trade license online Apply & Offline Apply & renewal – ট্রেড লাইসেন্স কী , এর অনলাইন এবং অফলাইন আবেদন পদ্ধতি, এর জন্য ডকুমেন্টস, রিনিউয়াল পদ্ধতি ।
যেকোনো ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমেই এর পরিকল্পনার পাশাপাশি ট্রেড লাইসেন্স নিতে হয়। আপনি যখন একটি ট্রেড লাইসেন্স ( trade license ) পান তখন কোন সমস্যা ছাড়াই আপনি সহজেই আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং ভাল মুনাফা অর্জন করতে পারেন।
আজকে আমরা আপনাদের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধে বলবো ট্রেড লাইসেন্স কি ( trade licence )? এবং ভারতে বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষেত্রে কিভাবে ট্রেড লাইসেন্সর জন্য আবেদন করা হয়।
আমরা অনলাইন ( trade license online Apply ) এবং অফলাইন উভয় পদ্ধতিতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স তৈরির পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত বলব এবং শুধু তাই নয়, ট্রেড লাইসেন্স রেনুয়াল পদ্ধতি ও ট্রেড লাইসেন্সের সুবিধা কী । আমরা আমাদের আজকের নিবন্ধে সেগুলি সম্পর্কেও বিস্তারিত বলতে যাচ্ছি।
📝👉 ট্রেড লাইসেন্স কি ও এর সুবিধা
👉 ট্রেড লাইসেন্স কি ( what is a trade licence )?
ট্রেড লাইসেন্স ব্যাবসার অধিকার পত্র নামে পরিচিত।যেকোনো ব্যবসা শুরু করার জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দরকারী আইনি নথি। ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করা হয় প্রধানত আপনার নিকটস্থ পৌরসভার মাধ্যমে।
আপনার যদি এই নথিটি থাকে তবে আপনি সহজেই আপনার ব্যবসা শুরু করতে এবং চালাতে পারেন কোনো ঝামেলা ছাড়াই।
একটি ট্রেড লাইসেন্স পেতে আপনাকে ব্যবসা শুরু করার ৩০ দিন আগে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি সহ আবেদন করতে হবে এবং আপনি অনলাইন ( trade license online Apply ) এবং অফলাইন উভয় ভাবে আবেদন করতে পারেন।
👉 ট্রেড লাইসেন্সের সুবিধা গুলি
- আপনার কাছে যদি একটি ট্রেড লাইসেন্স থাকে তাহলে কোনরকম বাধা ছাড়াই আপনি আপনার ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন।
- আপনার কাছে যদি একটি ট্রেড লাইসেন্স থাকে তাহলে আপনার ব্যবসাটি একটি সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে।
- আপনার কাছে যদি ট্রেড লাইসেন্স ( trade licence ) থাকে তাহলে আপনার ব্যবসাটি কাস্টমারদের কাছেও অনেকটা অগ্রাধিকার পায়।
- একটি ট্রেড লাইসেন্স আপনাকে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আপনার ব্যবসাকে কম্পিটিশনের মুখে নিয়ে যায়। এবং তাদের থেকে সফলতা অর্জনে সাহায্য করে যাদের কাছে ট্রেড লাইসেন্স নাই।
- আপনার কাছে যদি ট্রেড লাইসেন্স থাকে তাহলে যে কোন সরকারি অফিসার বা কর্মচারী ওই ব্যবসাটির জন্য আপনাকে অকারণে পেরেশান করতে পারবে না।
- ট্রেড লাইসেন্স অফলাইনে আবেদনের পাশাপাশি বাড়িতে বসে অনলাইনে আবেদন ( trade license online Apply ) করা যায়।
📝👉 ট্রেড লাইসেন্সের প্রকারভেদ
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে যে কোন ট্রেড লাইসেন্সের অধীনে আমাদের ব্যবসা নিবন্ধন করতে হবে এবং এর লাইসেন্স পেতে হবে এবং ট্রেড লাইসেন্স কত প্রকার।
এখানে আমরা নিচে ট্রেড লাইসেন্সের ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেছি। একবার আপনি নীচের দেওয়া তথ্যগুলি মনোযোগ সহকারে বুঝে নিলে, আপনার ব্যবসার জন্য কোন ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া উচিত এবং কোনটি উচিত নয় তা আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
👉 খাদ্য প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ( Food establishment license )
আপনি যদি খাদ্য ও পানীয় সম্পর্কিত কোনো ধরনের ব্যবসা করেন বা শুরু করার কথা ভাবছেন, তাহলে সবার আগে আপনাকে খাদ্য প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নিতে হবে। আপনি যদি এই ধরণের লাইসেন্স করে, আপনার খাদ্য সম্পর্কিত কোন ব্যবসা করেন, তবে আপনার কোন সমস্যা হবে না ।
এবং আপনি যদি এই লাইসেন্স ব্যতীত কোন খাদ্য ও পানীয় সম্পর্কিত কোনো ধরনের ব্যবসা শুরু করেন, তবে আপনার বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ হইতে আইনি ব্যবস্থা নিতে হতে পারে। শুধু তাই, জনগণের স্বাস্থ্যের সাথে খেলার জন্য আপনাকে সংশ্লিষ্ট আইনী বিধির অধীনে শাস্তি দেওয়া হতে পারে।
👉দোকান খোলার সাথে সম্পর্কিত ট্রেড লাইসেন্স ( Shop license )
যদি কোনো জিনিসের দোকান খুলতে হয়, সেক্ষেত্রে দোকান খোলার জন্য ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে। এখন আপনি যদি দোকান খোলার সাথে সম্পর্কিত ট্রেড লাইসেন্স পান তবে আপনি কোনও বাধা ছাড়াই এবং সরকারী নিয়ম অনুসরণ করে যে কোনও ধরণের দোকান শুরু করতে পারেন এবং আপনি আপনার দোকানটি সম্পূর্ণরূপে চালাতে এই লাইসেন্সের সুবিধা পাবেন।
👉 শিল্প লাইসেন্স ( Industries license )
ম্যানুফ্যাকচারিং বা কোনো কিছু তৈরির ব্যবসার সাথে জড়িত এমন ব্যবসার জন্য ম্যানুফ্যাকচারিং ট্রেড লাইসেন্স বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইসেন্স প্রয়োজন। এই ধরনের ব্যবসায় সাধারণত কল-কারখানা বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত।
ম্যানুফ্যাকচারিং ট্রেড লাইসেন্স বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইসেন্স পাওয়ার পর, আপনি যেকোন ধরনের শিল্প সম্পর্কিত ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এবং কোন বাধা ছাড়াই চালাতে পারবেন।
একটি শিল্প-প্রতিষ্ঠান শুরু করার আগে, অবশ্যই একটি ম্যানুফ্যাকচারিং ট্রেড লাইসেন্স বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইসেন্স নিতে হবে, অন্যথায় আপনাকে সরকার থেকে এবং অন্যান্য বেসরকারি এনজিওগুলির মাধ্যমে আপনার শিল্প ব্যবসা শুরু করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে।
📝👉 ভারতে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনি অনলাইন বা অফলাইনে ট্রেড লাইসেন্সের ( trade licence ) জন্য আবেদন করুন না কেন, সেই সময়ের মধ্যে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় নথির প্রয়োজন হবে এবং তবেই আপনি সহজেই আপনার ট্রেড লাইসেন্সের জন্য সফলভাবে আবেদন করতে পারবেন।
আমরা সকলেই জানি, আমরা যখনই কোনো সরকারি কাজ করতে যাই, আমাদের কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়, যার মাধ্যমে আমরা সেই কাজটিকে সরকারি অর্থাত্ বৈধ করতে পারি। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যদি আপনার ট্রেড লাইসেন্সটি তৈরি করতে চান তবে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে।
👉 নীচে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি সম্পর্কে উল্লেখ করা হল
- সবার আগে আপনার বা আপনার ব্যবসার Aadhar লাগবে।
- একটি ট্রেড লাইসেন্স পেতে, আপনাকে আপনার ব্যবসার একটি প্যান কার্ডও তৈরি করতে হবে।
- এছাড়াও, আপনি যেখানে আপনার ব্যবসা শুরু করতে চান সেই জায়গার জমি সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র আপনার কাছে থাকতে হবে।
- আপনি যদি ব্যবসা শুরু করার জন্য জমিটি ইজারা নিয়ে অর্থাৎ ভাড়া নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে অনাপত্তি সনদ তৈরি করতে হবে এবং একই সাথে আপনাকে আপনার সাথে ইজারা বা জায়গা ভাড়া সংক্রান্ত অন্যান্য নথিপত্র রাখতে হবে।
- ব্যবসায়িক সম্পত্তির মালিক বা প্রতিবেশীর কাছ থেকে সম্মতিপত্র অর্থাৎ তারা যে কোন আপত্তি করেনি তার একটি শংসাপত্র।
- বিস্ফোরক, কাঠ এবং বিপজ্জনক দ্রব্যের সাথে সম্পর্কিত ব্যবসা হলে তার একটি ব্লুপ্রিন্ট।
- অন্যান্য নথি যা পৌরসভার ওয়ার্ড অফিসার আবেদনের সময় চাইতে পারেন।
- আপনি যদি কারও সাথে অংশীদারিত্বে ব্যবসা শুরু করেন, তবে এমন পরিস্থিতিতে অংশীদারিত্বের সাথে সম্পর্কিত আপনার ব্যবসার শতকরা অংশীদার কে এবং কত লাভ তাকে সরবরাহ করতে হবে, এই সমস্তগুলির একটি স্ব-অংশীদারিত্বের শংসাপত্র প্রদান।
👉 ভারতে ট্রেড লাইসেন্স আবেদন ফি কত লাগে?
আমরা যখনই ট্রেড লাইসেন্স নিতে যাই, আমাদের এর মেয়াদ ৫ বছরের মধ্যে রাখতে হয় এবং ট্রেড লাইসেন্সের ফি নির্ভর করে আমরা কত বছরের ট্রেড লাইসেন্স পাচ্ছি।
ট্রেড লাইসেন্স করার সময়, আপনি আপনার নিকটস্থ অফিসে যাবেন, তারপর আপনি সেখানে নির্ধারিত ফিগুলির একটি তালিকা দেখতে পাবেন, যেখানে আপনার লাইসেন্সের বছর অনুসারে ফি নির্ধারণ করা হবে।
প্রতিটি জায়গায় ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আলাদা আলাদা ফি রয়েছে । এমনকি যখন আমরা আমাদের ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুনরায় Renew করতে যাই, তখনও আমাদের কিছু নির্ধারিত ফি জমা দিতে হয়।
📝👉 ট্রেড লাইসেন্স আবেদন পদ্ধতি
আপনি যদি ট্রেড লাইসেন্স পেতে চান তবে আপনি অফলাইন এবং অনলাইন উভয় মোডে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন ( trade license online Apply ) করতে পারেন। ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার জন্য ভারত সরকার উভয় ধরনের পদ্ধতিই জনগণের কাছে অ্যাক্সেসযোগ্য করে দিয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স পেতে আপনি যেভাবেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না কেন, আপনি এটির জন্য আবেদন করতে পারেন।
নিচে ধাপে ধাপে অনলাইনে ( trade license online Apply ) এবং অফলাইনে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো।
👉 ভারতে কিভাবে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন ( trade license online Apply ) করবেন?
আপনি যদি অনলাইন ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন ( trade license online Apply ) করতে চান, তাহলে আপনাকে আমাদের দ্বারা উল্লিখিত কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে এবং সেই পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে ( trade license online ) আপনার ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য আবেদন করতে পারেন । চলুন এখন জেনে নেই ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার অনলাইন প্রক্রিয়া সম্পর্কে।
প্রথম – যে রাজ্যে আপনি আপনার অনলাইন ট্রেড লাইসেন্স ( trade license online Apply ) তৈরি করতে চান, আপনাকে প্রথমে Google এর সার্চ করতে হবে “ট্রেড লাইসেন্স ইন” এরপর আপনার “রাজ্যের নাম” অথবা “অনলাইন ট্রেড লাইসেন্স এপ্লাই ইন” এরপর আপনার “রাজ্যের নাম” ।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে আপনার ট্রেড লাইসেন্স ( trade license west bengal ) অনলাইনে করতে চান, তাহলে আপনি গুগলে সার্চ করবেন ” trade licence in West Bengal ” অথবা ” trade license online Apply in West Bengal” ।
আপনি যদি আসাম রাজ্যে আপনার ট্রেড লাইসেন্স অনলাইনে ( trade licence online ) করতে চান, তাহলে আপনি গুগলে সার্চ করবেন ” trade licence in Assam ” অথবা ” trade license online Apply in Assam ” ।
আপনি যদি ঝাড়খন্ড রাজ্যে আপনার ট্রেড লাইসেন্স অনলাইনে করতে চান, তাহলে আপনি গুগলে সার্চ করবেন ” trade licence in Jharkhand ” অথবা ” online trade licence apply in Jharkhand ” ।
আপনি যদি ত্রিপুরা রাজ্যে আপনার ট্রেড লাইসেন্স অনলাইনে করতে চান, তাহলে আপনি গুগলে সার্চ করবেন ” trade licence in tripura ” অথবা ” trade license online Apply in tripura ” ।
আপনি যদি অন্য কোন রাজ্যে থেকে থাকেন, তাহলে উপরিক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করেই গুগলে সার্চ করবেন।
দ্বিতীয় – তাহলে আপনারা প্রত্যেকটি রাজ্যের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্সের আবেদনের জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন। যে ওয়েবসাইটগুলিতে ভিজিট করে আপনারা অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। উপরের হাইলাইট করা লিংকগুলোতে ক্লিক করেও আপনারা অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে পৌঁছাতে পারবেন।
তৃতীয় – হয়তো কোন কোন পোর্টালে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার কথা বলতে পারে অথবা নাও অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হতে পারে। যদি একাউন্ট তৈরি করার কথা বলি আপনারা অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর অ্যাকাউন্ট আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিবেন। আর অ্যাকাউন্ট তৈরি করার কথা বা লগইন করার কথা যদি না বলে তো আপনি online apply বা online trade licence apply বা apply for trade licence এই ধরনের অপশন পেয়ে যাবেন যেগুলির উপরে ক্লিক করতে হবে।
চতুর্থ – Apply এ ক্লিক করার পর আপনাদের কাছে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার ফর্ম ওপেন হয়ে যাবে। ফর্মটি ওপেন হওয়ার পর যে সমস্ত তথ্যগুলি যাওয়া হবে সেগুলিকে আপনাকে ফিলাপ করতে হবে। এরপর Save and continue বা Next – এই ধরনের অপশন দেখতে পেলে তার উপরে ক্লিক করে আগিয়ে যাবেন।
পঞ্চম – আবেদনপত্র পূরণ করার পরে, এখন আপনাকে অফিসিয়াল পোর্টালে চাওয়া প্রয়োজনীয় নথিগুলি একে একে আপলোড করতে হবে । যদি আপলোড করার অপশন থাকে তাহলে আপলোড করতে হবে, আর যদি আপলোড করার কোন অপশন না থাকে তাহলে আপলোড করার প্রয়োজন নাই। এরপর Save and continue বা Next – এই ধরনের অপশন দেখতে পেলে তার উপরে ক্লিক করে আগিয়ে যাবেন। অথবা যদি সাবমিটের অপশন দেখতে পান তাহলে তার উপরে ক্লিক করে ফর্মটিকে সাবমিট করে দেবেন।
ষষ্ঠ – আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স তৈরির জন্য কিছু নির্ধারিত ফি জমা দিতে বলা হবে এবং আপনার সামনে অনেকগুলি অর্থপ্রদানের বিকল্প উপস্থিত হবে, যেমন ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড, অথবা নেট ব্যাঙ্কিং বা ওয়ালেট। যেগুলিকে সিলেক্ট করে আপনি ট্রেড লাইসেন্সের জন্য ফিস জমা দিতে পারবেন।
সপ্তম – আপনি ফি প্রদান করার সাথে সাথে আপনি আপনার ফি প্রদানের নিশ্চিতকরণ পাবেন এবং তারপরে আপনার ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদনটি অনলাইনে সফলভাবে গৃহীত হবে। এরপর যদি সাবমিট এর অপশন দেখতে পান এক্ষেত্রে আপনি সাবমিট এ ক্লিক করে ফরমটিকে সাবমিট করে দিবেন। ফরমটি সাবমিট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আপনারা একটি অ্যাকনলেজমেন্ট সিলিপ পেয়ে যাবেন, যাতে আপনার ট্রাকিং আইডি থাকতে পারে। যার সাহায্যে আপনারা পরবর্তীকালে অনলাইনে চেক করতে পারবেন যে আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি এপ্রুভড হল, না রিজেক্ট হল।
অষ্টম – এখন আপনার দ্বারা জমা দেওয়া ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন ফর্মটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাচাই করা হবে এবং একবার আপনার দ্বারা পূরণ করা সমস্ত নথি এবং তথ্য যাচাই হয়ে গেলে ১ মাসের মধ্যে আপনি আপনার ট্রেড লাইসেন্সটি পেয়ে যাবেন।
👉ভারতে অফলাইনে ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন পদ্ধতি
অফলাইনের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স বানানোর জন্য আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
প্রথম – অফলাইনের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স বানানোর জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে, শহরাঞ্চলে হয়ে থাকলে আপনার নিকটস্থ মিউনিসিপাল বা পৌরসভা অফিস অথবা গ্রামাঞ্চলে হয়ে থাকলে আপনার নিকটস্থ পঞ্চায়েত প্রধান অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
দ্বিতীয় – এরপর আপনাকে সেখানকার কর্মচারী বা অফিসার কে ট্রেড লাইসেন্স বানানোর ব্যাপারে বলতে হবে। এবং তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে ট্রেড লাইসেন্স অফলাইনে বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে , এছাড়া এর জন্য ফরম কোথায় পাওয়া যাবে এবং ফরমটি ফিলাপ করার পর তার সঙ্গে কি কি ডকুমেন্টস অ্যাটাচ করতে হবে, কত টাকা ফিস লাগবে এবং ফর্মটির কোথায় জমা দিতে হবে । এইখানে অফিসাররা হয়তো আপনার কাছে জানতে চাইতে পারে, যে আপনি কোন শিল্প বা ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করবেন।
তৃতীয় – তারা আপনার শিল্প বা ব্যবসাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর ট্রেড লাইসেন্স বানানোর জন্য একটি ফর্ম আপনাকে দিতে পারে। অথবা ট্রেড লাইসেন্স এর ফ্রম কোথায় গেলে পাওয়া যাবে সেই সম্পর্কে অনুসন্ধান দিতে পারে।
চতুর্থ – এরপর আপনাকে ফর্মটি নিয়ে , যা যা তথ্য চাওয়া হবে সেই অনুযায়ী ফিলাপ করতে হবে।
পঞ্চম – ট্রেড লাইসেন্সের জন্য ফর্মটি ফিল আপ করার পর, যে যে ডকুমেন্টস চা হবে সেই সেই ডকুমেন্টসের জেরক্স কপি পেছনেতে অ্যাটাচ করে দিবেন।
ষষ্ঠ – এরপর ফিলাপ করা ফরমটি নিয়ে যেখানে জমা দেয়ার কথা বলা হবে সেইখানে গিয়ে জমা দিতে হবে।
সপ্তম – ফর্মটি জমা দেয়ার সঙ্গে এর জন্য ফিস দেওয়ার কথা বলতে পারে। তো তিনারা যত টাকা ফিস কথা বলবে সেই আপনি তাদেরকে জমা দিয়ে দেবেন।
অষ্টম – এরপর আপনাকে জেনে নিতে হবে , আপনাকে কোন এপ্লিকেশন আইডি দেওয়া হবে কিনা। যদি এপ্লিকেশন আইডি দেয় তো আপনি সেটিকে যত্ন করে রাখবেন। সঙ্গে তাদের কাছ থেকে জেনে নিবেন যে কতদিন পর ট্রেড লাইসেন্সটি ( trade license ) পাওয়া যাবে।
👉 কিভাবে ট্রেড লাইসেন্স সার্টিফিকেট পাওয়া যায়?
বেশিরভাগ রাজ্যের ক্ষেত্রেই ট্রেড লাইসেন্সের ( trade license ) জন্য আবেদন করার পর ট্রেড লাইসেন্স সার্টিফিকেটটি এক মাসের মধ্যে ডাকযোগে অর্থাৎ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে বাড়িতে পৌঁছে যায়।
কোন কোন রাজ্যের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার পর, ট্রেড লাইসেন্স টি পাওয়ার জন্য, অনেক ক্ষেত্রে যে পোর্টালে অথবা যেই অফিসে আবেদন করা হয়। সেখান থেকেও ট্রেড লাইসেন্স সার্টিফিকেট প্রিন্ট করা যায়।
📝👉 ট্রেড লাইসেন্স রেনুয়াল ( trade license renewal ) কিভাবে করা যায়?
ট্রেড লাইসেন্স সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জন্য তৈরি করা যায়। আপনি যত বছরের জন্য তৈরি করবেন, তত বছর পর পুনরায় ট্রেড লাইসেন্স টিকে রেনুয়েল ( trade licence renewal ) করতে হয় অর্থাৎ পুনর্নবীকরণ করতে হয়।
👉ভারতে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স রেনুয়াল পদ্ধতি ( trade license renewal online )
প্রথমত আপনি যেই রাজ্যের পোর্টালিতে ট্রেড লাইসেন্স বানিয়েছিলেন। সেই ওয়েবসাইটটিকে ভিজিট করতে হবে। আপনার ট্রেড লাইসেন্স টিকে অনলাইনে রিনিউয়াল ( trade license online renewal )করার জন্য।
ওয়েবসাইটটি ওপেন করার পর সেখানেতে ট্রেড লাইসেন্স রেনুয়াল -এর অপশন পেয়ে যাবেন। ওই অপশনটি ক্লিক করে , যদি একাউন্ট আইডি এবং পাসওয়ার্ড চাই তাহলে একাউন্ট ক্রিয়েট করার সময় যে ইউজার আইডি পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন, সেই ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে রেনুয়াল পেয়ে যেতে ডাইরেক্ট হয়ে যাবেন।
এবং কোন কোন রাজ্যের ক্ষেত্রে যদি একাউন্ট তৈরীর অপশন না থাকে। তাহলে ট্রেড লাইসেন্স রেনুয়াল আপশনে ক্লিক করলে , ট্রেড লাইসেন্স এপ্লিকেশন আইডি চাইবে, সেটিকে পুট করার পর এগিয়ে গেলেই রেনুয়াল করার জন্য ফর্ম ওপেন হয়ে যাবে।
ওই ফরমটিতে যা যা তথ্য চাওয়া হবে সেগুলি ফিলাপ করার পর সাবমিট করলেই। আপনার ট্রেড লাইসেন্স রেনুয়াল প্রসেস সাকসেসফুল হয়ে যাবে। এরপর সেম টু সেম আপনারা ডাকযোগে আপনার ট্রেড লাইসেন্স রেনুয়াল সার্টিফিকেটটি পেয়ে যাবে।
👉 ভারতে অফলাইনে ট্রেড লাইসেন্স রেনুয়ালের পদ্ধতি
অফলাইনের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স রেনুয়াল করার জন্য। আপনি যদি শহরে থেকে থাকেন তাহলে পুনরায় আপনাকে মিউনিসিপাল বা পৌরসভা অফিস, এবং যদি গ্রামাঞ্চলে থেকে থাকেন তো পঞ্চায়েত প্রধান অফিসে যেতে হবে।
এরপর পুনরায় আপনাকে ওখানকার অফিসার বা কর্মচারীদের কাছ থেকে রেনুয়াল করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। এবং পুনরায় রেনুয়াল ফরম ফিলাপ করে জমা দিতে হবে বিভিন্ন ডকুমেন্টের জেরক্সের সহিত।
এবং পুনরায় আপনাকে ট্রেড লাইসেন্সের রেনুয়াল ফিস দিতে হবে। ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার পর পুনরায় এক মাসের মধ্যে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স রেনুয়াল সার্টিফিকেট আপনার বাড়িতে পৌঁছে যাবে।
📝👉 FAQ of Trade License
Q) ট্রেড লাইসেন্স কি ( what is a trading licence ) ?
ট্রেড লাইসেন্স ব্যাবসার অধিকার পত্র নামে পরিচিত। যেকোনো ব্যবসা শুরু করার জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দরকারী আইনি নথি। যা যেকোনো ধরনের ব্যবসা কোন অসুবিধা বা ঝামেলা ছাড়াই চালাতে সাহায্য করে।
Q) ভারতে কোন ব্যবসা শুরু করার আগে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া কি বাধ্যতামূলক?
ভারত সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো ধরনের ব্যবসা শুরু করার আগে, আপনার ব্যবসার একটি ট্রেড লাইসেন্স ৩০ দিন আগে তৈরি করা উচিত এবং যেকোনো ধরনের ব্যবসা শুরু করার আগে এটি সবচেয়ে বাধ্যতামূলক কাজ।
Q) ভারতে সর্বোচ্চ কত দিনের জন্য ট্রেড লাইসেন্স করা যায় ?
যেকোনো ব্যবসার জন্য সর্বোচ্চ ৫ বছরের জন্য ট্রেড লাইসেন্স করা যায়।
Q) ভারতে ট্রেড লাইসেন্স কি অনলাইনে আবেদন ( trade license online Apply ) করা যায় ?
প্রতিটি রাজ্যের জন্য তাদের নিজস্ব আলাদা আলাদা ওয়েবসাইট রয়েছে। যেগুলিতে ভিজিট করে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায়।
Q) অফলাইনে কি ট্রেড লাইসেন্স আবেদন করা যায় ?
গ্রামাঞ্চলে থাকলে পঞ্চায়েত প্রধান অফিস এবং শহরাঞ্চলে থাকলে পৌরসভা বা মিউনিসিপাল অফিসে গিয়ে অফলাইনে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যায় ।
সতর্কবার্তা – ওপরে উত্তর ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য তথ্যগুলি ভারত সরকার দ্বারা নির্দেশিত কোন অফিসিয়াল নোটিশ নয়। শুধুমাত্র ইনফরমেশন পারপাস এর জন্য দেওয়া হয়েছে। ভারতের ট্রেড লাইসেন্সের জন্য অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ নিবেন।