইডিয়া ( best business ideas for Farming ) । বা চাইলে আপনারা দুগ্ধ চাষীদের ( dairy farmers ) কাছ থেকেও দুধ নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।
👉 বাচ্চা পশু চাষ ( Baby animal farming )
অনেকে বাচ্চা অবস্থায় গরু , মহিষ , ছাগল, দুম্বা, কুকুর , বিড়াল , ঘোড়া, ইত্যাদি পশু কিনে থাকে। আপনি এই জাতীয় পশুগুলির বাচ্চা পুষে। বাচ্চা অবস্থাতেও সেগুলিকে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন যেমন , চাইলে পালন করে বড় করেও বিক্রি করে আরো ভালো মুনাফ অর্জন করতে পারবেন।
👉 মাশরুম চাষ ( Mushroom cultivation )
আমাদের সমাজে বেশিরভাগ মানুষই মাশরুম খুব পছন্দ করে । মাশরুম বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরিতে ( mushroom recipes ) ব্যবহার করা হয়।। অনেকে আবার মাশরুমের বিরিয়ানিও (mushroom biryani ) করে খায় । মাশরুমে প্রোটিন এবং অ্যামাইনো এসিড খুব ভালো পরিমাণে থাকে( mushroom benefits )। এবং বাজারে ঘাটে মাশরুম বিক্রি করে এইরকম লোকের সংখ্যা খুবই অল্প। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ প্রজাতির মাশরুম (mushroom types ) লক্ষ্য করা যায়। তাই এই মাশরুম চাষ ( mushroom farming ) করে খুব ভালো ইনকাম করা যেতে পারে ( best business ideas for Farming ) । কারণ এখানে কম্পিটিশন খুবই অল্প।
👉 মুরগির মাংস উৎপাদন ( Poultry meat production )
আপনি গ্রামে বা শহরের যেখানেই থাকুন না কেন। মুরগি পালন করে সেই মুরগির মাংস বিক্রি করতে পারেন। অথবা মুরগি পাইকারি হিসেবে কিনে সেখান থেকেও আপনারা মাংস বিক্রি করতে পারেন।
👉 শামুক চাষ ( Snail farming )
আমাদের সমাজে শামুককে অনেকেই পছন্দ করে থাকে। এবং বাজার ঘাটে আপনি যদি দেখে থাকেন শামুক বিক্রি করে থাকি এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। তাছাড়া এই শামুক ( Snail ) খাবার হিসেবে তো ব্যবহার হয়েই থাকে, সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ তৈরির ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
👉কাজু উৎপাদন ( Cashew production )
আমাদের সকলের কাছেই কাজু বাদাম ( Cashew nut ) একটি জনপ্রিয় খাবার। এতে Magnesium, Manganese, Phosphorus, Zinc, Vitamin B6, Vitamin K , ( cashew nut benefits ) ইত্যাদি থাকে। এটি পেল এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহার হয়। দেশে যেমন প্রতিটি সমাজের মানুষের কাছেই কাজও খুবই জনপ্রিয় তেমনি বিদেশেও এটি খুবই জনপ্রিয়। তাই কাজু চাষ ( best business ideas for Farming ) করে খুব ভালো ইনকাম করা যেতে পারে।
👉 সূর্যমুখী চাষ ( Sunflower cultivation )
তেল তৈরির উপাদান হিসেবে সূর্যমুখী একটি অন্যতম । সূর্যমুখী যেমন তেল তৈরিতে ব্যবহৃত হয় তেমনি বিভিন্ন খাবার তৈরির ক্ষেত্রেও সূর্যমুখী ফুলের দানা বাদামের মতো হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাই এই ফুল চাষ করেও খুব ভালো মুনাফা অর্জন করা যেতে পারে ।
👉 নার্সারি উদ্ভিদ চাষ ( Nursery plant farming )
মানুষজন তার প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের ফুল,ফল ও বড় গাছের চারা গাছ লাগিয়ে থাকে। তাই বিভিন্ন ধরনের ফুল ফল ও বিশেষত ভালো মানের কাঠ পাওয়া যায় এই ধরনের গাছের চারা গাছ পালন করে অর্থাৎ চারা গাছের নার্সারি খুলেও ভালো ইনকাম করা যেতে পারে। কেননা কিছু কিছু চারাগাছ রয়েছে যেগুলি, ২০০, ৩০০, ৫০০, ৭০০, এবং ১০০০ টাকা পর্যন্তই বিক্রি হয়ে থাকে।
👉 বিভিন্ন ফুল চাষ ( Cultivation of various flowers )
ফুল পুজোর ক্ষেত্রে, ঘর-বাড়ি ও গাড়ি সাজাতে, এবং বিভিন্ন ধরনের উৎসব অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে প্রয়োজন। তাই সারা বছরই এই ফুলের চাহিদা ( near flower shop ) থেকে থাকে। আর ফুল চাষ করে থাকি এমনও চাষের সংখ্যা খুবই কম। অনলাইনেও অনেকে ফুল কিনে থাকে বা ফুলের দোকান খুঁজে ( flower shop near me) থাকে। তাই বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ ( best business ideas for Farming ) করেও খুব ভালো মুনাফা পাওয়ার জন্য করা যেতে পারে।
👉ছাগল পালন ( goat rearing )
বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল চাষ করেও খুব ভালো ইনকাম করা যায়। কারণ কিছু কিছু প্রজাতির ছাগল রয়েছে যেগুলি ২০০০০ , ৩০০০০, ৫০০০০, ১০০০০০, ১৫০০০০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে । তাছাড়া আপনি চাইলে এগুলির মাংস তৈরি করেও বিক্রি করতে পারেন।
👉 গরু – মহিষ পালন ( Cow – buffalo rearing )
বিভিন্ন প্রজাতির গরু – মহিষ রয়েছে যেগুলিকে পালন করে পরবর্তীকালে সেগুলিকে বিক্রি করেও খুব ভালো ইনকাম করা যেতে পারে। তাছাড়া আমাদের দেশ থেকে বিদেশে প্রচুর পরিমাণে গরু – মহিষ এর মাংস রপ্তানি হয়ে থাকে। তাই আপনারা চাইলে এর মাংস তৈরি করেও বিক্রি করতে পারেন।
👉নারকেল গাছ চাষ ( Coconut cultivation )
নারকেল কাঁচা অবস্থায় ডাব হিসেবে পরিচিত। ডাবের জল কার না প্রিয়। তাই নারকেল গাছ চাষ করে খুব ভালো ইনকাম করা যেতে পারে । কেননা কাঁচা অবস্থায় ডাব বিক্রি করে এবং পাকা অবস্থায় নারকেল বিক্রি করে ইনকাম করা যায়। যেখানে এক একটি নারকেল বা ডাবের মূল্য ৩০ টাকা থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত।
👉 বিভিন্ন গাছ বা সব্জির বীজ উৎপাদন ( Production of seeds of various plants or vegetables )
বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বা সব্জি লাগিয়ে, সেই গাছ বা সব্জির ফল পাকিয়ে সেই ফলকে শুকিয়ে বীজ তৈরি করে । সেই বীজ বাজারে বিক্রি করেও খুব ভালো মুনাফা পাওয়া যেতে পারে।
👉 সয়াবিন উদ্ভিদ চাষ ( Soybean plant cultivation )
সয়াবিন হল এক ধরনের মটরশুঁটি জাতীয় উদ্ভিদ। এই জাতীয় উদ্ভিদ চাষ করে তা থেকে খুব ভালো ইনকাম করা যায়। কারণ এই জাতীয় উদ্ভিদ থেকেই সয়াবিন তৈরি হয়। আর এই সোয়াবিনের চাহিদা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে খুব ভালো রয়েছে। তাই এই জাতীয় চাষ ( best business ideas for Farming ) খুব ভালো ইনকাম করা যায়।
👉 বিভিন্ন ডাল উৎপাদন ( Production of various pulses )
বিভিন্ন প্রজাতির ডাল যেমন বিউলি, মুগ, মসুর, ছোলা, মটর, মাষকলাই, খেসারি প্রভৃতি চাষ করে সেগুলি বিক্রি করে । অথবা সেগুলির খোলা ছাড়িয়ে ডাল উৎপন্ন করে বাজারে বিক্রি করেও খুব ভালো মুনাফা অর্জন করা যায়। তাই বিভিন্ন ধরনের ডাল চাষ ( best business ideas for Farming ) করে ভালো লাভ পাওয়া যায়।
👉 ফল ও সবজির জন্য হিমঘর ( Freezers for fruits and vegetables )
যেকোনো ধরনেরই সবজি বা ফল হোক না কেন । ১ সপ্তাহ থেকে ১৫ দিন অথবা এক মাস পর্যন্ত ভালো অবস্থায় থাকতে পারে, এর পরে এর মধ্যেও পচন শুরু হতেই পারে। কিন্তু এই জাতীয় সবজি বা ফল হিমঘরে রাখলে তা সারা বছর ভালো রাখা যায়। তাই যদি এই জাতীয় হিমঘরের ব্যবসা ( best business ideas for Farming ) করা যায় বিশেষত ফল বা সবজি উৎপাদন এলাকায়, তাহলে এখান থেকেও খুব ভালো মুনাফা পাওয়া যেতে পারে।
👉জৈব সার উৎপাদন ( Production of organic fertilizers )
চাষবাসের কাজে সার কার না প্রয়োজন। আর রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে জমির উর্বরতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে । এমত অবস্থায় আপনি যদি জৈব সার উৎপাদনের কেন্দ্র তৈরি করেন। তা থেকেও আপনার ইনকাম খুব একটা ভালো হতে পারে।
👉 পোল্ট্রি পালন ( Poultry farming )
দেশে ও বিদেশে সমস্ত জায়গায় পোল্ট্রির মাংসের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আপনারা যদি পোল্ট্রি ফার্ম তৈরি করে সেখানে পোল্ট্রির ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা করে সেই বাচ্চা বিক্রি করেন। বা বাচ্চাগুলিকে বড় করে বিক্রি করেন তাহলে সেখান থেকে খুব ভালো ইনকাম করা যেতে পারে।
👉 দেশি মুরগি বা মোরগ পালন ( Native chicken or rooster rearing )
দেশি মুরগি বা মোরগের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাই এগুলির দামও দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে, সঙ্গে বাড়ছে দেশি মুরগিও মোরগের মাংসের দামও। তাই আপনারা দেশি মুরগি বা মোরগ চাষ ( best business ideas for Farming) করে সেগুলিকে বিক্রি করে । অথবা মাংস বানিয়েও বিক্রি করে খুব ভালো ইনকাম পেতে পারেন।
👉 মৌমাছি পালন ও মধু উৎপাদন ( Beekeeping and honey production )
বর্তমানে দেশী অরিজিনাল মধু পাওয়া খুবই দুঃসহ ব্যাপার। এই পরিস্থিতিতে মৌমাছি পালন করে মধু সংগ্রহ করে । সেই মধু বিক্রি করে তা থেকেও খুব ভালো ইনকাম ( best business ideas for Farming ) করা যেতে পারে। কারণ এক কেজি মধুর দাম প্রায় ৪০০ – ৮০০ টাকা পর্যন্ত।
👉 ফল ও সবজি রপ্তানির ব্যাবসা ( Fruit and vegetable export business )
বিভিন্ন জাতীয় ফল এবং সবজি চাষ করে। সেগুলি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বা বিদেশে রপ্তানি করেও খুব ভালো মুনাফা অর্জন করা যেতে পারে। যদি আপনি ফল বা সবজি চাষ নাও করেন তাহলে আপনি চাষীদের কাছ থেকে ফল বা সবজি কিনে সেই সবজি বা ফল রপ্তানি করার কাজ করেও মুনাফা অর্জন করতে পারেন।
👉 চিংড়ি চাষ ( Shrimp farming )
চিংড়ি কার না পছন্দ। দেশি চিংড়ি বা বিভিন্ন প্রজাতির হাইব্রিড চিংড়ি চাষ করে। সেগুলিকে বিক্রি করেও খুব ভালো মুনা পাওয়ার জন্য করা যেতে পারে। যেখানে এক কেজি চিংড়ির দাম ৪০০ – ১০০০ টাকা পর্যন্ত। তাই বিভিন্ন চাষবাসের মধ্যে এটিও খুব ভালো একটি চাষ ( best business ideas for Farming )।
👉মটর-কলাই চাষ ( Cultivation of peas )
চানাচুর , ময়দা, সয়াবিন, ঘুগনি ইত্যাদি খাবার তৈরিতে মোটরকাই বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া মোটরকালাই কাঁচা অবস্থাতেও খাওয়া যায়। সঙ্গে কাঁচা অবস্থায় রান্না করেও খাওয়া যায়। তাই এই চাষ করেও খুব ভালো মুনাফ অর্জন করা যেতে পারে।
👉 লবঙ্গ চাষ ( Cultivation of cloves )
রান্নার ক্ষেত্রে লবঙ্গ মসলা হিসেবে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। যেখানে এক কেজি লবঙ্গের দাম ৯০০ – ১২০০ টাকা পর্যন্ত। তাই এই চাষ ( best business ideas for Farming ) করে খুব ভালোই মুনাফ অর্জন করা যেতে পারে।
👉 এলাচ চাষ ( Cultivation of cardamom )
এলাচও তরকারি রান্নার ক্ষেত্রে একটি মসলা হিসেবে বিশেষ ভাবে ব্যবহৃত হয়। এলাচও লবঙ্গের মতো একটি দামি ফসল। এর দামও প্রায় সময় সময়ে ২০০০ টাকা প্রতি কেজি হয়ে যায়। তাই লবঙ্গ চাষের মতো এটি ও ইনকামের জন্য খুব ভালো একটি চাষ ( best business ideas for Farming )
👉 জিরা চাষ ( Cultivation of cumin seeds )
যে কোনো তরি তরকারিতে জিরা গুঁড়ো দিলে সেই তরকারির স্বাদ ও সুগন্ধি অন্যরকম হয়ে যায়। এটি একটি মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয় রান্নার ক্ষেত্রে। এটিরও দাম প্রতি কেজি ৩০০ – ৪০০ টাকা পর্যন্ত। তাই এটি চাষ করেও খুব ভালো মুনাফরজন করা যায়।
👉 অ্যালোভেরা চাষ ( Aloe vera cultivation )
অ্যালোভেরা একটি ঔষধিক গাছ। অ্যালোভেরা থেকে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম বা জেল তৈরি হয়। আবার এলোভেরা জুস তৈরির ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন শহরতলীতে অ্যালোভেরার জুস কিনতে পাওয়া যায়। অ্যালোভেরা ত্বক এবং লিভারের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। এর দেশে যেমন চাহিদা রয়েছে তেমনি বিদেশেও এর চাহিদা ব্যাপক রয়েছে। তাই অ্যালোভেরা চাষ ( best business ideas for Farming ) করেও খুব লাভবান হওয়া যায়।
👉 মাটি পরীক্ষার ল্যাব ব্যাবসা ( Soil testing lab business )
যেকোনো ধরনের ফসলের ক্ষেত্রে মাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মাটির উর্বরতার উপর নির্ভর করে ফসলের উৎপাদন ক্ষমতা। বর্তমানে কীটনাশক এবং রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে মাটির উর্বরতা দিন দিন হাস পাচ্ছে । তাই মাটি পরীক্ষার জন্য ল্যাব তৈরি করলে সেখানে চাষীদের ভিড় উপচে পড়বে মাটি পরীক্ষা করার জন্য। কেননা মাটি পরীক্ষার লাভ নেই বললেই চলে। তাই কৃষি সঙ্গে সম্পর্কিত এই ব্যবসা ( best business ideas for Farming ) করেও খুব ভালো লাভ করা যায়।
👉 তাল রস বা খেজুর রস উৎপাদন ( Production of palm juice or date palm juice )
তাল রস বা খেজুর রস পানীয় হিসেবে যেমন ব্যবহৃত হয় । তেমনি তাল রস এবং খেজুর রস থেকে গুড় তৈরি করে বিক্রি করেও মুনাফা অর্জন করা যায়।
👉 পাম তেল উত্পাদন ব্যাবসা ( Palm oil production business )
আজকের জীবনে পাম তেল একটি জনপ্রিয় তেল । এই তেল বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরির ক্ষেত্রেও বিশেষভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই তেল তৈরির জন্য বিভিন্ন ধরনের ফল,ফুল ইত্যাদির ব্যবহার করা হয়। তাই পাম তেলের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের ফল, ফুল ইত্যাদির চাষ ( best business ideas for Farming ) করে বা এগুলি থেকে পাম তেল নিষ্কাশন করে বিক্রি করেও খুব ভালো মুনা পাওয়ার জন্য করা যায়।
👉ছোট সেচ ব্যাবসা ( Small Irrigation Business )
চাষবাসের জন্য সেচ একটি বিশেষ উপাদান। জল সেচ ছাড়া যে কোন ধরনের চাষবাস করা খুবই অসম্ভবকর। তাই চাষবাসের সঙ্গে সংযুক্ত জলসেচ ব্যবস্থা করে সেখান থেকেও আপনারা ভালো ইনকাম করতে পারবেন।
👉 ড্রাগন ফল চাষ ( Cultivating dragon fruit )
এই ফলকে দেখতে অনেকটা চীনের সিম্বল ড্রাগনের মত, তাই এই ফলের নাম হয়েছে ড্রাগন ফল ( unique business ideas) । এই ফলে তে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও আয়রন পাওয়া যায়। এই ফল বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। এই ফলের দাম বাজারেতে প্রতি কেজি ২০০ – ৩০০ টাকা। তাই ড্রাগন ফলের চাষ ( best business ideas for Farming ) করেও খুব ভালো মুনাফ অর্জন করা যায়।
📝👉 FAQ
Q) গ্রাম থেকেও কি সব কৃষি ব্যবসা শুরু করা যায়?
হ্যাঁ, গ্রাম থেকেই সব কৃষি ব্যবসা শুরু করা যায়।
Q) নতুন কৃষি ব্যবসা কি কি ?
নতুন কৃষি ব্যবসা হচ্ছে ড্রাগন ফল চাষ,জ্বরি-বুটি বা ঔষধি গাছ চাষ, দুগ্ধ শিল্প , মৌমাছি পালন, মাশরুম উৎপাদন, ফুল চাষ, এ ছাড়াও অনেক নতুন কৃষি ব্যবসা রয়েছে। যা উপরে উল্লেখিত
Q) একটি কৃষি ব্যবসা শুরু করার জন্য কোন লাইসেন্স প্রয়োজন?
হ্যাঁ, কিছু কৃষি ব্যবসা শুরু করতে লাইসেন্স লাগে।
Q) কৃষি ব্যবসা শুরু করার সুবিধা কি কি ?
এটি খুব কম টাকায় শুরু করা যায় , এতে ১০০% পর্যন্ত মুনাফা অর্জন করা যায় , এতে বিভিন্ন ধরনের সরকারি প্রকল্পের লাভ উপভোগ করা যায় ।