cultivation wheat – গমের উপকারিতা , গম চাষ পদ্ধতি, উন্নত বীজ, জলবায়ু, মৃত্তিকা, চাষের সময়, সার ও কীটনাশক, জল সেচ, কাটার সময় ও পদ্ধতি, ব্যায় ও আয় সমস্ত তথ্য জানুন বিস্তারিত ।
বিশ্বের খাদ্য শস্যের মধ্যে গম প্রধান স্থান দখল করে আছে। ভারত, বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশে এটি ধানের পরে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য শস্য এবং দেশের মোট খাদ্যশস্য উৎপাদনে প্রায় ২৫%-৩০% অবদান রাখে। গত কয়েক বছরে দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদন স্থিতিশীল করতে গম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
গমে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, সেলেনিয়াম, ভিটামিন – A, K , এবং একটি সুষম খাদ্য প্রদান করে ( wheat benefits for health )। দেশের প্রায় সব রাজ্যেই কম বেশি গম উৎপাদিত হয়। গমের উন্নত জাত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির কারণে এই বৃদ্ধি ঘটছে। 2021-22 সিজনে পুরো বিশ্বে প্রায় ৭৭৬ মিলিয়ন টন গম উৎপাদিত ( production of wheat in the world ) হয়েছে।
গম একটি শুধুমাত্র পুষ্টিকর খাবারই নয়। গম দিয়ে রুটি,কেক,বিস্কুট ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য তৈরি হয়ে থাকে। তাই সারা বছরই বিশ্বের যে কোন দেশেই গমের চাহিদা থেকেই থাকে। তাই আপনি যদি ভাবছেন যে গম চাষের ( cultivation wheat ) ব্যবসা শুরু করবেন। তাহলে এই পোস্টটি আপনাদের জন্য। এই পোস্টে আপনারা গম চাষের খুঁটিনাটি তথ্য জানতে পেরে যাবেন। গম চাষ পদ্ধতি থেকে শুরু করে ফসল কাটা পর্যন্ত, সঙ্গে ব্যবসায় আয় ও ব্যয়ের হিসাব।
📝👉 গম চাষের জন্য প্রয়জনীয় তথ্য নিম্নরূপ
👉 মাটি ~
সব ধরনের মাটিতে গম চাষ ( cultivation wheat ) করা হলেও বেঁলে ও দোআঁশ মাটি গম চাষের ভালো ফলনের জন্য উপযোগী। সঠিক জলসেচ ও জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকলে এটেল মাটিও গম চাষের জন্য উপযোগী। মাটির PH মান ৬ থেকে ৭.৫ গম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী।
বেশিরভাগ সময় জলমগ্ন থাকে এই ধরনের জমি গম চাষের জন্য উপযোগী নয়। কারণ এই সমস্ত জমিতে ফসল হলুদ হয়ে গিয়ে, ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে।
👉 জলবায়ু ~
বীজ অঙ্কুরোদগমের জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা ২০°C থেকে ২৫°C থাকা খুবই বাঞ্ছনীয়। এবং গাছ বৃদ্ধির জন্য ও ভালো ফলনের জন্য তাপমাত্রা ২২°C থেকে ২৭°C খুবই ভালো। যা ভারত ও বাংলাদেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই বছরের কোন না কোন সময় এই ধরনের তাপমাত্রা থেকে থাকে। এছাড়া খুবই ঠান্ডা বা খুবই গরম আবহাওয়া গম চাষের পক্ষে খুব একটা অনুকূল নয়।
👉 গম চাষের জন্য উন্নত জাত ~
গম উৎপাদনকারী কৃষক ভাইদের উচিত তাদের এলাকার প্রচলিত ও সর্বোচ্চ ফলনশীল এবং রোগ প্রতিরোধী জাত নির্বাচন করা গম চাষের ( cultivation wheat ) জন্য। যাতে এই ফসল থেকে ভালো ফলন পাওয়া যায়, কিছু জনপ্রিয় ও উন্নত জাত নিম্নরূপ, যেমন-
বৃষ্টিনির্ভার ও সেচহীন অবস্থায় সময়মত বপন করা- HD- 2888, PBW- 396, PBW- 299, WH- 533, PBW- 175 এবং কুন্দন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ। সময় হল 15 অক্টোবর থেকে 31 অক্টোবর পর্যন্ত
সেচনির্ভর সময়মত বপন যোগ্য ~ HD- 2967, HD- 4713, HD- 2851, HD- 2894, HD- 2687, DBW- 17, PBW- 550, PBW- 502, WH- 542, W- H- 896 এবং UP- 2338 ইত্যাদি প্রধান। বপনের সময় 10 থেকে 25 নভেম্বর পর্যন্ত বিবেচনা করা হয়।
সেচ অবস্থায় দেরিতে বপন– HD- 2985, WR- 544, Raj- 3765, PBW- 373, DBW- 16, WH- 1021, PBW- 590 এবং UP- 2425 ইত্যাদি। বপনের উপযুক্ত সময় 5 থেকে 20 ডিসেম্বর।
লবণাক্ত মাটির জন্য – KRL -1, 4 এবং 19 গুরুত্বপূর্ণ।
👉 চাষের সময় ও বীজের পরিমাণ
বৃষ্টিনির্ভর ও সেচবিহীন:– সেচবিহীন গম বপনের সময় হল 15 অক্টোবর থেকে 31 অক্টোবর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে বপন তখনই সম্ভব যখন সেপ্টেম্বর মাসে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়। এ কারণে মাটিতে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বজায় থাকে। বপন করা বীজের ওজন হবে প্রতি হেক্টরে 100-102 কেজি।
সেচনির্ভর সময়ে বপন :- সেচযোগ্য এবং সময়মতো বপনের সঠিক সময় ১০-২৫ নভেম্বর। এ জন্য বীজের পরিমাণ গড়ে 100 কেজি প্রতি হেক্টরে রাখতে হবে। এবং সারি থেকে সারির দূরত্ব 18 সেমি হতে হবে।
সেচনির্ভর কিন্তু দেরিতে বপনের জন্য:- যদি বীজ বপন করতে দেরি হয়, তাহলে বীজ বপণের উপযুক্ত সময় হবে 5 থেকে 20 ডিসেম্বর। দেরিতে বপনের জন্য বীজ বপনের পরিমাণ হবে প্রতি হেক্টরে 120-125 কেজি।এবং সারির দূরত্ব 18 সেমি হতে হবে।
👉 বীজ শোধন
বীজ বপনের আগে টেবুকোনাজল 2% ডিএস প্রয়োগ করা হয়। অথবা থিরাম 2 গ্রাম/কেজি বীজের হারে শোধন করা উচিত।
👉ক্ষেত প্রস্তুতি
আগের ফসল তোলার পর টিলার বা ট্রাক্টরের সাহায্যে সঠিকভাবে জমিটি কয়েকদিন অন্তর অন্তর দুই থেকে তিন বার নাঙ্গল করতে হবে। জমি গভীর ভাবে লাঙ্গল করতে হবে যাতে মাটি সূক্ষ্ম ও ভঙ্গুর হয়, যা গম চাষের পক্ষে অনুকূল।
👉 রাসায়নিক সার
গম চাষে বপনের আগে ক্ষেত প্রস্তুত করার সময় ভার্মি কম্পোস্ট বা সবুজ সার ব্যবহার করে উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। রাসায়নিক সার হিসেবে ইউরিয়া 80-100 কেজি, D.A.P. 45-55 কেজি, পটাশ 18-23 কেজি প্রতি একর হারে ব্যবহার করা যায়। মনে রাখবেন মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতেই রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হবে। মাটি যদি খুবই উর্বর হয়, তাহলে কিন্তু উপরে কত স্যার এখন কিছু কম লাগতে পারে।
👉 জল সেচ
সেচের সংখ্যা এবং জলের পরিমাণ মাটির ধরন, বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা এবং বপন করা বিভিন্ন ধরণের উপর নির্ভর করে। উচ্চ ফলনশীল গমের জাতগুলোকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ বৃদ্ধির পর্যায়ে পাঁচ থেকে ছয়টি সেচ দিতে হবে
- বীজ বপনের 3 থেকে 4 সপ্তাহ পর প্রথম সেচ দিতে হবে।
- বীজ বপনের 40 থেকে 45 দিন পর দ্বিতীয় সেচ দিতে হবে।
- বীজ বপনের 60 থেকে 65 দিন পর 3টি সেচ দিতে হবে।
- বীজ বপনের 80 থেকে 85 দিন পর 4টি সেচ দিতে হবে।
- বীজ বপনের 100 থেকে 105 দিন পর ৫ম সেচ দিতে হবে।
- বীজ বপনের 105 থেকে 110 দিন পর ৬ষ্ঠ সেচ দিতে হবে ( প্রয়োজন হলে )।
👉 গম ফসলে আগাছা নিয়ন্ত্রণ
গম ফসলের পাশাপাশি চিল, পেঁয়াজ, মোরভা, গুল্লি ডান্ডা এবং বন্য ওটস, ইত্যাদি সহ অনেক আগাছা জন্মায় এবং পুষ্টি, আর্দ্রতা এবং স্থানের জন্য প্রতিযোগিতা করে, ফলে ফসলের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। অধিক ফলন পাওয়ার জন্য ( cultivation wheat ) সঠিক সময়ে সঠিক আগাছা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরী। ফসল বপনের এক বা দুই দিন পর 2.50 ( আড়াই ) লিটার পেন্ডিমেথালিন আগাছানাশক 500 ml পানিতে গুলে সমানভাবে স্প্রে করতে হবে।
ক্ষেতে গুল্লি ডান্ডা ও বন্য ওটসের প্রাদুর্ভাব বেশি হলে ১ কেজি পরিমাণ আইসোপ্রোটুরন বা মেটাক্সিনরান আগাছানাশক ৫০০ লিটার পানিতে দ্রবীভূত করে স্প্রে করতে হবে। এরপর ফসলের বয়স 30 থেকে 35 দিন হলে 700 গ্রাম 2, 4-D দ্রবীভূত করে 700ml পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
👉 গম ফসলের যত্ন
গম চাষে ( cultivation wheat ) উইপোকা, আর্মি ওয়ার্ম, এফিড ও জাসিডাস ও ইঁদুরসহ অনেক ধরনের পোকা ক্ষতি করে। জমি তৈরি করার সময় 20 থেকে 25 কেজি এন্ডোসালফান দিতে হবে। দাঁড়ানো ফসলে উইপোকার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে প্রতি হেক্টরে ৪ লিটার ক্লোরপাইরিফস সেচের পাশাপাশি দিতে হবে। চোষা পোকা দমনের জন্য ১ লিটার আইক্লাক্স দ্রবণ স্প্রে করতে হবে।
এছাড়াও গম চাষে ( cultivation wheat ) অনেক ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়, যেমন- ঝলসানো এবং পাতার দাগ, রোলি রোগ, কান্ডব, মোলিয়া দাগের জন্য ম্যানকোজেব 2 কেজি, সালফার পাউডার 25 কেজি বা রোলি রাগের জন্য ম্যানকোজেব 2 কেজি।
বীজ শোধনের জন্য থিরাম বা ভিটাভ্যাক্সের মতো ছত্রাকনাশক, মোলিয়া রোগের জন্য কার্বোফুরন 3 শতাংশ রাসায়নিক এবং কান কোকল ও টুন্ডু রোগের জন্য 20 শতাংশ লবণ দিয়ে বীজ শোধন করে বপন করতে হবে। ইঁদুর নিয়ন্ত্রণের জন্য অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড বা রাটাফাইন ট্যাবলেট ব্যবহার করতে হবে।
📝👉 গম কাটার সময় ও প্রক্রিয়া
👉 গম কাটার উপযুক্ত সময়
গমের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন ফসল বিভিন্ন সময়ে কাটার জন্য প্রস্তুত হয়। বিশেষত সমস্ত প্রজাতির গমই ৯৫ থেকে ১৩০ দিনের মধ্যে কাটার জন্য প্রস্তুত হয়। যখন গাছগুলি হলুদ হয়ে যায় এবং শুকিয়ে যায়, তখন ফসল কাটা উচিত। যখন শস্যে 15 থেকে 20 শতাংশ আর্দ্রতা থাকে, তখনই ফসল তোলার উপযুক্ত সময়।
👉 হতে ফসল কাটা
ফসল কাটা ~ গম চাষের পর ফসল যখন পেকে যাবে অর্থাৎ গম যখন কাটার জন্য উপযুক্ত হয়ে যাবে। তখন চাইলে আপনি নিজে থেকেই বা মজুর লাগিয়ে কাস্তের সাহায্যে হাতে গম কাটতে পারেন ( wheat harvesting ) । হাতের সাহায্য গম কাটলে কাটা গম গাছগুলিকে জাগায় জাগায় জমা জমা করে রাখতে হবে। আপনি যদি হাতে ফসল কাটেন, তাহলে ফসল কাটার পর গাছ গুলো দু-একদিন জমিনেতে রোদে শুকানোর জন্য রাখতে হবে।
ফসল মাড়াই বা ঝাড়া ~ পর, সেগুলিকে বাড়িতে বয়ে নিয়ে আসতে হবে। বা চাইলে মাঠেও সেগুলিকে মাড়াই বা ঝাড়াই মেশিনের সাহায্যে মাড়াই বা ঝাড়াই করতে পারেন। ফসল মাড়াই বা ঝাড়ার পর সেগুলিকে পরিষ্কার করতে হবে, এরপর ফসলটি বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
👉 হারভেস্টার মেশিনের সাহায্যে গম কাটা
আপনি যদি হাতের পরিবর্তে হারভেস্টার মেশিনের সাহায্যে গম কাটেন ( wheat harvesting) । তাহলে আপনার পরিশ্রম হবে না বললেই চলে। কারণ মেসিন গম কেটে, গম ঝাড়াই করে অটোমেটিক্যালি আপনাকে পরিষ্কার হওয়া ঝাড়া গম প্রদান করে দেবে।
যা আপনি চাইলে গম গোলা বলার ( যিনি গম কেনেন ) সঙ্গে কন্টাক্ট করে সরাসরি সেই গম বিক্রি করতে পারেন। আর যদি সেই গম গোলা বালা না নেই তাহলে আপনাকে দু-এক দিন শুধুমাত্র রোদ লাগিয়ে বিক্রির জন্য প্রদান করলেই বিক্রি হয়ে যাবে।
📝👉 খরচ ও লাভ
👉 গম উৎপাদনের পরিমাণ
গম ফসলের ফলন নির্ভর করে ভালো জাত নির্বাচন, সারের সঠিক ব্যবহার এবং ফসলের যত্নের উপর। কিন্তু সাধারণভাবে উপরোক্ত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গম চাষ ( cultivation wheat ) করলে প্রতি হেক্টরে ৩৫ থেকে ৫৫ কুইন্টাল শস্যের ফলন পাওয়া যায়।
👉 খরচ
বীজ কিনা ও জমি তৈরি করা থেকে শুরু করি ফসল কাটা পর্যন্ত প্রত্যেকটি পদক্ষেপেই কিছু না কিছু খরচ থেকেই থাকে যা নিম্নে উল্লেখ করে সর্বমোট খরচ উল্লেখ করা হল গম চাষের ( cultivation wheat ) ক্ষেত্রে ।
- জমি তৈরি করতে – ১৩০০ টাকা
- বীজের মূল্য – ২০০০ টাকা
- বীজ শোধন জন্য কীটনাশক – ২০০ টাকা
- রাসায়নিক সার – ২৬০০ টাকা
- আগাছানাশক – ৬০০ টাকা
- গাছ সুরক্ষার জন্য অন্যান্য কীটনাশক – ১৮০০ টাকা
- জল সেচ – ৩০০০ টাকা
- ফসল কাটা – ৩০০০
- অন্যান্য খরচ ধরলাম – ৫০০
তাহলে সর্বমোট খরচ = ১৫,০০০ টাকা
👉 লাভ
গমের দাম ভারত ও বাংলাদেশে প্রতি কুইন্টাল বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। প্রতি কুইন্টালে ২২০০-২৯০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ২২০০ টাকা প্রতি কুইন্টালে ধরা হল । যদি এক একর জমিতে কমপক্ষে ২৫ কুইন্টাল গম হয়। তাহলে টাকা পাওয়া যাবে ২২০০×২৫ = ৫৫,০০০ টাকা । খরচ বাদ দিয়ে লাভ ৫৫,০০০-১৫০০০ = ৪০,০০০ টাকা। যা খরচের প্রায় তিনগুণ লাভ।
:: এটা আনুমানিক একটা লাভ যদি বাজার মূল্য ভালো থাকে এবং ফলন যদি ভালো হয় তাহলে গম চাষে ( cultivation wheat ) লাভের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
📝👉 FAQ of cultivation wheat
Q) গম কি ?
এটি এক ধরনের খাদ্যশস্য। গম কে পেশাই করে যে আটা বা ময়দা পাওয়া যায়, তা থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য তৈরি করা হয়ে থাকে। যেগুলি আমরা দৈনন্দিন জীবনে খেয়েই থাকি।
Q) গমের পুষ্টিগুণ কি ?
গমের বিভিন্ন ধরনের পোস্টিংগুন রয়েছে ( wheat benefits for health ) যেমন এতে কার্বোহাইড্রেট- ৭১.২ g, প্রোটিন – ১০ g , ফ্যাট- ১.৬g, আয়রন- ৩.২mg , পটাশিয়াম- ৩৬৩gm, ম্যাগনেসিয়াম- ১২৬ mg, ক্যালসিয়াম – ২৯ mg, ফসফরাস- ২৮৮mg, ভিটামিন A – ৮ ui, ভিটামিন K – ২ mg , ফোলেট – ৪২ মসিজি, বেটাইন – ৭৫ mg, ম্যাঙ্গানিজ – ৩.৯ mg, সোডিয়াম – ২ mg, জিঙ্ক – ২.৬ mg, সেলেনিয়াম – ৭০ ug, জল – ১৩ g , কলিন – ৩১ mg, ।
Q) গম থেকে তৈরি খাবার কী কী ?
গম থেকে যে আটা বা ময়দা তৈরি হয় , তা থেকে বিভিন্ন রকম কেক, পিঠা, রুটি, বিস্কুট, কুকিজ, পাস্তা, নুডলস, তৈরি করা হয়।
Q) উন্নত প্রজাতির গমের বীজ কোনগুলি ?
উচ্চ ফলনশীল গমের বীজ গুলি হল PBW- 396, PBW- 299, WH- 533, PBW- 175, WR- 544, Raj- 3765, PBW- 373, HD- 2967, HD- 4713, HD- 2851, HD- 2894, KRL -1 ইত্যাদি।
Q) গম চাষের উপযুক্ত সময় কখন ?
গম চাষের উপযুক্ত সময় হল ১৫ অক্টোবর থেকে ২০ ডিসেম্বর । সময় সাপেক্ষে বীজ বপণের জন্য সময়সাপেক্ষের বীজগুলি আপনাকে বপন করতে হবে, যা ওপরে উল্লেখ করা হয়েছে। না হলে ফসলের উচ্চ ফলনশীলতা কম হতে পারে।
Q) গম চাষে কয়টি জলসেচের প্রয়োজন হয় ?
বৃষ্টিপাতের সাপেক্ষে জল সেচের প্রয়োজন হয়। তবে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ টি জল সেচের প্রয়োজন হয়। যা উপরে সময় অনুযায়ী উল্লেখ করা হয়েছে।
Q) গোনচাসী খরচ ও লাভ কত ?
এক একর গম চাষে আনুমানিক ১৫ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে। এবং এক একর গঞ্ছা সি আনুমানিক ৫৫ হাজার টাকা লাভ হতে পারে। ওপরে আয় ব্যয়ের হিসাব উল্লেখ করা হয়েছে ।
Q) গম কাটার জন্য কি মেশিন ব্যবহার করা যায় ?
হ্যাঁ, গম কাটার জন্য বিভিন্ন ধরনের হারভেস্টিং মেশিন ( wheat harvesting ) রয়েছে। যেমনটি ধান কাটার জন্য ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে আপনার কোন পরিশ্রমই হবে না গম গাছ কেটে, এবং ঝাড়াই বা মাড়াই করে আপনাকে উপযুক্ত গম প্রদান করে দেবে।