how to make chocolate And Start Business ( চকলেটের ব্যবসা ) – বাজারে চাহিদা, লাইসেন্সে, কাঁচামাল, মেশিন, চকলেট তৈরির পদ্ধতি, প্যাকেট, বিক্রি,টাকা খরচ, লাভ সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য।

Contents hide

অনেক সময় মহিলারা তাদের টেকনিক বা অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করে থাকে এবং তার দ্বারা তারা ব্যবসাও করে যাতে করে তারা তাদের জীবিকার দ্বারা জীবন নির্বাহের অর্থ উপার্জন করতে পারে।

Chocolate making business
Photo by Pixabay

এছাড়া কিছু মহিলারা বা ব্যক্তিরা এমন কিছু জিনিস তৈরি বা উৎপাদন করে যাতে করে তাদের শখ পূরণ হতে পারে। আজকে আপনাদের সঙ্গে এমন একটি ব্যবসা সম্পর্কে পরিচয় করানো হবে যে আপনারা বাড়িতে বসেই করতে পারবেন হ্যাঁ তা হল চকলেট তৈরির ব্যবসা (How to make chocolate at home & Start Business) । যদি আপনারা বিভিন্ন ধরনের চকলেট তৈরি (how to make chocolate) করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার কাছে খুবি লাভজনক হতে পারে।

কেননা চকলেট মানুষের একটি নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা যে কোন ঋতুতে এই চকোলেটের চাহিদা থেকেই থাকে। এছাড়া আপনারা চাইলে চকলেটের কেক (chocolate flavour cake) অথবা চকলেটের আইসক্রিম (chocolate ice cream) তৈরি করেও বিক্রি করতে পারেন।এর সাহায্যে আপনি যেমন আপনার দক্ষতা ব্যবহার করে কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারবেন তেমনি আপনি মানুষের সামনে আপনার দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারবেন।

👉চকোলেট কি?

চকোলেট শিশুদের খুবই সুস্বাদু এবং প্রিয় একটি খাবার। আপনি নিশ্চয়ই Cadburys, Kit Kat, Twix, Snickers, Ferrero Rocher, Milky Way, Almond Joy, Cailler, Bar One, Bounty, Milkybar ( chocolate names ) ইত্যাদির নাম শুনেছেন, এগুলো সবই চকলেট তৈরির বিখ্যাত কোম্পানি। এটি কেবল শিশুদের প্রথম পছন্দ নয় বড়দেরও খুব পছন্দ। আপনিও এই ধরনের চকলেট তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। চকলেট এমনই একটি জিনিস যাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নানান chocolate quotes বা চকলেটের ছন্দ। যেমন Linda Grayson এর মতে – ” There is nothing better than a friend unless it is a friend with chocolate.” ।

👉 চকলেট ব্যবসা সম্পর্কিত বাজারের চাহিদা এবং এর ভবিষ্যৎ

কোন ব্যবসা শুরু করার আগে, আপনাকে তার বাজার চাহিদা খুঁজে বের করা উচিত। আপনি কিভাবে আপনার চকোলেট ব্যবসা আপনার এলাকার অন্যদের থেকে আলাদা করতে পারেন তা নির্ধারণ করতে হবে। এর জন্য আপনি দেখুন, যে মানুষ কোন ধরনের চকলেট বাজারে তৈরি করে এবং বিক্রি করে এবং কোন ধরনের চকলেট মানুষ পছন্দ করে। তাহলে সেই অনুযায়ী আপনি আপনার চকলেট তৈরি করতে পারেন।

চকলেট শিল্পের প্রবৃদ্ধি গত এক দশকে স্থানীয়ভাবে এবং বিশ্বব্যাপী উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং এটি এমন একটি আইটেম যা কখনোই এর চাহিদা হারায় না। অতএব, এই ব্যবসার ভবিষ্যৎ খুব ভালো হতে পারে। যাইহোক, আপনি যদি এর জন্য একটি ভালো মার্কেটিং প্ল্যান ( chocolate mousse ) তৈরি করেন, তাহলে এটি আপনাকে আরো বেশি সাফল্য দেবে। এবং আপনার মুনাফা অর্জন জন্য আরও বেশি হবে।

👉 কারা এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারে

যে কেউ এই চকোলেট ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সে গৃহিণী হোক, যুবক হোক বা প্রবীণ নাগরিক হোক। যে কেউই এই ব্যবসার প্রতি আগ্রহী থাকলে এবং চকলেট তৈরির বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা থাকলে সে সফলভাবে এই ব্যবসা চকলেট ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স এবং সার্টিফিকেট করতে পারে এবং মুনাফা অর্জন করতে পারে।

👉চকলেট ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স এবং সার্টিফিকেট

এই ব্যবসা শুরু করার জন্য, আপনার কিছু প্রয়োজনীয় লাইসেন্স এবং সার্টিফিকেট থাকতে হবে, যা নিম্নরূপ-

ট্রেড বা বিজনেস লাইসেন্স : – যেকোনো ধরনের ব্যবসা শুরু করার জন্য ট্রেড লাইসেন্স বা ব্যবসার লাইসেন্স করা প্রয়োজন। এর জন্য আপনাকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ‌ তথা পঞ্চায়েত প্রধান অফিস বা বিডিও অফিস বা জেলা পরিষদে গিয়ে করে নিতে পারেন। যাতে যাতে করে পরে আর ঝামেলা না হয়।

কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন : – যদি আপনারা বড় আকারের এই ব্যবসাটি করতে চান তাহলে ট্রেড লাইসেন্স এর পাশাপাশি কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করে নিবেন। যাতে দেখা যায় যে আপনার কোম্পানি আইনত সঠিক, কারণ আজকাল অনেক ভুয়া কোম্পানি তৈরি হচ্ছে, যা অবৈধ কাজ করে ।

ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশন : – যেকোনো ব্যবসার জন্য ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশন করা অত্যাবশ্যক যাতে করে আপনার ব্র্যান্ড লোগো সঙ্গে অন্য কোন কোম্পানির সামঞ্জস্য না থাকে এবং খুব সহজেই যেন ট্রেডমার্ক দেখলেই গ্রাহকেরা বুঝতে পারেন যে এই প্রোডাক্টটি আপনার কোম্পানির। এছাড়া আপনার প্রোডাক্টের প্রতি তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাও বাড়বে।

FSSAI এবং Food Grain সার্টিফিকেট : – যেহেতু এই ব্যবসাটি খাদ্য পণ্য, তাই আপনাকে এই ব্যবসার জন্য যদি আপনি ভারতে থেকে এই ব্যবসা করতে চান তাহলে FSSAI লাইসেন্স এবং আপনি যদি বাংলাদেশে থেকে এই ব্যবসা করতে চান তাহলে Food Grain লাইসেন্স করতে হবে। । এর ফলে গ্রাহকরা বুঝতে পারবে যে আপনার প্রোডাক্টের ভারত সরকার দ্বারা বা বাংলাদেশ সরকার দ্বারা প্রাপ্ত গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে।

👉 বাড়িতে চকলেট তৈরীর জন্য প্রশিক্ষণ

এই চকলেট তৈরির জন্য (how to make chocolate) আপনাকে কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই। এর জন্য ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে গুগল থেকে সব তথ্য পেতে পারেন। এছাড়া আপনারা ইউটিউবে গিয়ে সার্চ বারে যদি এই লিখে সার্চ করেন “chocolate making recipe” বা “চকলেট তৈরির পদ্ধতি” অথবা ” how to make chocolate ” তাহলে সেখানে অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন যেগুলিতে দেখে আপনারা বাড়িতে বসেই চকলেট তৈরি করে নিতে পারবেন।

আপনাকে কেবল মনে রাখতে হবে যে আপনার চকলেটগুলি অনন্য অর্থাৎ বিভিন্ন ভ্যারাইটির হওয়া উচিত এবং সেগুলি স্বাদেও নিখুঁত হওয়া উচিত। যাতে এটি মানুষকে আকৃষ্ট করে, তাহলে আপনি বাজারে ব্যবসার জন্য খুব ভালো জায়গা করে নিতে পারবেন।

👉 চকলেট ব্যবসার জন্য উপযুক্ত জায়গা

এই ব্যবসার জন্য, আপনার একটি উপযুক্ত অবস্থানের প্রয়োজন হবে যা বাজার, সুপার মার্কেট এবং শপিং মল হতে পারে। তবে আপনি বাড়িতে বসে চকলেট তৈরি (how to make chocolate at home) করে বাজারে দোকান স্থাপন করে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

👉 চকলেট তৈরির ব্যবসার জন্য যন্ত্র এবং সরঞ্জাম

চকলেট তৈরির বড় ব্যবসার জন্য আপনার নিম্নোক্ত মেশিন (chocolate making machine) বা সরঞ্জাম গুলির প্রয়োজন হবে।

মেলটিং মেশিন :- এই মেশিনটি চকোলেটের বিভিন্ন যৌগ গলানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে এটি আপনি আপনার বাড়িতে গ্যাসে ডবল বাইলর ব্যবহার করেও এই গলানোর কাজটি করতে পারেন।

মিক্সচার মেশিন :- এই মিক্সার মেশিনের সাহায্যে আপনারা গলিত হওয়া চকলেট এর বিভিন্ন যৌগ গুলিকে মিশ্রিত করতে পারবেন। এছাড়া চকলেটে আপনি যে সমস্ত উপাদানগুলিকে দিবেন সেগুলি কেউ একসঙ্গে মিক্সচার করার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।

রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ : – চকলেটকে জমাট বাঁধার জন্য আপনার একটি ফ্রিজেরও প্রয়োজন হবে।

এ ছাড়া, এই সমস্ত কাজগুলি আপনারা আপনার বাড়িতে থাকা বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করেও করতে পারেন, যেমন সরঞ্জাম গুলোকে গুঁড়ো করা, মিশ্রন করা, এই সমস্ত কাজ গুলি, তবে জমাট বাঁধার জন্য অবশ্যই আপনার বাড়িতে একটি ফ্রিজ থাকা প্রয়োজন।

👉 চকলেট তৈরির ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল

চকোলেট তৈরির জন্য আপনার নিম্নলিখিত কাঁচামালের (chocolate making materials) প্রয়োজন হবে –

  • চকোলেট কম্পাউন্ড – এটি কোকো, চর্বি, চিনির মিশ্রণে তৈরি এক ধরনের পদার্থ, যা আপনি বাজারে সহজেই পেয়ে যান।
  • ফলের রস – চকোলেটকে সুস্বাদু করতে এতে বিভিন্ন ধরনের ফলের স্বাদ মেশানো হয়।
  • রঙ- আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন বাজারে বিভিন্ন রঙের চকলেট পাওয়া যায়। রঙে চকলেট তৈরি করতে রঙ ব্যবহার করা হয়।
  • চকো চিপস- চকোলেট তৈরির সময়ও আপনার চকো চিপস লাগবে। যা আপনি যেকোনো মার্কেট বা অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে সহজেই কিনতে পারবেন।
  • এসেন্স- চকলেট সুগন্ধি তৈরি করতে এসেন্স ব্যবহার করা হয়।
  • র‍্যাপিং পেপার- চকলেট সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হওয়ার পর এটি র‍্যাপারে প্যাক করা হয়।
  • স্প্যাটুলা – এটি একটি দীর্ঘ প্রান্তযুক্ত পাত্র। যা চকলেট তৈরির সময় ব্যবহার করা হয়।
  • বাদাম– চকোলেটকে আরও সুস্বাদু করতে আপনি বাদামও ব্যবহার করতে পারেন।
  • চকোলেট ছাঁচ – আপনি বাজারে বিভিন্ন ধরণের ডিজাইন করা চকলেট দেখেছেন, তাই চকলেটের ছাঁচগুলি চকলেটগুলিতে বিভিন্ন ধরণের নকশা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • ট্রে শীট – চকোলেট একটি ট্রে শীটে রাখা হয় রেফারে প্যাক করার আগে।
  • ট্রান্সফার শীট – ট্রান্সফার শীট চকলেট সাজানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।

এই সমস্ত জিনিস গুলি আপনারা আপনার নিকটস্থ বাজারে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন এছাড়া আপনি অনলাইন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্ডার করেও কিনতে পারেন।

👉 বাড়িতে চকলেট তৈরির পদ্ধতি

টিভিতে বা মোবাইলে চকলেটের ছবিগুলো (chocolate images) দেখে মনে হয় যদি চকলেট গুলো বাড়িতে তৈরি করতে পারতাম তাহলে খুবই ভালো হতো। বাড়িতে এই চকোলেটগুলি তৈরি (how to make chocolate at home) করতে আপনাকে বিশেষভাবে নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলি অনুসরণ (process of making a chocolate) করতে হবে।

Chocolate making business
Photo by Pixabay
  • প্রথমে একটি পাত্রে কোকো পাউডার, মিল্ক পাউডার ও চিনির গুঁড়া নিন।
  • এবার চালনি দিয়ে ছেঁকে নিন। এটি ছেঁকে নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ অন্যথায় চকলেট ক্রিমি হবে না।
  • এবার ছাঁকার পর ভালো করে মিশিয়ে নিন।
  • এরপর একটি খালি পাত্রে জল রেখে গরম করুন । এবং জল যখন ফুটতে শুরু করবে এর উপরে আরেকটি পাত্র রাখুন আর এতে মাখন দিন।
  • মাখন গরম হয়ে গোলে গেলে প্রস্তুত কোকো পাউডার, মিল্ক পাউডার ও চিনির গুঁড়া মিশ্রণটি যোগ করুন । এবং ভালোভাবে মাখিয়ে কিছুক্ষণ গরম করুন।
  • এরপর ভ্যানিলা এসেন্স, বাদাম এবং অন্যান্য সামগ্রী যোগ করতে চাইলে যোগ করুন।
  • আপনি যদি এটি সিল্কের মতো স্বাদ পেতে চান তবে এতে প্রচুর মাখন যোগ করুন। মনে রাখবেন এতে যত বেশি মাখন থাকবে চকোলেট তত মসৃণ হবে।
  • এরপর পেস্টটি নামিয়ে নিন। এখন আপনার চকোলেট পেস্ট প্রস্তুত।
  • এরপর মিশ্রণটি হালকা ঠান্ডা হয়ে গেলে আপনার পছন্দের ডিজাইনের সিলিকনের ছাঁচে ঢেলে দিন।
  • এরপর ৩-৪ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন
  • এখন আপনার চকলেট সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

উপরিক্ত পদ্ধতিটি ফলো করে আপনারা বাড়িতে তো চকলেট তৈরি (how make chocolate at home) করতে পারবেনই সঙ্গে একই পদ্ধতি ফলো করে আপনারা বাড়িতে চকলেট কেক (how to make chocolate cake) তৈরীও করতে পারবেন । এক্ষেত্রে কেক আলাদা ভাবে তৈরি করে তার উপরে চকলেটের প্রলেপটি ঢালতে হবে বা মাখাতে হবে। এর জন্য আপনাকে কিছুটা রিসার্চ করতে হবে। যা আপনারা ইউটিউবে বা গুগলে সার্চ করলে অবশ্যই চকলেট কেক তৈরির রেসিপি ( chocolate Cake recipe ) যাবেন।

👉 চকলেট কোথায় এবং কিভাবে বিক্রি করা যাবে

বাড়িতে চকলেট তৈরি করে (how to make chocolate) অথবা চকলেট তৈরির কারখানা করে সেখান থেকে চকলেট প্রোডাকশনের পর, বিক্রি করার জন্য আপনারা নিম্নের ক্ষেত্রগুলি অনুসরণ করতে পারেন।

  • চকলেট আপনারা বাজারে ছোটখাটো রিটেলার স্টোর কে অর্ডার অনুযায়ী সাপ্লাই করতে পারেন।
  • অথবা আপনি নিজেই বাজারে বা অন্য কোন জায়গায় যেখানে লোকের সমাগম বেশি থাকে সেখানে ছোটখাটো স্টোর খুলে বিক্রি করতে পারেন।
  • এছাড়া বিভিন্ন ধরনের উৎসব অনুষ্ঠানে অর্ডার অনুযায়ী সাপ্লাই করতে পারেন।
  • এছাড়া আপনি আপনার চকলেটের ব্যবসাটিকে অনলাইনে নিয়ে এসে অর্থাৎ ওয়েবসাইট বানিয়ে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন।
  • এছাড়া বিভিন্ন ধরনের সেলিং সাইট যেমন জোমাটো, অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, foodpanda, shopZ, Daraz এর মাধ্যমে সেলিং এজেন্ট বানিয়ে চকলেট বিক্রি করতে পারেন।

👉প্যাকেজিং

সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত চকোলেটগুলি ভাল মানের মোড়ানো কাগজে প্যাক করা উচিত। প্যাকেটটি খুব ভাল এবং আকর্ষণীয় হওয়া উচিত কারণ ভাল প্যাকিংও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজকাল, যদি এই প্যাকেটগুলিতে মোটু পাতলু, টম অ্যান্ড জেরি ইত্যাদির মতো কার্টুনগুলি যেন ছাপা হয়, তবে শিশুরা সেগুলি বেশি পছন্দ করে, তাই এটির যত্ন নেওয়া উচিত। সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য প্যাকেটের উপরে যেন দেওয়া থাকে যেমন উত্পাদন তারিখ, মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ, মূল্য ইত্যাদি। এসব ছোট প্যাকেট বড় কার্টনে ভরে পাইকারদের কাছে পাঠানো হয় যেখান থেকে খুচরা বিক্রেতারা সেগুলো নিয়ে বিক্রি করে।

👉 বাড়িতে চকলেট তৈরির ব্যবসার জন্য বিপণন পরিকল্পনা

আপনার তৈরি চকলেট , সে বাড়িতে তৈরি হোক (how to make chocolate at home) বা ফার্মে তৈরি হোক তা বাজারজাত করার জন্য একটি মার্কেটিং প্ল্যান প্রস্তুত করুন। এর জন্য, আপনাকে আপনার চকলেটের একটি ক্যাটালগ তৈরি করতে হবে, যাতে চকলেটের দাম ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে। আপনি আপনার ব্যবসার প্রচারের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ,ফেসবুক টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে নিতে পারেন। তাছাড়া আরেকটা বিষয় যা খুবই খেয়াল রাখতে হবে , সেটা হল প্রতিবছর ৭ই মে চকলেট ডে (when chocolate day) হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। আর ওই সময় বিভিন্ন ধরনের চকলেট কিন্তু খুব ভালো সেল হয়ে থাকে। তাই আপনাকে এই 7th May Chocolate day দিনটিকে লক্ষ্য রেখে তার পূর্বে ভালো ভালো ডিজাইনের এবং ভালো ভালো স্বাদের চকলেট প্রোডাকশন করতে হবে।

👉 চকলেট তৈরির ব্যবসার জন্য আর্থিক ঝুঁকি

এই ব্যবসায় ঝুঁকির পরিমাণ খুবই কম রয়েছে, অর্থাৎ নগণ্য। সুতরাং আপনি যদি ছোট পরিসরে এই ব্যবসা শুরু করেন, অর্থাৎ বাড়িতে চকলেট তৈরি করেন ( how to make chocolate at home ) তাহলে তো আপনার বাড়িতে যদি ফ্রিজ থাকে, কাঁচামালগুলোকে গুড়ো করার এবং ছাকার জন্য যদি সরঞ্জাম থাকে, তাহলে আপনার ক্ষতি খুব একটা হবে না বললেই চলে। কারণ এখানে আপনাকে বিশেষ কোন মেশিন কিনতেই হবে না।

👉বিনিয়োগ

এই ব্যবসার জন্য আপনাকে খুব বেশি বিনিয়োগ করতে হবে না, এতে কাঁচামাল এবং যন্ত্রপাতি যাই ব্যবহার করা হোক না কেন, আপনাকে সমস্ত সরঞ্জাম এর জন্য সর্বমোট ৮০,০০০ থেকে ৯০,০০০ টাকার মতো খরচ করতে হবে। আর আপনি যদি বাড়িতে চকলেট তৈরি করতে চান ( how to make chocolate at home ) , তবে বাড়িতে যদি আপনার ফ্রিজ থেকে থাকে এবং চকলেট তৈরির কাঁচামাল গুলোকে গুঁড়ো করার জন্য এবং মিক্স করার জন্য যদি মিক্সার মেশিন বা অন্য কোন সরঞ্জাম থেকে থাকে তাহলে আপনার খরচের পরিমাণ অনেকটা কম যেতে পারে। তবে বড় আকারের ব্যবসা করার জন্য উপরিক্ত মেশিন গুলো কিনে নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।

👉 চকলেট ব্যবসা থেকে কিরকম কি মুনাফা অর্জন হতে পারে

একবার এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত হলে, এর পরে আপনি এটি থেকে ৪০% থেকে ৫০% মুনাফা পেতে পারেন। অর্থাৎ ১০০ টাকার চকলেট তৈরি সরঞ্জাম লাগিয়ে তা থেকে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেনিফিট হতে পারে। এবং ব্যবসাটি যদি আপনি বড় করতে পারেন তাহলে আপনার মুনাফার পরিমাণ টা আরো বেড়ে যাবে। বড় আকারের ব্যবসাটিকে বানিয়ে যদি দোকানে দোকানে হোলসেলার হিসেবে সাপ্লাই করেন তাহলে মাসিক কমপক্ষে আপনার ৫০ হাজার টাকার মত ইনকাম হয়ে যেতে পারে।

📝👉 FAQ how to make chocolate

Q) চকোলেট কি ?

চকোলেট শিশুদের এবং যেকোনো বয়সী ব্যক্তিদেরই খুবই সুস্বাদু এবং প্রিয় একটি খাবার ।

Q) বাড়িতে কি চকলেট তৈরি করা যায় ?

হ্যাঁ, চকলেট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রয়োজনীয় কাঁচামাল গুলিকে কেনার পর সেগুলিকে মিক্স করে এর পেস্ট তৈরি করে ফ্রিজে রাখলেই চকলেট তৈরি হয়ে যাবে। ওপরে বাড়িতে চকলেট তৈরির পদ্ধতি (how to make chocolate at home সম্পর্কে সম্পূর্ণ ডিসকাস করা হয়েছে।

Q) বাড়িতে চকলেট তৈরির জন্য কি কি কাঁচামালের প্রয়োজন ?

কোকো পাউডার, মিল্ক পাউডার ও চিনির গুঁড়া ,ভ্যানিলা এসেন্স, বাদাম , বাটার ইত্যাদি।

Q) চকলেট তৈরীর ব্যবসার জন্য কি রকম কি খরচ হতে পারে ?

আপনি যদি বাড়িতে চকলেট তৈরির (how to make chocolate) ব্যবসাটি করতে চান এবং আপনার বাড়িতে যদি ফ্রিজ থেকে থাকে তাহলে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় কাঁচামাল গুলি কিনলেই তৈরি করতে পারবেন। আর যদি বড় আকারের চকলেটের ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে রিফ্রেজারেটর সহ দু একটি মেশিন কিনতে হবে। সুতরাং রিফ্রাজেরেটর, মেশিন এবং অন্যান্য কাঁচামালসহ সর্বোচ্চ আপনার ৮০০০০ – ৯০০০০ টাকার মতো খরচা হতে পারে।

Q) চকলেট তৈরির জন্য কি কোন লাইসেন্সের প্রয়োজন ?

হ্যাঁ, চকলেট তৈরির ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স সহ অন্যান্য দুই একটি লাইসেন্স করা খুবই ভালো।

Q) চকলেট তৈরির ব্যবসায় লাভ কি রকম হয় ?

চকলেট তৈরির ব্যবসা করে আপনারা ৪০% থেকে ৫০% পার্সেন্ট পর্যন্ত মুনাফা অর্জন করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *