২০১৭ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায়, ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৬২০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায় খুব বড় প্লাবন দেখা দেয়। যার ফলে মানুষ এবং অর্থ-সম্পদের প্রচুর পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়। একটি রিপোর্ট অনুসারে ওই দুর্যোগের ফলে ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার মতো হয়ে গিয়েছিল। যার প্রধান কারণ ছিল আবহাওয়ার অস্বাভাবিক পরিবর্তন এবং অত্যাধিক বৃষ্টিপাত।
২১শে জুলাই ২০১৬ সালে এশিয়া মহাদেশের কুয়েতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ৫৩.৯°C ছিল।
তাছাড়া, ২৬ শে জুলাই ২০০৫ সালে মহারাষ্ট্রে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ৯৯০ মিলিমিটারের কাছাকাছি বৃষ্টিপাত হয়েছিল। বৃষ্টিপাতের মাত্রা এতটাই পরিমাণে ছিল, জল মাটি থেকে প্রায় এক মিটারের কাছাকাছি উপরে উঠে গিয়েছিল। এর ফলে ওখানেতেও প্রচুর পরিমাণে মানুষ ও অর্থের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
এই সমস্ত দুর্যোগের কারণ হয়তো আমরা সকলেই জানি। এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে, আমরা নিজেদের মধ্যে হয়তো আলোচনাও করি। এমনকি এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে স্কুলেতেও টিচার্সরা ছাত্রদেরকে পড়িয়ে বা বুঝিয়ে থাকে। কিন্তু আলোচনা এবং স্কুল বা কলেজ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই আমরা এই সমস্ত বিষয়গুলি সম্পর্কে ভুলে যায়।
যখনই বিশ্ব উষ্ণায়নের কথা আসে, তখন বৈজ্ঞানিক, স্কুলের শিক্ষক এবং বাড়ির আশেপাশের বুদ্ধিজীবী লোকেদের মুখে এই বিষয় নিয়ে চর্চা হতে থাকে। কিন্তু আজকের পোস্টে এই সম্পর্কে এমন কিছু বিষয়ে আলোচনা করা হবে, যা আপনাদের অবশ্যই জেনে রাখা দরকার।
বৈজ্ঞানিকেরা কিভাবে এই বিশ্ব উষ্ণায়নকে শনাক্ত করলো
যখন একদল বিজ্ঞানী শুক্র গ্রহের বায়ুমন্ডলকে পর্যবেক্ষণ করছিল, তখন তারা এক আশ্চর্যজনক ঘটনা দেখতে পেল। তারা দেখল সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ বুধের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা ৪২৭°C ছিল। কিন্তু শুক্র গ্রহ যা পৃথিবী থেকে অনেক দূরে ছিল , তার বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা প্রায় ৫০০°C এর কাছাকাছি।
অর্থাৎ শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা, বুধ গ্রহের তুলনায় অনেক বেশি। প্রথমে এই ঘটনাটি বৈজ্ঞানিক জগতে একটি রহস্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কি এমন কারণ রয়েছে যার জন্য শুক্র গ্রহের তাপমাত্রা বুধ গ্রহের তুলনায় বেশি, যেখানে বুধ গ্রহটি সূর্য থেকে প্রায় ৫৬.৭ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত , সেখানে শুক্র গ্রহটি সূর্য থেকে প্রায় ১১০ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
বহু রিসার্চ এবং স্টাডিজের পর বৈজ্ঞানিকেরা জানতে পারল, এর প্রধান কারণ হলো বিশ্ব উষ্ণায়ন। বিষয়টি কি? দেখুন, যখন সূর্যের আলো পৃথিবীর এটমোস্ফেয়ারে প্রবেশ করে, তখন সূর্যের আলোর সঙ্গে তাপমাত্রাও পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে রেডিয়েশনের আকারে প্রবেশ করে। তখন এই তাপ কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং আরো কিছু গ্যাসকে অবজার্ভ করে নেয়, এবং পৃথিবীকে হিট-আপ বা গরম করতে শুরু করে।
যদি এরূপ ঘটনা না ঘটতো, তাহলে পৃথিবীর অনেক জায়গা এখনো পর্যন্ত বরফ ঢাকা থাকতো। তাহলে এ থেকে আমরা বুঝলাম, কিছুটা পরিমাণ এই গ্লোবাল ওয়ার্মিং আমাদের সারভাইলের জন্য অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু এই বিশ্ব উষ্ণায়নের পরিমাণ বেশি হয়ে যাওয়া, আমাদের জন্য খুব বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আর যদি এমনটাই চলতে থাকে, তাহলে এটা ১০০% সিওর, যে ভবিষ্যতে পৃথিবীর তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে যাবে, যেখানে মানুষ তো দূরের কথা কোন প্রাণীই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারবে না। তাহলে আপনার মনে হয়তো এই প্রশ্নটি নিশ্চয়ই আসছে, যে শুক্র গ্রহে তো কোন মানুষই নেই, তাহলে সেখানে বিশ্ব উষ্ণায়ন হলো কিভাবে। কারণ বিশ্ব উষ্ণায়ন তো মানুষ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিউশনের জন্য হয়ে থাকে।
আগ্নেয়গিরির কারণে বিশ্ব উষ্ণায়ন
তো বন্ধুরা, একটা ইন্টারেস্টিং কথা জেনে রাখুন। বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন, যে বিশ্ব উষ্ণায়ন কেবলমাত্র মানুষের কারণেই হয়ে থাকে। কিন্তু শুক্র গ্রহে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রধান কারণ হল সেখানে অবস্থিত সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। যার কারণে শুক্র গ্রহে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি রয়েছে, প্রায় ৯৬.৫% । এই কারণে শুক্র গ্রহে সোলার হিটের পরিমাণ এত বেশি। আর এই কারণে জন্যই শুক্র গ্রহকে আমাদের সোলার সিস্টেমের জাহান্নাম বলা হয়।
ইউনাইটেড স্টেট জিওলজিক্যাল সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী, পৃথিবীতে যে সমস্ত আগ্নেয়গিরি গুলি রয়েছে, সেগুলি থেকে প্রতি বছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়। এবং যানবাহন ও কলকারখানা থেকে বছরে প্রায় ২৪ বিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়। তাই পৃথিবীতে আগ্নেয়গিরি গুলির থেকেও মানুষ সবচেয়ে বেশি কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত করে। এই কারণেই এটি একটি চিন্তার বিষয়, যে মানুষেরা নিজেরাই নিজেদের বাসস্থলকে নোংরা করছে।
এবারে আপনি হয়তো ভাবছেন ইলেকট্রিক গাড়ি চলে আসলে, হয়তো পলিউশন অনেক কম হয়ে যেতে পারে, যার ফলে বিশ্ব উষ্ণায়নের মাত্রাও কমে যাবে। কিন্তু আসলে বিষয়টা এমন নয়। বাজারে সমস্ত পেট্রোল এবং ডিজেল চালিত গাড়ি গুলিকে ইলেকট্রিক গাড়িতে রূপান্তরিত করে দিলেই কি গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমে যাবে? এর ফলে আমাদের পৃথিবীর অ্যাভারেজ তাপমাত্রা কিছুটা কি কমে যাবে? কিন্তু তাও মোটেও নয়।
কারণ পৃথিবীতে আজও বেশিরভাগ ইলেকট্রিক জেনারেশন সম্পূর্ণ কয়লার উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ প্রায় বেশিরভাগ বিদ্যুৎ, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে তৈরি হয়। কয়লা গুলিকে পুড়িয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয়। কিছু কিছু রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, যদি ইলেকট্রিসিটির চাহিদা বেড়ে যায়, তাহলে কয়লা উত্তোলনের পরিমাণও অনেক বেড়ে যাবে।
কারণ আমাদের কাছে এখনো নন-কনভেনশনাল এনার্জি সোর্সেস অর্থাৎ উইন্ডমিল বা সোলার প্যানেল এতটা পরিমাণে নাই, যা এই বিশাল চাহিদাকে পূরণ করতে পারবে। এই কারণেই পলিউশন তৈরি করা, এই কনভেনশনাল এনার্জি সোর্সকেই আমাদেরকে ব্যবহার করতে হবে।
যার কারণে পৃথিবীতে এই বিশ্ব উষ্ণায়ন গভীর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশ্ন হল বৈজ্ঞানিক এবং বিভিন্ন দেশের সরকার এ বিষয়ে কি কিছু ভাবছে না। হ্যাঁ, অবশ্যই এ বিষয়ে সকলেই কিছু না কিছু ভাবছে। সকলেই এই গভীর সমস্যা কিভাবে দূর করা যায়, সেই বিষয়েই নানান গবেষণা করেই চলেছে। এবং এই বিষয়ে সকলেই নানান ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।
ওজস্তর ক্ষয় প্রতিরোধের জন্য পরিকল্পনা
১৯৮৭ সালের আগস্ট মাসে বিশ্বের বহু দেশের সরকার ওজোন স্তরের ক্ষয় রোধের জন্য ‘মন্ট্রিল প্রটোকল’ নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তি অনুযায়ী স্বাক্ষরকারী সমস্ত দেশই রিফ্রিজারেটরের ম্যানুফ্যাকচারিং ৩০% কমিয়ে দিয়েছিল। যে সমস্ত ইন্ডাস্ট্রিজ গুলি বেশি পরিমাণে CFC ( ক্লোরো-ফ্লোরো কার্বন ) গ্যাস পরিবেশে ছাড়ছিল সেগুলিকে প্রায় বন্ধ পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছিল।
একটি বিষয় জানেন কি? বর্তমানে একটি রিপোর্ট অনুযায়ী এই চুক্তির ফলে ওজোন স্তরের ক্ষয় অনেকটা কমে গিয়েছে। ওজন লেয়ার হল এমন একটি বায়ুমণ্ডলীয় স্তর, যা সূর্য থেকে আগত আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ও রেডিয়েশনকে পৃথিবীতে আসতে বাধা দেয়। আর মানুষ এবং যানবহন ও ইন্ডাস্ট্রিজগুলি এই ওজোন স্তরকে ধ্বংস করছে।
যার ফলে ওই আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ও রেডিয়েশন পৃথিবীতে প্রবেশ করে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে তুলছে। এই আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি আমাদের স্কিন এবং DNA কে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যার ফলে অনেক প্রজাতির মধ্য প্রজনন ক্ষমতাও কমে যায়।
তাই এই প্রকৃতি জগৎকে রক্ষা করা আমাদের বিশেষ প্রয়োজন। কারণ সর্বশেষ এই প্রকৃতি জগতই আমাদেরকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করবে। বর্তমানে আপনি খবরে অবশ্যই শুনেছেন, আন্টার্টিকার বরফ ধীরে ধীরে গলে যাচ্ছে। যার ফলে সমুদ্রের জলের স্তর প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে, আন্টার্টিকার এই বরফ গলে যাওয়াকে আমাদের বন্ধ করতে হবে, এবং সেখানে আবার বরফ জমাট বাঁধানোর চেষ্টা করতে হবে।
আপনাদের মধ্যে থেকে এমন হয়তো অনেক ব্যক্তি রয়েছেন, যারা এই বিশ্ব উষ্ণায়নকে সিরিয়াস ভাবে নেয় না। কারণ আপনি হয়তো সরাসরি বিপদকে দেখতে পাচ্ছেন না, তাই এরকম ভাবছেন। কিন্তু যখন নিজের বাড়ির অথবা প্রতিবেশীর কোন ক্ষতি হয় তখনই আমরা সচেতন হই, তার আগে নয়। কিন্তু তখন হয়তো অনেক দেরি হয়ে যেতে পারে।
যাইহোক নিজের কোন বিভেদ আসলেই তখন আমরা সেই বিষয়ে সচেতন হই । কিন্তু যেই প্রকৃতি আমাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রতিমুহূর্তে সাহায্য করে চলেছে, তার ক্ষতির কথা ভেবে আমরা সচেতন হই না। আমরা সচেতন হই না কারণ, এই ক্ষতি আমাদের ইমোশনের সঙ্গে সংযুক্ত নাই বলে।
কিন্তু এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে, প্রকৃতির রক্ষণাবেক্ষণ বা দেখাশোনার কাজ আমাদেরকেই করতে হবে। যেমন ভাবে আমাদের পরিবারে কোনো বিপদ আসলে, আমরা যেভাবে সেই বিপদেতে ঝাঁপিয়ে পড়ি, সেই ভাবেই আমাদেরকে ঝাপাতে হবে।
বিশ্ব প্রকৃতিকে রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের সকলেরই কর্তব্য। কারণ বিপদ যাতে না আসে তার জন্য যদি আগে থেকেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, তাহলে সেই বিপদ হয়তো নাও আসতে পারে, আর যদিও হয়তো আসে তাহলে হালকা আসতে পারে, এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা আগে থেকে তৈরি করার জন্য তেমন একটা হয়তো ক্ষয়ক্ষতীয় হবে না।
তাই চলুন আজ থেকেই আমরা একটি চ্যালেঞ্জ শুরু করি, আজ বা আগামীকালের মধ্যেই আপনি আপনার বাড়ির আশেপাশে এক থেকে দুটি গাছ লাগান, এবং সেই গাছগুলির ফটো তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করুন। এবং তাদেরকেও বলুন তারা যেন দুটি গাছ লাগিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে। এইভাবে সকলেই যেন দুটি করে গাছ লাগিয়ে তার ফটো সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে, এই রকম বার্তা সকলকেই দিতে বলুন।
তাহলে দেখবেন আপনার এই ছোট্ট পদক্ষেপ একদিন প্রকৃতির জন্য খুব বড় এচিভমেন্ট হয়ে দাঁড়াবে। এটি বর্তমানে আমাদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খুব বড় কার্যকরী পদক্ষেপ হবে। কারণ গাছ খাদ্য, জ্বালানির জন্য কাঠ ও পাতা, ঘরের তৈরির জন্য, শরীর ঢাকার জন্য বস্ত্র, কার্বন-ডাই-অক্সাইড শুষে নিয়ে অক্সিজেন দিয়ে থাকে, এমনকি প্রকৃতির ভারসাম্যকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে।
Conclusion
অর্থাৎ এই বিশ্বসোস নাইনের প্রভাব প্রাণীকুলের জন্য যে কতটা ভয়ংকর তা আমাদেরকে বুঝতে হবে। এবং এর জন্য যা যা করণীয় তা আমাদেরকে অবশ্যই করতে হবে। না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে উঠবে। এর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে গাছ তো লাগাতেই হবে এর সঙ্গে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ গড়ে তুলতে হবে।
FAQ
সাধারণ অর্থে এক কথায় বিশ্ব উষ্ণায়ন বলতে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধিকেই বোঝায়।
হজের স্তর ক্ষয়ের জন্য অনেক গ্যাসই দায়ী রয়েছে। তবে প্রধান যে গ্যাসটি দায়ী সেটি হল ক্লোরোফ্লোরো কার্বন বা CFC.
ওজোন স্তর ক্ষয় রোধের জন্য বিশ্বস্তরে যে চুক্তি হয় সেটি হলো ‘মন্ট্রিল প্রটোকল’ । এই চুক্তিতে ক্লোরোফোরো কার্বন গ্যাসের ব্যবহার কমের কথা বলা হয়।