Dairy Farming – দুগ্ধ শিল্প কিভাবে শুরু করবেন, বাজারে এর চাহিদা, উন্নত প্রজাতির গরু বা মহিষ নির্বাচন, খরচ ও ইনকাম, দুধ মার্কেটিং সমস্ত তথ্য জানুন বিস্তারিত।

Contents hide
Dairy Farming by businessbengali.com

ডেইরি ফার্ম হাউসের ব্যবসা অন্য ব্যবসার মতো নয়। এই ব্যবসা যতটা সহজ মনে হয় ততটা সহজ নয়। এই ব্যবসা সঠিকভাবে চালাতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। সুতরাং আপনি যদি এই ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন, তবে আপনাকে অবশ্যই এই পোষ্টটি পড়তে হবে।

আজকের এই পোস্টে আপনি জানতে যাচ্ছেন যে এই ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে কী কী বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। কিভাবে আপনি সঠিকভাবে এই ব্যবসা চালাতে পারেন? তবে সবার আগে আপনাকে জানতে হবে আমাদের দেশে এই ব্যবসার অবস্থা কী এবং এর মাধ্যমে আপনি কতটা মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।

📝👉দেশে দুগ্ধ শিল্পের চাহিদা এবং এর সাথে সম্পর্কিত লাভ

নিম্নে ভারতে ও বাংলাদেশে সংগঠিত কয়েকটি সার্ভে উল্লেখ করা হল-

👉 ভারতের রিপোর্ট ~

2015-16 সালে পরিচালিত একটি অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুসারে, ভারত দুধ উৎপাদনে প্রথম স্থানে রয়েছে। ভারত বিশ্বের দুধ উৎপাদনের 18.5% উৎপাদন করে। যার মানে আমাদের দেশে এই ব্যবসার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। একই সময়ে, দুধ এমন একটি পণ্য যা আপনি রপ্তানি করেও অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

একই সময়ে, সম্প্রতি ভারত সরকারের উপস্থাপিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, 2014 সাল থেকে 2017 সাল পর্যন্ত দুগ্ধ চাষীদের আয় 23.77% বৃদ্ধি পেয়েছে। 2016-17 সালে দেশে দুধের উৎপাদন 20.12% বৃদ্ধি পেয়েছে। এ থেকে অনুমান করা যায় শুধু দুধ নয়, এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কৃষকদের ( dairy farmers ) আয়ও যথেষ্ট বেড়েছে।

👉 বাংলাদেশের রিপোর্ট ~

সাম্প্রতিক সময়েই একটি রিপোর্ট অনুযায়ী মাথা পিছু দৈনিক চাহিদা ১৫০ মিলি লিটারে এসেছে যা পূর্বে দৈনিক চাহিদা 80 মিলিলিটার ছিল। অর্থাৎ প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হচ্ছে নতুন চাহিদা। তাই এই ব্যবসা খুবই লাভজনক হতে পারে।

📝👉 ব্যবসার আকার অনুযায়ী আয় এবং ব্যয়

আপনি ছোট, মাঝারি এবং বড় আকারেও এই ব্যবসা ( । ) শুরু করতে পারেন। যদি আপনার কাছে প্রচুর মহিষ বা গরু কেনার টাকা না থাকে তবে আপনি মাত্র চারটি মহিষ রেখে এই ব্যবসা খুলতে পারেন। তবে মনে রাখবেন এই মহিষ থেকে আপনি যত বেশি দুধ পাবেন আপনার লাভ তত বেশি হবে। অর্থাৎ চারটি মহিষ পালন করলে লাভ কিন্তু বেশি নয়। অন্যদিকে এই মহিষ বা গরুর সংখ্যা বাড়ানো হলে আপনার লাভও বাড়বে। নীচে আমরা আপনাকে তিনটি স্তরে একটি দুগ্ধ খামার খোলার সাথে সম্পর্কিত কিছু তথ্য দিয়েছি।

👉 বড় আকারের দুগ্ধ খামার

এই ধরনের দুগ্ধ ব্যাবসা ( Dairy Farming ) খুলতে চান তাহলে আপনি ৪০ থেকে ৫০ টি মহিষ বা গোরু যা দৈনিক ৮-১০ লিটার করে দুধ দেয় তা নিয়ে খুলতে পারেন। ধরুন একটি মহিষ বা গোরু যদি আপনাকে দিনে ৮-১০ লিটার দুধ দেয়, তাহলে ৪০টি মহিষ অনুযায়ী, আপনি বিক্রি করার জন্য দিনে ২৩২-৪০০ লিটার দুধ পাবেন।

অন্যদিকে প্রতি লিটার কমপক্ষে ৩৫ টাকা দরে ​​এই দুধ বিক্রি করলে দিনে ১০,৯২০-১৪,০০০ টাকা লাভ হবে। একই সময়ে মাস অনুযায়ী ইনকাম পরিমাণ হবে ৩,২৭,৬০০-৪,২০,০০০ টাকা। একই সাথে, এই পরিসংখ্যান অনুসারে, আপনি কতটা মুনাফা অর্জন করতে পারবেন তার ধারণা পেতে পারেন। তবে এই লাভের মধ্যে মহিষ পালনের খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এই আকারের ব্যাবসা শুরু করার জন্য আপনাকে ১২,০০০০০-১৫,০০০০০ টাকা খরচ করতে হতে পারে । যদি মহিষ বা গরুর দাম গড়ে ৩০,০০০ টাকা ধরা হয়। তাহলে ৪০টি তে ১২,০০০০০ টাকা এবং ৫০টি তে ১৫,০০০০০ টাকা।

👉 মাঝারি স্কেল ডেইরি ফার্ম

এই ধরনের দুগ্ধ ব্যাবসা ( Dairy Farming ) খুলতে চান তাহলে আপনি ১৫ থেকে ২০ টি মহিষ বা গোরু যা দৈনিক ৮-১০ লিটার করে দুধ দেয় তা নিয়ে খুলতে পারেন। ধরুন একটি মহিষ বা গোরু যদি আপনাকে দিনে ৮-১০ লিটার দুধ দেয়, তাহলে ১৫টি মহিষ অনুযায়ী, আপনি বিক্রি করার জন্য দিনে ১২০-১৫০ লিটার দুধ পাবেন।

অন্যদিকে প্রতি লিটার কমপক্ষে ৩৫ টাকা দরে এই দুধ বিক্রি করলে দিনে ৪,২০০-৫,২৫০ টাকা লাভ হবে। একই সময়ে মাস অনুযায়ী ইনকাম পরিমাণ হবে ১,২৬,০০০-১,৫৭,৫০০ টাকা। একই সাথে, এই পরিসংখ্যান অনুসারে, আপনি কতটা মুনাফা অর্জন করতে পারবেন তার ধারণা পেতে পারেন। তবে এই লাভের মধ্যে মহিষ পালনের খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এই আকারের ব্যাবসা শুরু করার জন্য আপনাকে ৪,৫০,০০০-৬,০০০০০ টাকা খরচ করতে হতে পারে । যদি মহিষ বা গরুর দাম গড়ে ৩০,০০০ টাকা ধরা হয়। তাহলে ১৫টি তে ৪,৫০,০০০ টাকা এবং ২০টি তে ৬,০০০০০ টাকা।

👉 ছোট আকারের দুগ্ধ খামার

আপনি কম টাকায় একটি ডেইরিও খুলতে পারেন। ছোট পরিসরে এই ব্যবসা ( Dairy Farming ) শুরু করতে হলে ৫টি মহিষ বা গরু নিয়ে শুরু করতে পারেন। একই সাথে, এই মহিষগুলি নেওয়ার সময়, চেক করে দেখুন করুন যে তারা ভাল জাতের এবং দিনে কমপক্ষে ৮-১০ লিটার দুধ দিতে পারবে।

ধরুন একটি মহিষ বা গোরু যদি আপনাকে দিনে ৮-১০ লিটার দুধ দেয়, তাহলে ৫টি মহিষ অনুযায়ী, আপনি বিক্রি করার জন্য দিনে ৪০-৫০ লিটার দুধ পাবেন। অন্যদিকে প্রতি লিটার কমপক্ষে ৩৫ টাকা দরে এই দুধ বিক্রি করলে দিনে ১৪০০-১৭৫০ টাকা লাভ হবে। এবং মাস অনুযায়ী ইনকাম পরিমাণ হবে ৪২,০০০-৫২,৫০০ টাকা।

একই সাথে, এই পরিসংখ্যান অনুসারে, আপনি কতটা মুনাফা অর্জন করতে পারবেন তার ধারণা পেতে পারেন। তবে এই লাভের মধ্যে মহিষ পালনের খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই আকারের ব্যাবসা শুরু করার জন্য আপনাকে ১,৫০,০০০ টাকা খরচ করতে হতে পারে । যদি মহিষ বা গরুর দাম গড়ে ৩০,০০০ টাকা ধরা হয়। তাহলে ৫টি তে ১,৫০,০০০ টাকা ।

📝👉 মহিষ বা গরু কেনার সময় যে যে বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে

সারা বিশ্বে মহিষ বা গরু অনেক রকম জাতের দেখতে পাওয়া যায় এবং প্রত্যেকটি জাত আলাদা- আলাদা পরিমাণে দুধ দেয়। তাই আপনার ব্যবসার জন্য শুধুমাত্র ওই জাতের গরু বা মহিষ কিনতে হবে যেগুলি আপনার ব্যবসার জন্য লাভবান হতে পারে ।

এই ব্যবসার জন্য জর্সি ক্যাটাল, হোলসটিন মাভেশী জাত এবং সাহিয়াল জাতের গরু বা মহিষ ( which cows give more milk ) খুবই ভালো। জর্সি ক্যাটল 15 থেকে 18 লিটার দুধ প্রদানের ক্ষমতা রাখে।

📝👉 দুগ্ধ শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

👉 গরু ও মহিষের জন্য খাবার

আপনি যেহেতু দুগ্ধ শিল্প ( Dairy Farming ) করতে চাইছেন তাই আপনার জন্য গরু বা মহিষদের কাছ থেকে বেশি পরিমাণে দুধ পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ দিক। এর জন্য আপনাকে গরুর পরিচর্যা খুব ভালো করে করতে হবে অর্থাৎ তার খাবার দেওয়ার এর প্রতি যথেষ্ট নজর রাখতে হবে।

এর জন্য বাজার থেকে আপনি গো-খাদ্য আরো অন্যান্য উন্নত মানের খাবার কিনে নিয়ে আসতে পারেন। সঙ্গে কাঁচা ঘাসের ব্যবস্থা করতে পারেন। এবং পশু ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার বা ঔষধ প্রয়োগ করতে পারেন।

👉 স্থান নির্বাচন করা

যে কোন ব্যবসা শুরু করার পূর্বে ব্যবসা অনুযায়ী স্থান নির্বাচন করা খুবই প্রয়োজনীয় । যদি আপনি এই ডায়েরি ফার্মের ( । ) কথা বলেন তাহলে আপনি যেই জায়গায় ফার্মটি করবেন তার পার্শ্ববর্তী সবুজ থাকলে খুবই ভালো হয় । সঙ্গে পানীয় জলের যেন ব্যবস্থা থাকে।

👉 নির্বাচিত স্থানে নির্মাণ কাজ

জায়গা বেছে নেওয়ার পর ওই জায়গায় মহিষ বা গরু রাখার জন্য ( cow farming ) কিছু ঘর তৈরি করতে হবে। যাতে শীতের মৌসুমে মহিষ বা গরু ওইসব ঘরে রাখা যায়। রুম ছাড়াও টিনের সাহায্যে ছাদ তৈরি করতে হবে যাতে মহিষ বা গরু সহজেই ওই ছাদের নিচে রাখা যায়।

এছাড়াও, ছাদের নীচে তাদের পশুখাদ্য দেওয়ার জন্য আপনাকে বাক্সের আকারে একটি জায়গা তৈরি করতে হবে গরু বা মহিষের আগের দিকে, যাতে আপনি বাক্স আকৃতির জায়গায় তাদের জন্য খাদ্য সামগ্রী দিতে পারেন।

অন্যদিকে, উপরে উল্লিখিত জিনিসগুলি ছাড়াও আপনার আরও দুই থেকে তিনটি ঘর লাগবে। এই ঘর গুলিতে আপনি তাদের খাবারের জিনিসপত্র, দুধের পাত্র এবং অন্যান্য জিনিস যাতে রাখতে পারেন।

👉 লোক নির্বাচন (কর্মচারী নিয়োগ)

ছোট আকারের ব্যবসা করার জন্য আপনার লোকের কোন প্রয়োজন নাও হতে পারে যদি আপনি নিজে সমস্ত কাজকর্ম করেন। কিন্তু বড় আকারের ব্যবসা করার জন্য আপনার বিশেষ কিছু কর্মচারীর প্রয়োজন হতে পারে।

কেননা যখন আপনি প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ বা ৫০ টি গরু বা মহিষের দুধ দোয়া, সময়মতো খাওয়ানো এবং গোবর পরিষ্কার করার জন্য আপনার কিছু লোকের প্রয়োজন হবে। তাই এই কাজের জন্য আপনাকে কিছু লোক নিয়োগ করতে হবে ।

👉 গরু বা মহিষ থেকে দুধ আহরণ

এর  পরবর্তী কাজ হচ্ছে গোরু বা মহিষ থেকে দুধ আহরণের প্রক্রিয়া। দিনে দুবার গোরু বা মহিষ থেকে দুধ নেওয়া যেতে পারে। একই সঙ্গে এ কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে দুধ অপসারণের নির্দেশ দিন। দুধ বের হয়ে আসার পর সব দুধ এক জায়গায় সংরক্ষণ করুন। এরপর এই দুধ বিক্রি করতে পারবেন।

📝👉 দুধ মার্কেটিং করার উপায়

এই ব্যাবসায় দুধ মার্কেটিং করার দুটি উপায় আছে. প্রথম পদ্ধতিতে আপনি যেকোনো কোম্পানির কাছে দুধ বিক্রি করতে পারবেন। আমাদের দেশে এমন অনেক কোম্পানি আছে, যারা তাদের দুধ প্রতিদিন দুধওয়ালাদের কাছ থেকে কিনে থাকে। অন্যদিকে, আপনি আপনার কোম্পানি খুলে সরাসরি বাজারে দুধ বিক্রি করতে পারেন।

যাইহোক, আপনার কোম্পানি খুলতে আপনাকে একটু কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কিন্তু একবার আপনার কোম্পানি চলতে শুরু করলে আপনিও ভালো লাভ পাবেন। শুধু তাই নয়, একটি কোম্পানি শুরু করে আপনি দুধ থেকে তৈরি অন্যান্য পণ্যও বিক্রি করতে পারেন।

যেমন মাখন, আইসক্রিম, দই, লস্যি, পনির (কুটির পনির) বাটারমিল্ক, ঘি, দুধ পাউডার, পনির, মিল্কশেক, তাজা ক্রিম, কফি, চা, কাস্টার্ড দুধ, রসগুল্লা, ক্রিম, হুইপড ক্রিম, কুলফি ইত্যাদি পণ্য ( name for milk products )।

🗼 আপনি যদি একটি কোম্পানি শুরু করেন, তাহলে নিচের বিষয়গুলো মাথায় রাখুন।

👉 ব্যবসার জন্য লাইসেন্স

এর জন্য আপনাকে আপনার ব্র্যান্ড বা কোম্পানির জন্য একটি নাম স্থির করতে হবে। সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় লাইসেন্স করতে হবে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ট্রেড লাইসেন্স, ফুড টেস্টিং প্লাটফর্মে নাম নথিভুক্ত করুন।

👉প্যাকেজিং এবং লেবেলিং

দুধ বিক্রি করার জন্য প্যাকেট তৈরি করতে হবে। এই দুধের প্যাকেটগুলিতে আপনাকে আপনার কোম্পানির তথ্যও দিতে হবে এবং কোন দিনে দুধটি প্যাক করা হয়েছে এই তথ্যও প্যাকেটে দিতে হবে। একই সময়ে এই প্যাকেটগুলি তৈরি করতে আপনাকে সেই ব্যবসায়ীর সাথে যোগাযোগ করতে হবে যিনি এই জাতীয় প্যাকেট তৈরির কাজ করেন।

👉 আপনার ব্যবসার প্রচার

আপনার কোম্পানির নাম প্রচার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে লোকেরা জানতে পারে যে এই নামের একটি কোম্পানি আছে। কোম্পানির প্রচারের মাধ্যমে লোকেরা আপনার তৈরি পণ্য সম্পর্কে তথ্য পাবে। যাতে আপনার ব্যবসা উপকৃত হয়। প্রচারমূলক কাজের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।

👉 প্রয়োজনীয় সতর্কতা

মহিষকে শুধুমাত্র ভালো ধরনের খাবার দিন। আপনি যদি তাদের নষ্ট খাবার খেতে দেন তবে এটি তাদের স্বাস্থ্য নষ্ট করতে পারে। এ ছাড়া সময়ে সময়ে গরু বা মহিষগুলোকে পশু চিকিৎসকের কাছে পরীক্ষা করান। শুধু তাই নয়, অনেক ধরনের টিকাও দেওয়া হয় গরু বা মহিষকে, যাতে কোনো রোগ না হয়।

👉 ব্যবসা শুরুর খরচ এবং ঋণ সুবিধা

আপনি যদি এই ব্যবসা শুরু করতে কোনো আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হন, তাহলে আপনি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে পারেন। একই সঙ্গে এই ব্যবসার প্রসারে সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। একই সাথে, কোন ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনাকে সেই লোন কত সুদের হারে এবং কত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

তাছাড়া দুগ্ধ ব্যবসায়ীদের ( dairy farmers ) জন্য সরকার অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আসে। অনেক ক্ষেত্রে সরকারও ভর্তুকি দিয়ে থাকে।

📝👉 FAQ Of Dairy Farming

Q) দুগ্ধ শিল্প ( Dairy Farming ) কি?

দুগ্ধ খামার মানে ‘দুধ উৎপাদনের উদ্দেশ্যে দুধ উৎপাদনকারী পশু পালন’। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি দুধ উৎপাদনের উদ্দেশ্যে গরু, মহিষ বা ছাগল পালন করেন, তাহলে আপনি দুগ্ধ শিল্প ব্যবসায় যুক্ত রয়েছেন।

Q) কেন দুগ্ধ শিল্প গুরুত্বপূর্ণ?

দুগ্ধ শিল্প ( Dairy Farming ) গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি একটি বিশেষ খাদ্যের উৎস। আর এটি হতে পারে বাড়তি আয়ের একটি বড় উৎসও। মোট বিনিয়োগের তুলনায় তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি মুনাফা পাওয়া যায়।

Q) দুগ্ধ শিল্পের জন্য ব্যবস্থাপনা কি?

আপনার দুগ্ধজাত পশুদের পর্যাপ্ত খাদ্য, পানি, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা পশুদের সতেজ ও উৎপাদনশীল রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং তাদের যত্ন নেওয়া থেকে শুরু করে পণ্য বিপণন পর্যন্ত এই সমস্ত কার্যক্রমকে বলা হয় ‘দুগ্ধ শিল্প ব্যবস্থাপনা’।

Q) দুগ্ধ শিল্পের জন্য গরু না মহিষ নির্বাচন করা উচিত?

এটি আপনার নিজের পছন্দের উপর নির্ভর করে এবং এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর নেই। সাধারণত, গরু মহিষের চেয়ে বেশি দুধ দেয়। তবে গরুর তুলনায় মহিষের দুধে বাটারফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। আপনি যে কোনো নিতে পারেন।

Q) দুধ উৎপাদনের জন্য কোন গরুর জাত ভালো?

সাধারণত হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান, জার্সি, আইরশায়ার, ব্রাউন সুইস, গার্নসি, হরিয়ানা, গির ইত্যাদি দুধ উৎপাদনের জন্য ভালো।

Q) কোন মহিষের জাত দুধ উৎপাদনের জন্য ভালো?

হরিয়ানা, নিলি রবি, মেহসানা, সুরতি, জাফরাবাদি এবং মুরাহ মহিষের জাতগুলিকে দুধ উৎপাদনের জন্য সেরা মহিষের জাত হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

Q)গাভী কত দুধ উৎপাদন করে?

এটি জাতের উপরও নির্ভর করে। জাতের উপর নির্ভর করে, গাভী 20 কেজি পর্যন্ত দুধ উত্পাদন করতে পারে এবং কিছু গাভী আরও বেশি উত্পাদন করতে পারে।

Q) দুগ্ধ খামার কি সত্যিই লাভজনক?

আপনি যদি সবকিছু নিখুঁতভাবে করতে পারেন তবে দুগ্ধ ফারমিং ( Dairy Farming ) সত্যিই লাভজনক।

Q) দুধ থেকে তৈরি কয়েকটি প্রোডাক্ট ( diary product ) ?

দুধ থেকে তৈরি হওয়া কয়েকটি দ্রব্য হল Butter, Ice Cream, Curd, Lassi (sweet Curd), Paneer (Cottage Cheese), Ghee, Milk Powder, Cream Cheese, Milkshakes, Yogurt, Fresh Cream, Cold Coffee, Coffee, Tea, Condensed Milk, Custard milk, Rasagulla, Whipped Cream, Sour Cream, Kulfi ইত্যাদি। এগুলি ছাড়াও আরো অনেক পণ্য ( diary product ) রয়েছে যা দুধ থেকে তৈরি হয়ে থাকে।

Q) ভালো প্রজাতির গরু বা মহিষ কোনগুলো ?

জর্সি ক্যাটাল, হোলসটিন মাভেশী জাত এবং সাহিয়াল জাতের গরু বা মহিষ ( which cows give more milk ) খুবই ভালো। জর্সি ক্যাটল 15 থেকে 18 লিটার দুধ প্রদানের ক্ষমতা রাখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *